নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য সম্রাট হোসেন (২১) ও শাহাদাত হোসেন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১২ এর একটি টীম। গত সোমবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নাঃগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জের আইল পাড়া এলাকায় ও ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধৃত জেএমবির সদস্যরা টাংগাইল জেলার কালিহাতী থানার একটি সন্ত্রাস বিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বলে সুত্রে জানা গেছে। ধৃত সম্রাট নেএকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন শেখুপুরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে, সে জেএমবির সংগঠনে হুরের খোজেঁ নামে পরিচিত, অপর ধৃত শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার সাহেদ নগর থানা এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে, সে জেএমবিতে আমীর হামজা নামে পরিচিত, তারা বেশ কিছু দিন ধরে সিদ্দিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকায় বসবাস করতো পরিবার নিয়ে জানিয়েছেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

সুত্রে আরো জানায় যে, ধৃত দুই জঙ্গী সদস্য সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে র‍্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গী নেতা আবদুল্লাহ্র অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এছাড়াও গত ৫ সেপ্টেম্বর টাংগাইলের কালিহাতী থানার এলেঙ্গা গ্রামের ধৃত জেএমবির সদস্য সহোদর মাসুম ও খোকনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ধৃত মাসুম ও খোকনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করার পর তাদের কাছ থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে এই ড্রোন দিয়ে তারা সরকারী বিভিন্ন স্হাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল। এঘটনায় কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ আসামীর মধ্যে ধৃত শাহাদাত হোসেন ও সম্রাট অন্যতম। তাদের গ্রেপ্তারের পর টাংগাইল জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ১২ কর্মকর্তা।

র‍্যাব-১২ এর সুত্রে আরো জানা গেছে যে, ধৃত টাংগাইলে গ্রেপ্তার কৃত জঙ্গী সদস্য মাসুম ও খোকন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক যে জবান বন্দী দিয়েছিল সেখানে তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য মুক্তারুল। শাহাদাত হোসেন, সম্রাট হোসেনের নাম বলেন, এর পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‍্যাব-১২ এর একটি টীম অভিযান চালিয়ে মুক্তারুলকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। বাকী দুজনকে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেন এবং তাদের টাংগাইল আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

র‍্যাবে জানায়, শাহাদাত হোসেন নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকার জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফজ শেষ করেছেন। সে উক্ত এলাকায় বসবাস করতেন। অপর ধৃত সম্রাট হোসেন নেএকোনা জেলার মোহনগঞ্জের মহুয়া টেকনিক্যাল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে রাজধানী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী নিয়েছিল। তারা দুজনেই ২০১৩ সালের দিকে জেএমবিতে যোগ দিয়ে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বনে যান। তারা হুরের খোজেঁ ও আমীর হামজা নামসহ বিভিন্ন বেনামে ফেসবুকে আইডি খুলে জঙ্গী, জিহাদী মূলক পোষ্ট দিয়ে আসতেছিল, সম্রাট সিদ্দিরগঞ্জে বসবাস করতো, তারা টেলিগ্রাম, ট্রিমা সহ বিভিন্ন গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতো বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১২।