নিউজ প্রতিদিন: শনিবার বিকালে ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ সময় শামীমের সাথে থাকা আরো ৩ জন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত শামীম কুড়িগ্রাম জেলার অলিপুর থানা এলাকার মহসিন আলীর ছেলে। এ সময় শামীমের কাছ থেকে ২টি মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট র্যাঙ্ক ব্যাজ, শাহিন ও লতিফ নামে নেইম প্লেট লাগানো দুটি জ্যাকেট, ৩টি পিস্তল সদৃশ্য গ্যাস লাইট, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি ওয়াকিটকি কন্ট্রোলার, ১টি চামড়ার পিস্তলের কভার, ১টি চামড়ার হ্যান্ডকাপের কভার, পুলিশের মনোগ্রাম সংযুক্ত ১টি ক্যাপ, ১টি সিগনাল লাইট, ১টি পুলিশে মনোগ্রাম সংযুক্ত কোমরের বেল্ট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার শামীম অন্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পুলিশের পোশাক পরিধান করে বিভিন্ন স্থান হইতে বিভিন্ন লোকদের নিকট হতে ছিনতাই করে থাকে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, ফতুল্লা মিয়াচর এলাকার আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৩) ও ড্রাইভার মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৩) রাজধানীর ধানমন্ডি যাওয়ার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ডগামী রাস্তার উপর ৪ জন ব্যক্তি তাদের গাড়ী ( ঢাকা মেট্রো-গ ৩৭-৯০৫০) সিগন্যাল দেয়।
তাদের মধ্যে ২ জন পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিল। গাড়ীটি থামালে ৪ জন ব্যক্তি গাড়ীর কাগজপত্র দেখার কথা বলে জোর পূর্বক গাড়ীতে উঠে গাড়ীর ড্রাইভার মো. দেলোয়ার হোসেন’কে পিছনের সিটে বসিয়ে ৪ জনের মধ্যে ১ জন গাড়ীটি চালিয়ে সাইনবোর্ডের দিকে যেতে থাকে।
এ সময় তারা ৪ জনকে ভূয়া পুলিশ চিহ্নিত করতে পারলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ভূইগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে একটি কভার্ডভ্যানের সাথে গাড়ীটির দুর্ঘটনা ঘটে।
তখন তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তিনজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করে গণপিটুনী দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আটককৃত ব্যক্তি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।