নিউজ প্রতিদিন: সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে ফতুল্লা পোষ্ট অফিস রোডে অবস্থিত দীপ্তি ডাইং। সরকারী নিদের্শনা অনুযায়ী ইটিপি প্লান ছাড়া ডাইং পরিচালনার ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রায় দেড় যুগেরও বেশী সময় ধরে ইটিপি প্লান ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে দীপ্তি ডাইং।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক,পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে লিখিত ভাবে অবগত করা হলেও এ ব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী মহলের। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে নিদের্শ দিলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
অনুসন্ধানে জানাযায়, দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন অবস্থিত দীপ্তি ডাইং ইটিপি প্লান ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছে। ডাইংয়ে ব্যবহৃত পরিত্যাক্ত বিষাক্ত পানিতে চলাচলের পথ পানির নিতে চলে যায়। পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় স্থানীয় বসতবাড়ীতে এই পানি প্রবেশ করে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পথচারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতা ভুক্ত সরকারী একটি রাস্তাবন্ধ করে দিয়ে দীপ্তি ডাইং কর্তৃপক্ষ নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে। যে কারনে অনেকটা বাধ্য হয়েই ডাইংয়ের বিষাক্ত পানি মাড়িয়ে এই পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রায় লক্ষাধীক পথচারীদের। স্থানীয়রা জানায়, ডাইংয়ের পানি মাড়িয়ে এই পথ দিয়ে যাতায়াতের সময় বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত গরম পানিতে পরে জ¦লসে গেছে একাধিক পথচারী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে একাধিক বার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। অনেক সময় পরিদর্শনে আসলেও তাদের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। উল্টো ডাইং কর্তৃপক্ষের সাথে খোশ গল্পে মেতে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানান,দীপ্তি ডাইংয়ের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিদের্শনা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।