১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 267

মন্ত্রীপরিষদ কি দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল? প্রশ্ন তুহিন মালিকের

একের পর এক মন্ত্রী আদালত কতৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার তাদের কারই মন্ত্রিত্ব যাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলামিষ্ট ড তুহিন মালিক । তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, মন্ত্রীপরিষদকে কয়েদীখানা বানাবেন না। মন্ত্রীপরিষদ কি দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে ? সর্বোচ্চ আদালত থেকে অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে দন্ডপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যারা দেশের বিচার বিভাগকে মানে না বলে আদালত প্রমান করে সাজা দেয়; তারা কি করে বিচার বিভাগ সম্মুন্নত রাখার সাংবিধানিক শপথের সুরক্ষা দিবে ? যারা দেশের সম্পদ লুটের দায়ে দোষী প্রমানিত হয়ে ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়; তারা কি করে জনগণের সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের সাংবিধানিক শপথের সুরক্ষা দিবে ? অথচ আমাদের সংবিধান এদেরকে শুধু মন্ত্রীপরিষদেই নয়, বরং সংসদ সদস্য পদেও অযোগ্য ঘোষনা করেছে । সূত্র : আমারদেশ

শেখ হাসিনাকে বৈশাখী শুভেচ্ছা খালেদা জিয়ার

ঢাকা: প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল এ শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেয়।
বিএনপির সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের ছিলেন- বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।
আসাদুল করিম শাহীন জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরা এ শুভেচ্ছা বার্তা ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছি।

মুসলিম দেশে হিন্দু কেন প্রধান বিচারপতি? ওলামা লীগ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি-বাড়ি ফেরতের আইন ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন’ বাতিলের দাবি করে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন আওয়ামী ওলামা লীগ। একই সঙ্গে সংগঠনটি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ইস্তফা এবং বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠান বাতিলের দাবি জানিয়েছে। খবর-দৈনিক যুগশঙ্খের।

শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবশৃংখল ও সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তারা বলেন, ‘মুসলিম দেশে কেন হিন্দু বিচারপতি? এটা মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।’

সমাবেশে বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কড়াকড়ি আরোপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানান ওলামা লীগ। এবার থেকে চালু হওয়া বৈশাখী উৎসব ভাতা বাদ দিয়ে ঈদ-ই মিলাদুন্নবিতে উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবিও জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠনটির নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “পহেলা বৈশাখের নামে চারুকলার গাঁজাখোর মিডিয়া ও পুঁজিবাদী বেনিয়াগোষ্ঠি বাণিজ্য করছে। ওদের শোষণ থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে।”

মুসলমানদের ‘ইসলামহীন’ করার জন্যই পহেলা বৈশাখের ‘অপতৎপরতা’ বলে দাবি করেছে ওলামা লীগ, যে সংগঠনটি আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এবারের বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকালের মধ্যে শেষ করা এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার।

সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হলেও মুখোশ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দেওয়ায় সরকারকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছে ওলামা লীগ। বৈশাখ উপলক্ষে ‘পান্তা-ইলিশ’ খাওয়ার চর্চা বাদ দিয়ে ‘জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষা’র আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন ‘উৎসব ভাতা’ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়েছে। এজন্য মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের বোনাস বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষে বোনাস দেওয়া উচিত।”

বৈশাখের বিরোধিতা করলেও নববর্ষের কোনো অনুষ্ঠানে হামলার বিরোধিতাও করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠনটি।   সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী হামলাকে ‘অনৈসলামিক ও হারাম’ আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখে সন্ত্রাসী হামলা ‘ইসলামে জায়েজ নেই’।

মোহাম্মদ আলীর শিষ্য জয়নাল ফঁকির নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন

ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, নির্বাচনী টার্গেট এবার ওয়ার্ড মেম্বাদের দমানো। এরই ধারাবহিকতায় এবার বিশেষ কারনে নির্বাচন থেকে সরে আসার নির্দেশ দিলেন সাবেক সাংসদ ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব মোহাম্মদ আলীর শিষ্য বক্তাবলী ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের হেভিওয়েট ও প্রভাবশালী মেম্বার প্রার্থী জয়নাল আবেদিন ফকিরকে। জয়নাল আবেদিন ফকিরের জয় নিশ্চিৎ বুঝতে পেড়ে উর্ধ্বতন মহল এই কৌশল অবলম্বন করেছে বলে জনগনের ধারনা । যদিও তিনি গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেম্বার নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তথাপিও গুরু হিসেবে মোহাম্মদ আলী সাহেব এর শিষ্য জয়নাল আবেদিন ফকিরকে নির্বাচন থেকে সরে আশার নির্দেশ দিয়ে তাকে নির্বাচনী ছক দেখিয়ে তাকে নির্বাচন না করার জন্য নিদের্শ দেন। এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন এর ভাই দেলোয়ার ফকির বলেন, মোহাম্মদ আলী সাহেব যেহেতু নির্বাচন থেকে আমার ভাই জয়নাল আবেদীনকে সরে যেতে বলেছেন সেজন্য সে নির্বাচন করবে না। মুঠো ফোনে জয়নাল আবেদীন ফকিরকে  কল করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্ত্রী-এমপির বাকবিতণ্ডা, সমর্থকদের হাতাহাতি : অনুষ্ঠান পণ্ড

চট্টগ্রাম নগরে গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন। চট্টগ্রাম নগরের উড়ালসড়কের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে এই বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। একপর্যায়ে আফছারুল আমীন মন্ত্রীর দিকে তেড়ে যান। এই সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও অন্যরা তাঁদের নিবৃত্ত করেন। এর জের ধরে সভাকক্ষেই হাতাহাতিতে লিপ্ত হন দুই নেতার সমর্থকেরা। ফলে মাঝপথেই পণ্ড হয় যায় আলোচনা সভা। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ছয়তলার সেমিনারকক্ষে এই ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর চট্টগ্রাম কেন্দ্র ‘টেকসই জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক নির্মিত ও নির্মাণাধীন উড়ালসড়কগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপক প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া ও আলী আশরাফ, স্থপতি জেরিনা হোসেন ও তসলিম উদ্দিন চৌধুরী উড়ালসড়ক নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে সমালোচনা করেন। এরপর ঢাকা যাওয়ার তাড়া থাকায় বক্তব্য দেন গৃহায়ণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘যখন বহদ্দারহাট, কদমতলী ও মুরাদপুর উড়ালসড়ক হচ্ছে তখন আমি মন্ত্রী থাকলে হয়তো অনুৎসাহিত করতাম। আর করলেও আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে করতাম। ফি দিলে চুয়েট সংস্থার অনুকূলে সমীক্ষা প্রতিবেদন দেয়।’ সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, বহদ্দারহাট ও কদমতলী উড়ালসড়কে তেমন গাড়ি উঠে না। গাড়ি না উঠলে এসব উড়ালসড়ক রেখে লাভ নেই। গাড়ি না উঠলে একপর্যায়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এই উড়ালসড়কগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। মন্ত্রীর পর বক্তব্য শুরু করেন আফছারুল আমীন। তিনি বলেন, ‘উড়ালসড়কগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। এই সময় আমরা কেউ মন্ত্রী ছিলাম, কেউ এমপি ছিলাম। এর দায়ভার আমাদেরই নিতে হবে।’ এ সময় পাশে বসা মন্ত্রী এর আপত্তি জানিয়ে নিজের কৈফিয়ত দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বক্তব্য অব্যাহত রাখেন সাংসদ। একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনার আগ্রহে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়াকে দিয়ে আপনি এ পেপার উপস্থাপন করিয়েছেন।’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাকে (সাংসদ) তো ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চেয়ার থেকে উঠে মন্ত্রীর দিকে তেড়ে যান সাংসদ। মন্ত্রীর উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সাংসদ বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের ছেলে। আমাকে চিনিস।’ এই সময় সিটি মেয়র নাছির উদ্দীন ও অন্যরা তাঁদের নিবৃত্ত করেন। মন্ত্রী ও সাংসদের বাগ্‌বিতণ্ডার সময় তাঁদের সমর্থকেরা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। তবে এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার বক্তব্য দেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। তিনি পুরো ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে হয়ে গেছে। মনে করবেন কিছুই হয়নি।’ এরপর মন্ত্রী ও সাংসদ করমর্দন করেন। মন্ত্রীর পর সিটি করপোরেশনের মেয়র নাছির উদ্দীন তাঁর বক্তব্যে পুরো ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই সভাটি আরেকদিন করলে ভালো হবে। তখন পরিকল্পিতভাবে করা উচিত।’ মেয়রের পর চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বক্তব্যে দিতে শুরু করলে চেয়ার থেকে উঠে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় আফছারুল আমীনের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক স্লোগান দিয়ে মন্ত্রীর পথরোধ করেন। এই সময় মন্ত্রী তিন-চার মিনিট অপেক্ষা করে পুনরায় সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাংসদ আফছারুল আমীন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। নিচে মন্ত্রীকে গাড়িতে তুলে দেন তাঁরা। এর একপর্যায়ে সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। সভায় অতিথিদের বক্তব্য শেষে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে মুক্ত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আইইবি এর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুণ সভায় বলেন, ‘কারও ইন্ধনে বা আগ্রহে এই সভার আয়োজন করা হয়নি। আর কাউকে ভাড়া করেও আনা হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক ও চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি কদমতলী উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন।

