১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 38

এম শওকত আলী চেয়ারম্যানকে বক্তাবলীর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ফুলেল শুভেচ্ছা

নিউজ  প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নবগঠিত  পূর্নাঙ্গ কমিটিতে ভিপি আলমগীর কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হওয়ায়  বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এম শওকত আলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আলহাজ্ব এম শওকত আলীর ফতুল্লার নিজস্ব বাসভবনে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয় ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন, বক্তাবলী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. রফিক নান্নু, মো. সালেহ আহম্মেদ সানী, মো. জামাল হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন ও মো.সামছুল আলম প্রমূখ।

স্ত্রী লিপি ও ছেলে অয়ন ওসমানকে কমিটি থেকে বাদ দিতে শামীম ওসমান’র চিঠি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে নিজের স্ত্রী লিপি ওসমান ও ছেলে অয়ন ওসমানের নাম ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে বাদ দিতে চিঠি দিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাশালী এমপি শামীম ওসমান। তার এ সিদ্ধান্তের প্রতি সহমত পোষণ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরাও।

সম্প্রতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের পর প্রকাশ পায় ওই কমিটির ১নং থেকে ৩নং কার্যকরী সদস্যের তালিকায় রয়েছেন শামীম ওসমান, তার স্ত্রী ও জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী সালমা ওসমান লিপি ও জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়ন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও তাদের তিনজনের পরিবর্তে অপর তিনজন ত্যাগী নেতার নাম দিয়ে মূল্যায়িত করার মত দিয়েছেন শামীম ওসমান। এ বিষয়ে ১৩ জানুয়ারি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত পত্রও দিয়েছেন শামীম ওসমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী। পাশাপাশি যুগান্তরের কাছেও চিঠিটি হস্তগত হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগকে দেয়া শামীম ওসমানের ওই চিঠিতে কার্যকরী সদস্য হিসেবে তিনিসহ স্ত্রী ও ছেলের নাম রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি লিখেছেন- ‘আমি ও আমার পরিবার মনে করছি, ফতুল্লা থানা এলাকায় আমাদের চেয়েও ত্যাগী, যোগ্য ও রাজপথের অসংখ্য সক্রিয় নেতাকর্মী রয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে আমাদের মাতৃতুল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করছেন। আমরা মনে করি, ওই তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে আমাদের পরিবর্তে উল্লেখিত ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে আপনারা তিনজনকে নির্বাচন করে তাদের মূল্যায়িত করলে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হব।’

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী যুগান্তরকে জানান, এমন চিঠি দিয়ে শামীম ওসমান ও তার পরিবার আবারো মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। শামীম ওসমান প্রমাণ করেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি কতটা আবেগ ধারণ করেন। আমরা তার এ আবেগকে সম্মান জানাই। তবে বিষয়টি আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে শামীম ওসমান এমপি যুগান্তরকে জানান, কর্মীরাই দলের প্রাণ। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন- আমাদের চেয়েও যোগ্য ও ত্যাগ শিকার করা বহু নেতাকর্মী রয়েছেন, যাদের মূল্যায়ন করা উচিত।

জানা গেছে, শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম। প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কঠোর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। মূলত তার কারণেই নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ মডেল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগে কোনো পদে না থেকেও বিভিন্ন সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচিত হয়েছেন শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি। বিশেষ করে করোনাকালে তার ভূমিকা উঠে এসেছে জাতীয় গণমাধ্যমেও।

নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নাম আ’লীগ কমিটি থেকে বাদ দিতে শামীম ওসমানের চিঠি

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এ পরিবারটির অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। ওসমান পরিবারের প্রাণপুরুষ খান সাহেব ওসমান আলী ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে (নারায়ণগঞ্জ দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকা) ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহকে পরাজিত করে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন এম ওসমান আলী। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। এজন্য তিনি কারারুদ্ধ হন। ১৯৬২ সালের শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ওসমান আলী সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে একেএম শামসুজ্জোহা ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করে জনমত গঠন ও তহবিল সংগ্রহে একেএম শামসুজ্জোহা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম বেতার ভাষণ প্রদান করেন এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন একেএম শামসুজ্জোহা।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর মন্ত্রিত্ব গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তাকে ১৮ মাস কারাবন্দি রাখা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে ২০১২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। তার স্ত্রী নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক।

