২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 82

মাদক ব্যবসায়ীর সাথে খোকন প্রধানের অডিও ফাস

স্টাফ রিপোর্টার: ফতুল্লায় নামধারী ৯ সাংবাদিক গ্রেফতার হলেও তবুও দৌরাত্ম্য কমেনি কথিত সাংবাদিকদের। ফতুল্লার বেশ কিছু নামধারী সাংবাদিক রয়েছে। এরা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং নিজেকে সংবাদ কর্মী পরিচয় দিয়ে সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এদের মধ্যে অন্যতম খোকন প্রধান। যিনি একাধারে একটি রাজনৈতিক দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে এবং নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও ঘুরে বেড়ান। সম্প্রতি এই কথিত সাংবাদিকের সাথে এক মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে কথোপকথন ফাস হয়েছে। মোবাইলে কথোপকথনে খোকনের দাবি, তার দরবারের মুরিদ না হয়ে কেউ ফতুল্লা স্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারে না। কথিত এই নামধারী সাংবাদিকের অডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোকন প্রধান ঢাকা টুডে টাইমস নামে একটি নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন। ১৩ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিওতে বেশ কয়েকবার তিনি মাদক ব্যবসায়ী চিকনা শাহিনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে। এছাড়া ফতুল্লা মডেল থানার ওসির সাথে তার কথা হয় এবং ওসি তার কথা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন আমার দরবারের মুরিদ না হলে কেউ ফতুল্লা স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারেন না। ডাকাত শাহিনসহ(ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত বোমা লিপুর ভাই) সবাই আমার মাজারের মুরিদ হয়ে ব্যবসা করছে। অডিও ফাসের পাশাপাশি নারী দিয়ে ফাসিয়ে বø্যাকমেইলিংয়ের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সাংবাদিক নামধারী খোকনের। ভিডিওতে তিনি একজনকে বø্যাক মেইলিং করতেও দেখা গেছে। এখানে তিনি এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছে। স্থানীয় কিছু বখাটে যুকদের মাধ্যমে কৌশলে নারী দিয়ে আটক করে বিচারকের ভূমিকায় অবর্তীণ হয় খোকন প্রধান। তিনিই বø্যাক মেইলিংয়ের শিকার ভদ্রলোককে সন্ধ্যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা দিয়ে যেতে বলেন। এর আগে মুন্সিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীকে বø্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে তার মটর সাইকেল ও নগদ টাকা রেখে দিয়েছিল খোকন প্রধান ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালিন ওসি(অপারেশন) মজিবুর রহমান স্টেশন রোডের পাকিস্তানি বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে খোকন প্রধানের ২ সহযোগীকে গ্রেফতার ও মটর সাইকেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। তবে রহস্যজনক কারণে এ মামলা থেকে খোকন প্রধানের নাম বাদ দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, খোকন প্রধান প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি না পেরোলেও নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে আসছে। স্থানীয় মহলে খোকন প্রধান ফেন্সী খোকন নামেও পরিচিত।

এদিকে, নামধারী সাংবাদিক খোকন প্রধানের সাথে মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে কথোপকথনের অডিও ও বø্যাক মেইলিংয়ের ভিডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এব্যাপারে ডিআই-২ সাজ্জাদ রোমন জানান, এসপি মহোদয়ের নির্দেশ সাংবাদিক হোক কিংবা অপসাংবাদিক হোক অথবা কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি যেই হোক কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
এব্যাপারে খোকন প্রধানের ০১৭২১৬৩৯১২ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা, একটি মহল আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।

আলোচিত রিফাত হত্যার প্রধান আসামী:নয়ন বন্ড বন্ধুকযুদ্ধে নিহত

দেশব্যাপী আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোররাতে বরগুনার পুরাকাটা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

southeast

নিহত নয়ন বন্ড বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলেজ রোড এলাকার মৃত মো. আবুবক্কর সিদ্দিকের ছেলে এবং রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করতে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের পুরাকাটা নামক এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি চালায় নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

southeast

গোলাগুলির এক পর্যায়ে নয়ন বন্ড বাহিনী পিছু হাঁটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নয়ন বন্ডের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগানের গুলির খোসা এবং তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নয়ন বন্ডের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় নয়ন বন্ডকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন সময় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এসব মামলার মধ্যে দুটি মাদক মামলা, একটি অস্ত্র মামলা এবং হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মারামারির মামলা রয়েছে।

southeast

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

সাংবাদিক খোকনকে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাণ নাশের হুমকি

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক :ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ খোকন প্রধানকে প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা, এঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের হয়েছে যার নং ১৫০৪( ৩০/৬/২০১৯ ইং)