বন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

বন্দর প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন.নেট
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দেউলী কবরস্থান রোড এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১১ টায় আফজলের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে,উপজেলার দেউলী কবরস্থান সংলগ্ন আফজলের বাড়ি শনিবার রাত পৌনে ১১ টায় হঠাৎ আগুন লাগে।এতে মুহুত্বের মধ্যে পুরো বাড়ি আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়।এতে কেউ হতাহত না হলেও মুল্যবান আসবাবপত্র পুরে গেছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।পরে আশপাশের লোকজন প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

কন্যা সন্তানের মা হলেন টিউলিপ

কন্যাসন্তানের মা হলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তার কন্যার নাম আজালিয়া জয় পার্সি।শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় তাঁর ভেরিভায়েড টুইটার পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
টুইট বার্তায় শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ বলেন, ক্রিস পার্সি এবং আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে সবাইকে জানাচ্ছি আমাদের কন্যাসন্তান আজালিয়া জয় পার্সি জন্মগ্রহণ করেছে। রয়েল ফ্রি লন্ডন (এনএইচএস) হাসপাতালের স্টাফরা অসাধারণ।
গত বছর মে মাসে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের নির্বাচনে নিউ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ।
এ আসনে ১১৩৮ ভোটে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন বাংলার মেয়ে টিউলিপ। লেবার পার্টি থেকে আরও দুই বাঙালি নারীও এবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ১৫ পদের ১২টিতে নতুন মুখ

ঢাকা: কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাত যুগ্ম মহাসচিব ও আট সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনই নতুন মুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দুই পদে নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।

যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পেলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন-অর রশীদ ও আসলাম চৌধুরী। এদের মধ্যে শুধু মাহবুব উদ্দিন খোকন আগের কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন। বাকিরা নতুন।

সাংগঠনিক সম্পাদকেরা হলেন- ঢাকায় ফজলুল হক মিলন, চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন, খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রাজশাহীতে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বরিশালে বিলকিস শিরিন, রংপুরে আসাদুল হাবিব দুলু, ময়মনসিংহে এমরান সালেহ প্রিন্স ও ফরিদপুরে শামা ওবায়েদ। তাঁদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন ও আসাদুল হাবিব দুলু পুরোনো কমিটিতে একই পদে ছিলেন। বাকিরা নতুন।