এই পরিবারেরই বড় সন্তান একেএম নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির হয়ে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরিবারের মেজো সন্তান সেলিম ওসমান একাধারে ব্যবসায়ী নেতা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬, ২০১৪ এবং সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রভাবশালী এই নেতা। (সূত্র যুগান্তর)

বক্তাবলীর রাজাপুর স:প্রা:বিদ্যালয়টি সভাপতি ইব্রাহীমের ব্যর্থতায় ধ্বংসের পথে

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ। যে কোন মুহূর্তে ধ্বসে যেতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী  বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিলের চরম অযোগ্যতার কারনে নতুন ভবন নির্মানের টেন্ডার পাশ হলেও টেন্ডার বহিভূর্ত ভবন নির্মান কাজ করায় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর তা বাতিল করে দেয়।

একটি সুত্র হতে জানা যায়, ১৯৩৯ সালে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।বর্তমানে উক্ত স্কুলে ২৪৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। কক্ষ স্বল্পতার কারনে ১৯৩৯ সালে নির্মানাধীন টিনের ঘরে চলে বিদ্যালয়ের কাজ। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির কারনে দিনদিন শিক্ষার মান নিন্মস্তরে পৌঁছে যাচ্ছে।

২০২০ সালে নতুন ভবন নির্মান কাজের টেন্ডার পাশ হয়। শর্ত ছিল স্কুলের ভবন দক্ষিণ মূখী হবে। কিন্তু স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিল ও সমাজের কয়েকজন মাদবর মিলে উত্তর মূখী করে ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। টেন্ডার বহিভূত ভবন নির্মান কাজ শুরু করায় উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে  নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। কোমল মতি শিশুরা স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করতো। বর্তমানে মাঠটি গর্ত করে রাখায় শিশুরা খেলাধুলা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সভাপতির অযোগ্যতায় টেন্ডার পাশ হওয়ার পরেও বাতিল হয়ে যায়। শিশুদের খেলার মাঠ বন্ধ করে স্কুল ভবন নির্মান করার পায়তারা করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লোকমান হোসেন জানান, যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ভবন নির্মানের জন্য আগের ইউএনও ২০ লাখ টাকা দিয়েছিল বর্তমান ইউএনও তা বন্ধ করে দেয়। এটা নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন এখন আর সম্ভব নয়। স্কুল বন্ধ রয়েছে।

সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন এজন্য দায়ী ইঞ্জিনিয়ার। করোনার কারনে রেজাল্ট খারাপ। স্কুল খোলার পর সব ঠিক হয়ে যাবে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, একটু সমস্যার কারনে বন্ধ হয়ে যায় তবে দ্রুত ভবন নির্মান কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

এম শওকত আলী ও হাকিম চৌধুরীকে কানাইনগর পঞ্চায়েত কমিটির ফুলেল শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নবগঠিত  পূর্নাঙ্গ কমিটিতে আলহাজ্ব মো. হাকিম চৌধুরী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এম শওকত আলী ও মো. হাকিম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তাবলী পরগণার কানাইনগর পঞ্চায়াত কমিটির নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বক্তাবলী ফেরীঘাটস্থ আলহাজ্ব এম শওকত আলীর নিজস্ব কার্যালয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মো. খোরশেদ আলম মাস্টার, বক্তাবলীর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রাসেল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন, মো. মোতালেব মাদবর, মো. কামরুল হাসান রিয়াদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হালিম, মো. মাসুম গাজী, মো. সালাউদ্দিন, মো. মালেক ও মো. আমান মিয়া প্রমূখ।

ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ফতুল্লায় মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় (ঢাকা বিভাগীয়) কমিটির সঙ্গে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা- কর্মীদের সাথে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফতুল্লা ডি,আই,টি মাঠ সংলগ্ন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বাস ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ।

