নিউজ প্রতিদিন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক গ্রুপ-“ধলেশ্বরীর তীরে” সামাজিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ফেইসবুক গ্রুপটিকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়া হয়।
সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে মঙ্গলবার (২৬ মে) প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. একে শফিউদ্দিন আহাম্মেদ মিন্টুকে আহবায়ক ও সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ইমরানকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ৫ সদস্যের এই কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক তুহিন চৌধুরী, সদস্য সাংবাদিক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ও জিয়াউর রহমান ফকির।
মঙ্গলবার বিকেলে বক্তাবলীর কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় ডা. শফিউদ্দিন মিন্টু বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য ও সামর্থ্য টুকু দিয়ে এলাকার ভালো ও উন্নয়ণমূলক কাজে নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সাথে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করব। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্য থেকে সকল সাদা মনের মানুষ গুলোকে একত্রিত করে আমরা সম্মিলিতভাবে ভালো কাজগুলো করার চেষ্টা করব। আমাদের শ্লোগান থাকবে “সকল ভালো কাজ আমরা সম্মিলিতভাবে করব”
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, “ধলেশ^রীর তীরে” সামাজিক সংগঠনটির সুন্দর আত্মপ্রকাশ ঘটল সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। সংগঠনটির আহবায়ক সহ সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের পরিশ্রম ও সহযোগীতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপ থেকে সামাজিক সংগঠনে রূপ নিল। এই সংগঠনের সাফল্যের লক্ষ্যে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আপনাদের সহযোগীতায় তা পূরন করতে আমি সচেষ্ট হবো ইনশাআল্লাহ।
এর আগে ডা. শফিউদ্দিন আহাম্মেদ মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন – খোরশেদ মাষ্টার, আবুল হাসেম, মোঃ নওশাদ আলী, মোখলেছুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মতিউর রহমান ফকির, বাছির সরদার, মোঃ শরিফউদ্দিন, সাংবাদিক ইকবাল হোসেন, জিয়াউর রহমান ফকির, কামরুজ্জামান খোকা, রোটারিয়ান নুরুজ্জামান জিকু, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, মাশফিকুর রহমান শিশির, ইউপি সদস্য রাসেল চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, হাজী আবুল কাশেম, আব্দুর রহিম, রাসেল প্রধান, সাইদুর রহমান, আল আমিন, রাশেদুল ইসলাম সুমন, আক্তার হোসেন ও বিয়াদ চিশতি প্রমূখ।
সাংবাদিক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় সভায় সংগঠনের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, সংগঠনের কার্যালয় ও সদস্য সংগ্রহ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন গাংনী পৌর এলাকার চৌগাছা গ্রামের পূর্বপাড়াস্থ তার ভাড়া বাড়ীতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় বেরসিক জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে কেলেংকারীর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে সাথে সাথে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ, খালেক, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুর রহমান, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর নবীরউদ্দীনসহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রথমে পরকীয়া প্রেমের কথা দু’জন অস্বীকার করলেও নানা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেন। ঘটনার তদন্ত করতে অভিযুক্ত সবুজ ও ফারহানার মোবাইল ফোন সার্চ করে তাদের পরকীয়ার তথ্য বেরিয়ে আসে। মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে তাদের অনৈতিক মেলামেশা ও গোপনীয় আলাপচারিতার অডিও ভিডিওর চিত্র পাওয়া গেছে।
ফারহানা জানান, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পর থেকে সবুজের সাথে আমার পরিচয়। সে আমার ছোট দেবরের মত। আমার বাড়ীতে প্রায়ই বেড়াতে আসে। আমার প্রয়াত স্বামী শাহাব উদ্দীন জীবিত থাকাকালীন সময় থেকে আমার বাসায় যাতায়াত করতো। অন্যদিকে সবুজ জানায়, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক নানা কর্মসূচীতে তার সাথে আমার পরিচয়। আমি তার ছোট ভাই হিসাবে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম। পরবর্তীতে সে আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। এসময় তার একমাত্র ছোট মেয়ে বহু লোকজন ও সাংবাদিকদের জানায়, অনেক আগে আমার মা সবুজ আঙ্কেলকে মোটর সাইকেল কিনে দিয়েছে। ঘটনার পোষ্ট মর্টেম শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক অভিভাবক হিসাবে ও গাংনী পৌরসভার মেয়রের প্রস্তাবে উভয়ে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও গাংনী পৌরসভার মেয়রের উপস্থিতিতে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে তাদের ২য় বিয়ে পড়ানো হয়। এসময় ছেলে পক্ষের পিতা ও নিকটাত্মীয়, গাংনী পৌর সভার কাউন্সিলর আসাল উদ্দীন, শ্রমিক নেতা মনিসহ অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যনকে সকলেই ভাবী সম্বোধন করতো। তাই শরৎ চন্দ্রের ভাষায় ‘বৌদির বিয়ে’ হওয়ায় শহরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছ্।ে এনিয়ে স্বামী শাহাবউদ্দীনের মৃত্যু নিয়ে নানা সন্দেহ দানা বেঁধে উঠছে। অনেকেই মন্তব্য করে বলছেন, এই পরকীয়া প্রেমের কারণেই শাহাব উদ্দীনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এই দু’জনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হতে পারে বলে অনেকেই বলাবলি করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নইলে উচ্ছৃংখল বেরসিক লোকজন বেপরোয়া হয়ে শৃংখলা ভঙ্গ করতো।