১৯ মার্চ দলের জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলররা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কমিটি গঠনের সর্বময় ক্ষমতা দেন। সেই ক্ষমতাবলে চেয়ারপারসন তাঁদের মনোনয়ন দেন। এর আগে দলের মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে রুহুল কবির রিজভী ও কোষাধ্যক্ষ পদে মিজানুর রহমান সিনহাকে মনোনয়ন দেন খালেদা জিয়া।

বর্তমানে দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই : মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপজ্জনক পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেছেন, এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে।

শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, বর্তমানে দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। যদি এখনই এই বিষয়টি ভাবা না হয় তবে ভবিষ্যতে ইতিহাস এর প্রতিশোধ খুবই নিষ্ঠুরভাবে নেবে। তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের পথ বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে বিশাল জনগোষ্ঠির কাছে ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে যখন এটা অসহনীয় হয়ে উঠবে তখন এটা বিপদজনক হয়ে পড়বে। বাম দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা অনেকেই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে বোকা মনে করি। তবে মনে রাখতে হবে ঢাকার মুষ্টিমেয় কিছু লোক দিয়ে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করার পরিবেশ এখন আর নেই। যারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবে তাদেরকে ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করে অন্য কোনও স্বপ্ন দেখে অবশ্যই এদেশে তাদের বিচার হবে। কাউকেই ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তান এখনও আমাদের কাছে ক্ষমা চায়নি। তাদেরকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে হবে। তারা এখনও বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশের কতিপয় লোক পাকিস্তানকে ভালোবাসে। তারা যুক্তি দেখায় তারা তো মুসলমান। এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। আবার অপরদিকে যুদ্ধের সময় মা বোনদের ইজ্জত হরণের বিষয়ে তাদের ঘৃণা করে। তিনি বলেন, যাকে ঘৃণা করবো তাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস কে সিকদার প্রমুখ।

নববর্ষ উদযাপনে কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

buyধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে বৈশাখের প্রথম দিনে এ দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় যেন হয়ে উঠে আমরা বাঙ্গালি। উৎসবের দিনটিকে রঙিন করে রাখতেই নগরীর মানুষেরা এখন ভিড় করছেন পোশাকের দোকানে। লাল, সাদা, নীল সহ বাহারি রঙে নিজেকে সাজাতে খুঁজে ফিরছেন পছন্দের সেই পোশাকটি। তবে, এক্ষেত্রে ক্রেতা চাহিদায় রয়েছে  সাদা ও লাল রঙের প্রাধান্য। আর এ চাহিদাকে মাথায় রেখেই এই ফ্যাশন হাউজগুলো এই বইশাখে এনেছেন  কালারফুল বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন জামা-কাপড়।

বাংলা নতুন বছর ১৪২৩, শুরু হতে বাকি আর মাত্র ৪ দিন। বর্ষবরণের কেনাকাটায় তাই ব্যস্ত সময় কাটছে নগরবাসীর। পরিবার পরিজনসহ নানা রঙের নতুন পোশাকে নিজেকে সাজাতে ভিড় বাড়ছে বিপণী বিতান গুলোতে।

নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে দোকানীদের প্রস্তুতিরও কমতি নেই। জমকালো পাঞ্জাবী, দৃষ্টি নন্দন শাড়ি আর জামায় এবারেও তারা ফুটিয়ে তুলেছেন বাঙালিয়ানাকেই।

বাঙালি ঐতিহ্যের ধারক পহেলা বৈশাখের উৎসবে ক্রেতারাও পোশাক কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছেন দেশিয় পোশাককেই। আর তাই এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশিয় ফ্যাশন হাউজগুলোর ব্যস্ততাও একটু বেশি। বাহারি পোশাকের সঙ্গে মিলে এবারো নানা রকমের দেশিয় গহনা কিনতেও দেখা গেল ক্রেতাদের।

সূত্র : সময় টিভি থেকে নেয়া