১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 122

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-জসিমউদ্দিন

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাড়ে চার হাজার পশুর মাংস বিতরণ

উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত প্রায়ই ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের কোরবানির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আর সেই লক্ষ্যে দাতা ও সেবা সংস্থাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পশুর টার্গেটও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সব রোহিঙ্গাকে ঈদের প্রথম দিন মাংস দিতে পারেনি প্রশাসন।

রাখাইনের বাস্ত্যুচুত ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য কমপক্ষে ১২ হাজার পশুর দরকার। কিন্তু সড়কে যানজট, শ্রমিক সংকট ও নানা কারণে এখনো দাতা ও সেবা সংস্থারা সব পশু দিতে পারেনি বলে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজামান বলেন, ঈদের প্রথম দিনে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৬০০ গরু ও ২০টি ছাগল জবাই করা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ৭০টি গরু দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কুতুপালং ৫, ৬ ও ১৭ নং ক্যাম্পের সবাই কোরবানির মাংস পেয়েছে। এর পাশাপাশি ৩ ও ৪ নং ক্যাম্পের ৫০ ভাগ রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস সরবরাহ করা হয়েছে। ২৯ নম্বর ক্যাম্পসহ এর আশেপাশের কয়েকটি অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অন্যদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, টেকনাফে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। প্রথমদিনে এখানে ৫০০ গরু ও ৩০০ ছাগল জবাই করো হয়েছে। এখানকার প্রত্যেকেই মাংস পেয়েছে। বৃহস্পতিবারও কিছু কাঁচা মাংসের প্যাকেট আসবে। সেগুলো তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় কমপক্ষে ৬০ শতাংশ রোহিঙ্গা কোরবানির মাংস পায়নি।

এ বিষয়ে মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পেরে ই-ব্লকের বাসিন্দা নুর জাহান বেগম বলেন, রাখাইনে সহায় সম্বল ফেলে এখানে এসেছি। সেখানে থাকতে আমাদের পরিবার কোরবানি দিত। কিন্তু এখানে তো সেই ক্ষমতা নেই। এবছর সহ দু’বছর কোরবানির মাংস খেতে পারিনি।

বালুখালি ক্যাম্পের সি-ব্লকের রোহিঙ্গা যুবক আবু তাহের বলেন, আমাদের এ ক্যাম্পের অনেকেই মাংস পেয়েছে আবার অনেকে পায়নি।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনজার্চ মো. রেজাউল করিম বলেন, সব রোহিঙ্গা পরিবারকে ২ কেজি করে মাংস দিলেও কমপক্ষে ১০/১২ হাজার বড় সাইজের গরু দরকার। কিন্তু এনজিও এবং দাতা সংস্থাগুলো সময়মত পশু দিতে পারেনি। এছাড়া ছোট আকারের গরু হওয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরণে হিমশিম খেতে হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কোরবানির প্রথমদিনে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার গরু ও ৫০০ ছাগলের মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরো হাজার খানেক পশু জবাই করা হবে। শুক্রবার রোহিঙ্গাদের মাংস, পেয়াজ, চাল, ডাল সহ ১০ হাজার ৭০০টি প্যাকেট বিতরণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জে প্রথম বৃহত্তম ঈদ জামাত

নতুন এক ইতিহাসের সৃষ্টি করলেন সাংসদ শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে প্রথম বারের ন্যায় বৃহত্তর ঈদ জামাতের আয়োজন করে তিনি এই ইতিহাসের সৃষ্টি করেছেন।

বুধবার(২২ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের ইসদাইর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের উত্তর পাশে একে এম সামছুজ্জোহা স্টেডিয়াম এবং দক্ষিণ পাশে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সমন্বয়ে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নগরীর চাষাঢ়া নূর মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুস সালাম।

নামাজের পূর্বে সাংসদ শামীম ওসমা্ন বলেন, প্রথমবারে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়। আশা করি এর পরেরবার ভুল-ত্রুটিগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারবো। আমি দেখেছি, কিভাবে মানুষ ময়লার উপরে নামাজ পড়েছে। বৃষ্টি বাদলের দিনে অসেকে ভিজে নামাজ পড়েছে। এটা দেখেই চেয়েছি যাতে মানুষ সুন্দরভাবে একটা বড় ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে পারে। ঈদের জামাত খোলা মাঠে পড়তে হয়। সেখান থেকেই ঈদগাহের তৈরি।

শামীম ওসমান বলেন, এবার তো নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হলো। যদি আল্লাহ বাচিয়ে রাখে তাহলে আগামীবার বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে এই নারায়ণগঞ্জে। আগামীবার ওসমানি স্টেডিয়াম, এই স্টেডিয়াম, ঈদগাহ আর রাস্তা মিলে হবে সেই জামাত। আল্লাহ চাইলে হবে ইনশাল্লাহ।

