বক্তাবলির আকবরনগর থেকে বিপুল পরিমাণের টেঁটা ও চাপাতিসহ রহিম হাজি গ্রুপের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (০৮ জুলাই) রাত ১১টা থেকে সোমবার (০৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত আকবর নগর গ্রামে টানা অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে টেঁটা,চাপাতি ও কুড়াল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, হান্নান মিয়া, সাইদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, নুরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, সাজ্জাদ, মাসুদ, সামুসুল হক, হেলাল হোসেন ও আসলাম।

অভিযান ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আকবরনগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে প্রায় সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এলাকা ছেড়ে অনেকেই অন্যত্র বসবাস করছেন এদের কর্মকাণ্ডে।

অপর একটি সূত্র জানায়, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হামলা পাল্টা হামলাসহ বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় গ্রুপই পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে স্থানীদের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, ফতুল্লার মধ্যে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি অঞ্চল আকবর নগর। ফতুল্লা থানার শেষান্তে এবং কেরানীগঞ্জের সীমানা সংলগ্ন এই অঞ্চলে মূলত রাজত্ব করে কেরানীগঞ্জের মানুষ। এরমধ্যে কাশে নেতা নামে একজনের হুকুমই এখানে শেষ হুকুম বলে বিবেচ্য হয়ে থাকে।

সূত্রটি আরও জানায়, কাশেম নেতা এই অঞ্চলে ঘাটি করেন সামেদ আলী হাজির কাঁধে ভর করে। দীর্ঘদিন তাঁরা দু’জন এই অঞ্চলে রামরাজত্ব কায়েম করে। কিন্তু বছর কয়েক আগে তাঁদের সম্পর্কে ফাঁটল দেখা দিলে রহিম হাজিকে কাছে টেনে নেয় কাশেম নেতা। এতে করে কাশেম রহিমের শক্তি একত্রিত করে সামেদ আলীর প্রভাব খর্ব করতে থাকে তাঁরা। এ নিয়েই প্রয় সময় সংঘাত সংঘর্ষ।

এছাড়াও সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি তাঁরা একে অপরকে ফাঁসাতে হেন কোনো অপকর্ম নেই যা করে না। এমনকি নিজেরাই নিজেদের লোক দিয়ে ধর্ষণ করিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ঘটনাও ঘটেছে।

মঞ্জুর কাদের বলেন, “সামেদ আলী হাজি এ ঘটনায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা উভয় গ্রুপকেই সতর্ক করে দিয়েছি।”