নিউজ প্রতিদিন :ফতুল্লার কাশীপুরে ফ্রেন্ডসশীপ হাসপাতাল এন্ড ল্যাব নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মাকসুদা নামের এক রোগী পঙ্গু হতে বসেছেন। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অদক্ষ সার্জন দিয়ে চিকিৎসার কারণে রোগীর বাম পা ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যাচ্ছে। এতে ওই রোগী ক্রমেই পঙ্গুত্বের দিকে এগুচ্ছে।
ভুল চিকিৎসার শিকার হওয়ার রোগীর বাড়ি কাশীপুর হাটখোলা এলাকায়।
রোগীর স্বামী মফিজউদ্দিন জানান, পিত্তথলির পাথরের সমস্যা নিয়ে গত ২৯ জুন কাশীপুর ভোলাইল এলাকার ফ্রেন্ডসশীপ হাসপাতাল এন্ড ল্যাব নামের ওই হাসপাতালে মাকসুদাকে ভর্তি করানো হয়। বাইরে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২ জুলাই সন্ধ্যায় তার অপারেশন করানো হয়। অপারেশনের পর থেকে রোগী মাকসুদার বাম পা অবশ হতে শুরু করে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, দু’য়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে ৬ জুলাই রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু ১৭ জুলাই পর্যন্ত রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি। ধীরে ধীরে পা’টি আরও অবশ হচ্ছে।
মফিজউদ্দিন অভিযোগ করেন, হাসপাতাল যে ডাক্তার দিয়ে এনেস্থিয়া দেওয়ানো হয়েছে তিনি অদক্ষ। ওই ইনজেকশনের কারণে রোগী এখন দাঁড়াতেই পারছে না। আস্তে আস্তে কোমরও অবশ হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে মালিক রিয়াজউদ্দিন মুঠোফোন বলেন, ডাক্তার বলছেন উনি (মাকসুদা) কয়েকদিনে মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন। বাম পা’টি অবশ হওয়ার কারণে তাকে ফিজিওথেরাপী করানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি তিন-চারজন ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছে ঠিক হয়ে যাবে। আসলে আমরা কিছু করি নাই। নার্ভের দূর্বলতার কারণে এসব হতে পারে।
আপনি কী পেশায় চিকিৎসক বা আপনার কী এমবিবিএস ডিগ্রী রয়েছে-প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি অবলীলায় স্বীকার করেন, ‘ না আমি ডাক্তার না।’









ডা. একে শফিউদ্দিন আহমেদ মিন্টুর আজ ৪৪তম জন্মদিন। ৪৪ বছর আগে এই দিনে তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক ইউনিয়নের ডিক্রির চর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে মোঃ আব্দুল খালেক মাষ্টারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরিবারের ৬ষ্ঠতম সন্তান। শৈশবে তিনি ডিক্রীরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন । সেখান থেকে কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেন এবং এসএসসিতে তিনি মেধার সাথে ভালো ফলাফল করে ঢাকার নটরডেম কলেজে পাড়াশোনা করেন। নটরডেম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাঠ শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু তার এবং পরিবারের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে তিনি চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হয়ে মানুষের সেবা করবেন । তাই তিনি বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে সিলেট মেডিক্যালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে পাশ করে দেশ বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের কনসালটেন্ট ও মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর কনসালটেন্ট হিসেবে বেশ সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. জাকির সরদার, সাধারণ সম্পাদক মো. কাসেম খান, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামাল হোসেন,বিএনপি’র নেতা মো. জয়নাল ফকির মো. শাহজাহান আলী, নুর মোহাম্মদ, মো. পিন্টু, মো. আলমগীর, এড. মাসুম, মো. রিপন, মো. সাইদ দেলোয়ার, মো. পিয়ার হোসেন, মো. আশ্রাফ, মো. শামীম প্রধাণ, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমেদ রাজু, মো. মাহমুদউল্লাহ, মো. সালে আহমেদ, ইকবাল, রিফাত, কাউসার, হৃদয় ও চুন্নু ফকির।