এ সময় প্রধান অতিথি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনাদের এখানে কারো ব্যক্তি, চেহারা বা অবস্থান নির্ণয় করে নির্বাচন করবো না।আপনেরা অনেকেই অনেক মামলা হামলা, জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন দেখেছি। আপনাদের এখানে ১৬ বছর ধরে কোন নতুন কমিটি নেই।তাই আমরা অতীতে যারা মাঠ পর্যায় জোড়ালো ভাবে কাজ করেছে, মামলা,হামলা ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছে তাদের থেকে মূল্যায়ন করে নেতা নির্বাচিত করবো। এবং এখানে বর্তমান অস্থায়ীভাবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি করবো।আমাদের দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পূর্বের ন্যায় আপনেরা সবাই রাজপথের এক সাথে কাজ করবেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রতিরোধ, প্রতিবাদ এই নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকেই শুরু হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ, গণঅভার্থান এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই শুরু হয়েছে।আর আমাদের নেতা তারেক জিয়া দেশে গনতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করেছে। ১৯৭১ সালে ৩০ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলেও এখনো দেশের মানুষ স্বাধীন না কারন এখনো বাসায়, অফিসে বসে কোন মিটিং মিছিল করলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর পর ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে তাও ভোট চুরির মাধ্যমে। জনগনের ভোটের অধিকার বিএনপি ফিরিয়ে দিবে না।আপনাদেরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।আর তাই জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নেতার নির্দেশে আমরা অতীতের জেল জুলুম, মামলা হামলায় মাঠে যারা কাজ করছে তাদের এনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কাজ করছি।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার সাদাত সায়েম বলেন,আজকে আমরা কর্মী সভায় সবাই উপস্থিত হয়েছি একটি নতুন কমিটির জন্য।ফতুল্লা থানা নেতাকর্মীরা অতন্ত নিষ্ঠাবান, শৃঙ্খল ও কর্মঠ।তাই আপনাদের কাজের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা মূল্যায়ন করে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে।যারা মাঠ পর্যায় কাজ করে জেল জুলুম, মামলা হামলার শিকার হইছে তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে কোন ব্যক্তি বা দলকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। আমাদের নেতা তারেক জিয়ার নির্দেশ মোতাবেক আপনাদের থেকে নেতা নির্বাচিত হবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এবং ফতুল্লা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক পদে জাকির হোসেন রবিন, জহিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন পায়েল, ফারুক হোসেন সানি, আনোয়ার হোসেন গাজী, রাসেল মাহমুদ, জাকির হোসেন রবি, কাজী মাজেদুল হক মোট ৬ জন এবং সদস্য সচিব পদে আমিনুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ আলী, মতিউর রহমান ফকির, হারুন অর রশিদ হারুন, এস কে শাহীন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ মোল্লা, মুক্তার হোসেন, পিন্টু, এস এম দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগসহ মোট ১৩ প্রার্থীর বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা শুনেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক জুলফিকার হোসেন জনি, সালাউদ্দিন শাহীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকরামুজ্জামান টুকন, মোঃ শরিফ ফেরদৌস। উক্ত কর্মী সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সম্পাদক আলমগীর হোসেন শামীম, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুমিল্লা জেলার সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন জুয়েল কুমিল্লা উত্তরের ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা প্রমূখ।

বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করবেন না: দিহানের মা 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নয়, একান্তে সময় কাটাতে বাসায় আনুশকাকে ডেকেছিল বলে গণমাধ্যম বরাবর পাঠানো খোলা চিঠিতে অভিযুক্ত দিহানের মা সানজিদা সরকার দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

খোলা চিঠিতে দিহানের মা বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি আমার বাসায় আমার ছেলে দিহান ও ওর বান্ধবী অরনা আমিনের ঘটনায় আমি হতবাক। একজন মা ও নারী হিসেবে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। গত দুদিন আমি কোনো সংবাদমাধ্যমে কথা বলিনি।

