নিউজ প্রতিদিন : সারা দেশের চাইতে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসের মোকাবেলা করছে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ ।
দফায় দফায় বৈঠক নানা কার্যক্রমের মধ্যে এবার অসুস্থ হয়ে পরেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানসহ আরো কয়েকজন ।
এরই মধ্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এবং আরএমও ডাঃ আসাদুজ্জামানকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রণালয় । একই সাথে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক কে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।
করোনা ভাইরাসের কারনে সিভিল সার্জন, আরএমও, ইউএনও সহ সদর হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক, কয়েকজন নার্স, কয়েকজন ওয়ার্ড বয়, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার একতার কয়েকজন টেকনিশিয়ানকে আইসোলেশনে রাখা হলেও খোদ নারায়ণগঞ্জ জেলার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ভিন্ন কারনে অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে রয়েছেন ।
এমন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মনিটরিং সেল ও কন্ট্রোল রুম থেকে মমিনুল হক ।
মমিনুল হক আরো বলেন, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন প্রেসার জনিত কারনে অসুস্থ আছেন ।
অপরদিকে জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরের কন্ট্রোল কক্ষ থেকে লুৎফর রহমান বলেন, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এবং আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএনও) ডাঃ আসাদুজ্জামান করোনা ভাইরাসের কারনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাক্ষাৎকারে ডিসি, সিভিল সার্জন, ইউএনও এর অসুস্থতার খবর প্রকাশের পর জেলাজুড়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন তাহলে কি করে চলছে নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই জেলা ?






স্থানীয়রা জানায়, নাগেরহাট গ্রামের হারুন বেপারী (৫৭) পিতা আব্দুল জলিল তিনি গত- ০৫-০৪-২০ইং তারিখে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে রাজধানীর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরিবারের লোকজনের আশংকা ছিলো হারুন বেপারীর শরীরে করোনার ভাইরাসের উপস্থিতি আছে। তারা দ্রুত আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করে । আইইডিসিআর মৃত হারুন বেপারীরর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য প্রেরন করে। পরবর্তীতে মৃত হারুন বেপারীকে লৌহজং উপজেলার নাগেরহাটের সাত ঘরিয়া গোরস্তানে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার ওই মৃত ব্যক্তির রিপোর্টে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি উঠে আসে।
এছাড়াও বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা ব্যাক্তিবর্গকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন অথবা নিজ ঘরে আলাদা থাকারও অনুরোধ জানান তারা।

