জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পোশাকধারী পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সোয়াট, কাউন্টার টেররিজম ও র‌্যাব সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ঈদগাহ মাঠের প্রবেশের তিনটি রাস্তায় থাকবে পুলিশ ব্যারিকেড ও তল্লাশি চৌকি। ঈদগাহ প্রবেশের তিনটি রাস্তা হলো মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন ও প্রেসক্লাব। পরে এ তিনটি ব্যারিকেডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পার হয়ে আবার প্রধান ফটকে নিরাপত্তা তল্লাশি পার হতে হবে মুসল্লিদের। এ ছাড়া নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রবেশপথ। সেখানে নারী পুলিশরা তল্লাশি করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এবার অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজধানীর প্রতিটি ঈদের জামাতকে নিরাপদ রাখতে ১৪ হাজার ডিএমপির সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ঈদগাহ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভির নজরদারি থাকবে, যা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটর করা হবে।’

এ সময় মুসল্লিদের উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমি মুসল্লিদের অনুরোধ করে বলব, তারা যেন জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কোনো জিনিস যেন ঈদগাহ মাঠে নিয়ে না আসেন। তবে প্রয়োজন হলে জায়নামাজ ও ছাতা তল্লাশি করা হতে পারে। তল্লাশি ও নিরাপত্তার কারণে কিছুটা লম্বা লাইনের সৃষ্টি হতে পারে। তবে মুসল্লিদের বলব, বিরক্ত না হয়ে যেন পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।’

ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাট ও ঈদযাত্রা যেমন আমরা নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থার মধ্যে সম্পূর্ণ করেছি, তেমনি ঈদের জামাতও নিরাপদভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’