কারণ, আমি পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেছি। দিহানের বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমার ছেলের ধর্ষণ এবং হত্যার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা মা হিসেবে জানার চেষ্টা করেছি। একজন নারী হিসেবে কোনো কিশোরীর অসম্মান হোক বা ধর্ষিত হোক- কখনো চাই না।

৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আমি আমার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যাওয়ার জন্য দিহানকে বাসায় একা রেখে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হই। আমার অন্য ছেলে নিজের কর্মস্থলে ছিল। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি মডার্ন হাসপাতালে দিহানের বান্ধবী মারা গেছে। দিহানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

দ্রুত ঢাকায় এসে দেখি পুলিশ আমার বাসায়। জানলাম মেয়েটি আমার বাসায় দিহানের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষিত হয়েছে এবং মারা গেছে। মা হিসেবে আরও আগে থেকেই একটু আন্দাজ করতে পেরেছি, আমার ছেলে কোনো একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে।

কিন্তু কোন মেয়ের সঙ্গে, তা জানা ছিল না। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মেয়েটির ‘Aurna Amin’ নামের ফেসবুক আইডিতে দিহানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, দিহানকে নিয়ে কবিতা লিখা ইত্যাদি দেখে মনে হলো এই মেয়েটির সঙ্গেই দিহান সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমি ধারণা করছি, আমি বাসা থেকে বের হওয়ার পর দিহান মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেয়েটি আমার বাসায় আসে।

দিহানের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক ছিল বিধায় মেয়েটি আমার বাসায় এসেছিল। আমি মনে করি, ধর্ষণ বা হত্যার উদ্দেশ্যে দিহান মেয়েটিকে বাসায় ডাকেনি। একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। সেই হিসেবে একান্তভাবে সময় কাটানোর জন্যই হয়তো ডেকেছিল। উভয়ের বয়স কম। একজন নাবালিকা এবং আমার ছেলেরও বয়স ১৮ বছর ৭ মাস অর্থাৎ কিশোর। আবেগের বশে উভয়েই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল এবং অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে যা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে।

আমার ছেলে ধর্ষক বা হত্যাকারী হলে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করত কিন্তু সে তা করেনি। সে নিজে গাড়ি করে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মেয়েটির মাকে ফোন করেছে, পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। আমার ছেলে যদি মেয়েটির সঙ্গে অন্যায় করে তাহলে একজন নারী হিসেবে আমিও আমার ছেলের যথাযথ বিচার হোক সেটা চাই।

কিন্তু মেয়েটির ইচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল কিনা এবং একমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কারণেই রক্তক্ষরণ ও মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের ওপর আমি বিশ্বাস রাখতে চাই এবং বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে চাই। বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক বা হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত না করার জন্য সমাজের সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো বলেন, ধর্ষণ এবং হত্যার আগে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং বয়স নির্ধারণের জন্যও তার নমুনা নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া যাবে।

  1. এর আগে গত ৮ জানুয়ারি দিহান দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবিন্দ দিয়েছে। বর্তমানে দিহান কারাগারে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন।

‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে আনুশকা-পরিবারের দাবি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দিহানের স্বীকারোক্তি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন নিহতের পরিবার। আনুশকার পরিবার বলছে ঘটনার শুরু থেকেই পুরো সত্য লুকানোর অপচেষ্টা করে আসছে দিহান। তাদের দাবি ‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা।

তার পরিবার আরো দাবি করছে যে এ ঘটনায় শুধু দিহান নয়, তার আরও তিন বন্ধু জড়িত ছিল। এখন আনুশকার পরিবার দিহানের তিন বন্ধুকেও আসামি করতে চায়। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনায় তিন বন্ধুর কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আনুশকার মা সোমবার (১১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় দিহানসহ চারজন সেখানে উপস্থিত ছিল। ঘটনা শুনে হাসপাতা লে যাওয়ার পর দিহানের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, চার বন্ধু তার বাসায় ছিল। দিহানকে আগে থেকে চিনতাম না। ওই দিন ফোন করে সে তার পরিচয় দিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, বন্ধুদের অপরাধ আড়াল করতে একাই দায় মা থায় নিয়েছে দিহান। হয়তো ওরা জোর করেই আমা র মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। কিছু খাইয়ে ওকে অচেতন করা হতে পারে। ঘটনার পর আমা র মে য়ের পিঠে আ ঘাতের চিহ্ন দেখেছি। প্রভাবশালী হওয়ায় তিন বন্ধু পার পাচ্ছে বলে অ ভিযোগ তার।