সাধারন ডায়েরী ও সাংবাদিক মোঃ খোকন প্রধানের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সে দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, অন লাইন নিউজ পোর্টালসহ নিজের ফেসবুক আইডিতে মাদক ব্যবসায়ী শেল্টার দাতা এবং গডফাদার দের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে যাওয়ায় ফতুল্লা থানাধীন দাপা ইদ্রাকপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, শেল্টার দাতা গডফাদারেরা তার উপর ক্ষুদ্ব হয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছে । তিনি আরো জানায় এ সবের অংশ হিসাবে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দাতা গডফাদারের নির্দেশে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা গত কয়েক দিন যাবৎ তার নিজ বাড়ীতে রাতের অন্ধকারে ঢুকে বয়স্ক মা’কে উদ্দেশ্য করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করার কথা উলেখ্য করিয়া গালাগালি ও দূর্ব্যবহার করে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে তিনি জানায়। সুত্রের দাবী গত শনিবার দিবাগত (৩০/৬/২০১৯ ইং) আনুমানিক রাত ১ টা ২০ মিঃ কতিপয় ৪/৫ জন মাদক ব্যবসায়ী বাসার গেটে গিয়ে খোকনের নাম উচ্চারন করে গালাগালি সহ নানা ভয়-ভীতি দেখায় এবং সময় সুযোগ বুঝে খোকন প্রধানকে জীবনে শেষ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রধান করে । এঘটনায় সাংবাদিক মোঃ খোকন প্রধান ও তার পরিবার চরম নিরাপওাহীনতায় ভূগছে, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে রোববার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে যার নং ১৫০৪ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে এসআই আরিফুর রহমান । উলেখ্য যে মোঃ খোকন প্রধান বর্তমানে অন লাইন নিউজ পোর্টাল ‘টুডে টাইমস ‘এ ষ্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত রয়েছে।

চুরির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক: মারামারি, স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে তাকে মুন্সিগঞ্জ শহরের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় চরকেওয়ার টরকী গ্রামের রেহানা বেগম মামলাটি দায়ের করেন।

রেহানা বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারধর করেন ফয়সাল মৃধা।

এছাড়া টাকা, স্বর্ণালংকার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলাটি করেন রেহানা।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন বলেন, স্থানীয় একটি সমস্যার কারণে ফয়সাল মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলাটিতে ছয়জন আসামির মধ্যে প্রধান ফয়সাল মৃধা।

বক্তাবলীর চিহ্নিত ডাকাত জালাল গ্রেফতার

ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর চিহ্নিত ডাকাত জলিল ওরফে জালালকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা   মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) বিকালে বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জলিল ওরফে জালাল ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। সে চরবয়রাগাদীর মৃত হান্নান মিয়ার ছেলে।

দিনে সাংবাদিক, রাতে ডাকাত‌‌!

নিউজ প্রতিদিন: সংবাদপত্রের আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো। সাথে ডিএসএলআর ক্যামেরা। দেখলে মনে হবে সে একজন সংবাদ কর্মী। আসলে সে একজন ডাকাত সর্দার। তার নাম মো. হোসেন আলী। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আটিপাড়া। সে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দেশ’ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পরিচয় দেন।

যে বাড়িতে ডাকাতি করবে সে বাড়িতে সাংবাদিক পরিচয়ে দিনের বেলায় র‌্যাকি করে আসতো। কারো যাতে সন্দেহ না হয় তাই এমন পেশাকে বেঁছে নিয়েছেন। এমন একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য কার্ডও দেখান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোনারগাঁওয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বারদি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মো. হোসেন আলী। হোসেন একজন পেশাদার ডাকাত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউসার আহম্মেদের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে অভিনব কৌশলে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন।

অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ ছিল দুই খুনী

পরিচিত মুখ ছিল – প্রকাশ্যে এভাবে কুপিয়ে হত্যা স্ত্রী শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না স্বামীকে। বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে গতকালের এমন নৃশংস দৃশ্য দেখা যায়, যা কারও কাম্য নয়। কিন্তু যে দুই যুবক এই হত্যালীলা চালালেন, তারা কারা? এ প্রশ্ন এখন দেশবাসীর। সবাই জানতে চাচ্ছেন, এদের শক্তির উৎস কী?

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকারী দুই জনের একজন রিফাত ফরাজী। আরেকজনের নাম নয়ন (২৫) বন্ড।
দুইজনই অনেক আগে থেকেই অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ। তাদের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে যুক্ত ছিলেন রিফাত ফরাজী। এ কারণে স্থানীয়দের কাছে একটি আতঙ্কের নাম রিফাত ফরাজী। রিফাতের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের ওপর হামলা, মারধর রিফাতের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এসব কারণে কয়েকবার গ্রেফতার হলেও অজ্ঞাত এক কারণে খুব স্বল্প সময়েই মুক্তি পান তিনি। ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলাম (২১) নামে এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে মারাত্মক যখম করেন রিফাত ফরাজী।

তরিকুল জানান, একদিন সামান্য কথা কাটাকাটি হয় রিফাত ফরাজীর সঙ্গে তার। তখন রিফাত ফরাজী তাকে কুপিয়ে যখম করার হুমকি দেন। রিফাত ফরাজীর ভয়ে তিনি দেড় মাস রিফাত ফরাজীর বাসার সামনে দিয়ে না গিয়ে আধা কিলোমিটার পথ ঘুরে তার বাসায় যাওয়া আসা করতেন। হুমকি দেয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন সন্ধ্যায় রিফাত ফরাজীর বাসার সামনে দিয়ে তরিকুল তার বাসায় যাওয়ার পথে রিফাত ফরাজী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মাথায় গুরুতর যখম করেন। এ ঘটনায় তরিকুলের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