প্রথমবারের মতো বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রেজাউল বারী, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদা হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, আদালতের নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীসহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার সর্ব শ্রেণীর মুসুল্লিরা।

 

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-এড.আল আমীন সিদ্দিকী

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শেখ সালেহ আল-তালিব গ্রেফতার

মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শেখ সালেহ আল-তালিবকে গ্রেফতার করেছে সৌদি পুলিশ। সোমবার (২০ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এই তথ্য জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ প্রিজনার্স অব কনসায়েন্স। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, মন্দ কাজ নিয়ে সর্বশেষ বক্তব্যের কারণেই আল-তালিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আল খালিজ অনলাইন জানায়, এই ইমাম সর্বশেষ হজ নিয়ে কয়েকটি টুইট করেন। যদিও তিনি নিজে এসব পোস্ট করেছেন কি না তা প্রশ্নবিদ্ধ।
২০১৭ সাল থেকে সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও আধুনিক মানসিকতা সম্পন্ন ইসলামি চিন্তাবিদদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছেন।
গত সপ্তাহেই সৌদি আরবের কারাগারে নির্যাতনে মারা গেছেন প্রখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ শেখ সুলেইমান ডয়েশ। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি যুবরাজের সমালোচনা করেছিলেন।
২০১৮ সালের মে মাস হতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী গাড়ি চালানোর অনুমতি ও পুরুষ অভিভাবকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন। মে মাসে কর্তৃপক্ষ নারী অধিকারকর্মী এমান আল-নাফজান, লুজাইন আল-হাতলুল, আজিজা আল-ইউসেফ, আয়শা আল-মানিয়ে, ইব্রাহিম মোদেইমাহ ও মোহাম্মদ আল-রাবেয়াকে গ্রেফতার করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ ও বিদেশি শত্রুদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার মতো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের জন্য সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে আরও গ্রেফতার করা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-মো.বরকতউল্লাহ

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-নাজির হোসেন

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৮ জনের জামিন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ, ফারুক হোসেন, এ পি এম সুহেল, সাখাওয়াত হোসেন রাতুল ও যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনাসহ ৮ জনের জামিন আবেদন অবশেষে মঞ্জুর করেছেন আদালত। যদিও সোমবার সকালে তাদের সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। জামিন মঞ্জুর হওয়া বাকীরা হলেন- তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন।

তাদের আইনজীবী জায়েদুর রহমান বলেন, সকালে সাত জনের জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। দুপুরে জামিনের জন্য আমরা পুনরায় আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত তা মঞ্জুর করেন। এসময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার লুৎফুন্নাহার লুনারও জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভিসির বাসা ভাঙচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও আইসিটি আইনে দায়র করা তিন মামলায় তাদের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগ থানার আইসিটি আইনে ও ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় রাশেদের জামিন আবেদন করা হয়। ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় সুহেল, মশিউর ও জসিমের। এছাড়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় ফারুক ও তরিকুলের। এ ছাড়াও ভাঙচুর ও আইসিটি আইনের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় রাতুলের।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১০ এপ্রিল শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। তবে চার মামলায় আসামিদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়াও কোটা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটা মামলা করে। এদিকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-রাসেল চৌধুরী

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

জাতীয় ঈদগাহের আশপাশে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পোশাকধারী পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সোয়াট, কাউন্টার টেররিজম ও র‌্যাব সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ঈদগাহ মাঠের প্রবেশের তিনটি রাস্তায় থাকবে পুলিশ ব্যারিকেড ও তল্লাশি চৌকি। ঈদগাহ প্রবেশের তিনটি রাস্তা হলো মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন ও প্রেসক্লাব। পরে এ তিনটি ব্যারিকেডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পার হয়ে আবার প্রধান ফটকে নিরাপত্তা তল্লাশি পার হতে হবে মুসল্লিদের। এ ছাড়া নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রবেশপথ। সেখানে নারী পুলিশরা তল্লাশি করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এবার অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজধানীর প্রতিটি ঈদের জামাতকে নিরাপদ রাখতে ১৪ হাজার ডিএমপির সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ঈদগাহ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভির নজরদারি থাকবে, যা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটর করা হবে।’

এ সময় মুসল্লিদের উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমি মুসল্লিদের অনুরোধ করে বলব, তারা যেন জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কোনো জিনিস যেন ঈদগাহ মাঠে নিয়ে না আসেন। তবে প্রয়োজন হলে জায়নামাজ ও ছাতা তল্লাশি করা হতে পারে। তল্লাশি ও নিরাপত্তার কারণে কিছুটা লম্বা লাইনের সৃষ্টি হতে পারে। তবে মুসল্লিদের বলব, বিরক্ত না হয়ে যেন পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।’

ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাট ও ঈদযাত্রা যেমন আমরা নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থার মধ্যে সম্পূর্ণ করেছি, তেমনি ঈদের জামাতও নিরাপদভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’