নিউজ প্রতিদিন: আমি মো. বাবুল মিয়া নারায়ণগঞ্জের সিংহ পুরুষ এ কে এম শামীম ওসমান সাহেবের একজন সামান্য কর্মী ও আলহাজ্ব এম শওকত আলীর আস্থাভাজন লোক।
১৯৯৬ সালে আমার রাজনৈতিক গুরু শওকত আলী চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে রাজপথে থেকে রাজনীতি করছি, যার কারণে আমাকে নানান নির্যাতনের শিকার হইতে হইছে।
তখন আমি ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচনে নির্বাচিত হই। নারায়ণগঞ্জের এমপি গিয়াস উদ্দিন আমাকে প্রথমে অনেক রকম লোভ তারপরে অনেক রকম চাপ সৃষ্টি করেন আমাকে তার হয়ে কাজ করার জন্য। কিন্তু আমি রাজি হই নাই আর সেই প্রেক্ষিতে আমাকে কোনো রকম কাজ বরাদ্ধ দিতো না। আমার সকল কাজে বিএনপির লোক বাধা দিতো।
রাধানগর স্কুল মাঠ বরাদ্ধ কাজে আমাকে বাধা দেয় বিএনপির লোক এবং সেখানে আমাকে রক্তাক্ত করেন আমার পেটে কোদাল দিয়ে আঘাত করে।
আমি কারো কাছে বিচার চাওয়ার আগেই। আমার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয়। এতো নির্যাতনের পরেও আমাকে রাজ পথ থেকে সরাতে পারে নাই। আমি আমার দিক থেকে শক্ত ভাবেই রাজ পথে ছিলাম দলকে ভালোবেসে আমার নেতা এবং আমার রাজনৈতিক গুরু’কে ভালোবেসে।
শামীম ওসমান এমপি ভাই যখন দেশের বাইরে ছিল তখন রাধানগর স্কুল মাঠে ৪০ টি মাইক লাগিয়ে তার বক্তব্য প্রচার করেছি।
আমি আমার রাজনীতি জীবনে আমার বিএনপির কোনো আত্বীয় স্বজনের সাথে আপোষ করি নাই।
তাই আমারই আপন ফুফাতো ভাই এবং তার চাচাতো ভাইয়েরা মিলে আমার বাড়িতে হামলা করেন।
আমার বাড়িতে একটা নৌকার ক্যাম্প ছিল তা ভেংঙ্গে দেয় এবং আমার বাড়িতে ভাংচুর করেন।
আমি এতো নির্যাতনের পরেও আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য্য ধরে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করে রাখতে সরে যাই নাই।
আর তখনই বিএনপির লোক আমার পরিবারের উপর হামলা করে। আমার ছোট ভাই জামাল কে আগুন দিয়ে পুড়ে মারার জন্য আমার ঘড়ে আগুন দেয় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার ভাই প্রানে বেচেঁ যায় কিন্তু ঘরটা পুড়েঁ ছারখার হয়ে যায়।
দলের প্রতিটা সমাবেশে অর্থ দিয়ে নিজের সবটা দিয়ে সমাবেশ সফল করার চেষ্টা করে গেছি সব সময় এবং ভবিষ্যতে ও যাবো।
আমার রাজনৈতিক গুরু আলহাজ্ব শওকত আলী চেয়ারম্যান আমার অবদানের কথা সব জানেন তাই আমি আমার রাজনৈতিক গুরু শওকত আলী চেয়ারম্যানের কাছে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত টা চাই।
ইনশাআল্লাহ আমি আশা করি আমার রাজনৈতিক গুরু আলহাজ্ব শওকত আলী চেয়ারম্যান আমাকে নিরাশ করবেন না।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু শেখ হাসিনা।