ছাত্রীর মা আরও বলেন, ঘটনা শুনে আমি হাসপাতা লে যাওয়ার পরই দিহান আমা র পা জড়িয়ে ধরে। সে বলতে থাকে- ‘আমাকে বাঁ চান।’ তিনি বলেন, পুলিশের পরামর্শে তারা মামলায় একজনকে আ সামি করেছেন। এখন দিহানের আরও তিন বন্ধুকে আ সামি করতে চান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। তার মে য়েকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এদিকে, একইদিন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ানকে আ টক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানা যায়। তার নাম দুলাল। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আনুশকার ময়নাত দন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে তার শরীরে বি কৃত যৌ নাচারের আলামত মিলেছে। বড় আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের দেহে পুশ করানোর ফলে তার বিশেষ অঙ্গ ফেটে গিয়ে অ তিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং সে মারা যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা লের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিকশা রীরিক স ম্পর্কে এতটা ভ য়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোন ‘ফরেন বডি’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বি কৃত যৌ নাচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর কি শোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধ র্ষণ করা হয়।

অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃ ত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মা মলা করেছেন। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেপ্তার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

বক্তাবলী ইউপি ৪নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন ইফতেখারুজ্জামান শাহীন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বক্তাবলী ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হচ্ছেন সাদা মনের মানুষ মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন। আসন্ন ২০২১ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৪নং ওয়ার্ড (রাজাপুর-গঙ্গানগর ) গ্রাম থেকে মেম্বার পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও শহীদ পরিবারের সন্তান মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন,মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, সত্যিকার অর্থে আপনাদের কল্যাণে কাজ করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আমার (রাজাপুর-গঙ্গানগর) গ্রামকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস মুক্ত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। এবং মুরব্বিদের পাশে থেকে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সর্ব মহলের সমর্থন একান্তভাবে কামনা করছি।

সরেজমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপ কালে সাধারন ভোটাররা জানান, মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেলে  আমরা সত্যিই আনন্দিত হব।।

শিবু মাকের্টে মহানগর মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা শিবুমার্কেট এলাকায় মহানগর মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়েই এই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান, ডাঃ মোঃ আবুল কাসেম, মোঃ আব্দুস ছালাম খাঁন, খন্দকার মামুন উর রশিদ, মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আঃ রহিম, সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম আরজু, সাংবাদিক মোঃ সিরাজুল ইসালাম, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এমএম হাসান প্রমুখ।

দোয়া পরিচালনা করেন ধনকুন্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি নাজমুল হক নোমানী।

নারায়ণগঞ্জে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

১১ জানুয়ারী (সোমবার) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এদেশের নির্বাচন কমিশন কত বড় নির্লজ্জ তা আর বলার অবকাশ রাখে না। বাংলাদেশে শুধু একজন লোককে খুশি রাখতে সব চালানো যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি রাখলেই সব চালানো যায়। ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ইসির পদত্যাগ দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন দিয়েছেন। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনি যদি শুধু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি সারাদেশের মানুষের রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে এই ইসির যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন। আপনি আপনার স্বচ্ছতা ও আপনি যে দেশবাসীর রাষ্ট্রপতি সেটি প্রমাণ করতে এ আবেদনের তদন্ত করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা মামলায় যে পরোয়ানা জারি হয়েছে সেটিও প্রত্যাহার করার দাবি জানাই আমি।

এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দিন, জাহিদ হাসান রোজেল, মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনারের দুর্নীতির ব্যাপারে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে তথ্য দিলেও সরকার এই দুর্নীতিবাজ নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে কথা বলছে। বিশিষ্ট নাগরিকদের দেয়া এইসব তথ্য তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। মানববন্ধন শেষে নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।