একই বছর রিফাত বরগুনার হোমিও চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন আহমেদের ডিকেপি রোডের বাসার ছাত্র মেসে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসায় থাকা সব ছাত্রদের জিম্মি করে, তাদের ১৪টি মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ রিফাতের বাবা দুলাল ফরাজীকে আটক করে মোবাইলগুলো উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ডা. আলাউদ্দিন আহমেদের ছেলে ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘ডিকেপি রোডের আমাদের ভাড়া দেয়া বরগুনা পলিট্যাকনিক ইনিস্টিটিউটের মেসে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে ১৪টি মোবাইল ছিনতাই করেন রিফাত ফরাজী। এ ঘটনা জানার পর আমি বরগুনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করায় রিফাত ফরাজীর বাবা দুলাল ফরাজীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তিনি রিফাতের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৪টি মোবাইলের মধ্যে ১১টি উদ্ধার করেন। আর বাকি তিনটি মোবাইল উদ্ধার করতে না পেরে নতুন মোবাইল কিনে দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পান।’

২০১৭ সালে বরগুনায় ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও দেশীয় অস্ত্রসহ নয়নসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ

বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মারজানা মনি বলেন, ‘২০১৭ সালের রমজানে আমার একমাত্র ছোট ভাই হাফেজ মো. মেহেদী হাসান বরগুনার হোমিও চিকিৎসক আলাউদ্দিন ডাক্তারের বাসা সংলগ্ন মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ায়। তখন রিফাত ফরাজী একদিন মেহেদীর কাছ থেকে স্যামস্যাং গ্যালাক্সি কোর প্রাইম মডেলের বিদেশ থেকে আনা একটি ফোন ছিনিয়ে নেন। বিষয়টি রিফাত ফরাজীর মা-বাবাসহ স্থানীয় অনেককে জানানোর পরও আমার ভাইয়ের মোবাইলটি কেউ উদ্ধার করে দিতে পারেনি। পরে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করার পর সাড়ে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে মোবাইলটি ফিরিয়ে দিয়ে হুমকি দেন রিফাত ফরাজী। পরে রিফাত ফরাজীর হুমকিতে ওই এলাকা ছেড়ে একপ্রকার পালিয়ে আসে আমার ভাই।’

বরগুনা সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিমে বরগুনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে নয়ন বন্ডের (২৫) বাসা। নয়নের বাবা মৃত ছিদ্দিকুর রহমান। দুই ভাইয়ের মধ্যে নয়ন ছোট। নয়নের বড় ভাই মিরাজ দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ার কারণে মাকে নিয়েই ওই বাসায় বসবাস করছেন নয়ন।

২০১৭ সালের ৫ মার্চ রাত ১১টার দিকে নয়ন বন্ডের বাসায় অভিযান চালায় বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক, দুটি দেশীয় অস্ত্র ও এক সহযোগীসহ নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসব মাদকের মধ্যে ছিল ৩০০ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন।

এ ঘটনায় জাগো নিউজসহ দেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী ইমামের গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী ইমামের বিরুদ্ধে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসেন নয়ন বন্ড। জেল থেকেই বেরিয়ে মূলত এ হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর হোসেন মাহমুদ বলেন, নয়ন বন্ডের মাদক বাণিজ্যের কথা আমরা জানি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার কথাও আমরা জেনেছি। এর আগে নয়ন ও তার সহযোগী জেল খেটেছে। জামিনে তারা বেরিয়ে যায়। রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়নসহ সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা

ডেস্ক রিপোর্ট:  বরগুনায় প্রকাশ্যে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। এরপর গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিওতে যে দুই যুবককে দেখা যায় তাদের একজনের নাম নয়ন বন্ড এবং আরেকজন রিফাত ফরাজী। তারা ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব ঘটনায় তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

এদিকে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ধারালো দা দিয়ে রিফাতকে একের পর এক কোপ দিতে থাকে দুই যুবক। ওই সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই যুবককে বারবার প্রতিহতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঘটনাটি পুলিশের সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল।

বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর হোসেন মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে থানা পুলিশের সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযান চলছে, শিগগিরই খুনিদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।

মান্নান ভূঁইয়াকে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার দিলেন জেলা প্রশাসন

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে মাদক বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সমাজকর্মী এম এ মান্নান ভূঁইয়াকে আবারো শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার তুলে দিলেন জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ। মাদক বিরোধী সামাজিক সচেতনতা মুলক কার্যক্রমে সফলতা অর্জন সহ সাহসী ভূমিকা নেয়ায় মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যূথিকা সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক, বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মোঃ হাবিব, জেল সুপার সুভাস চন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপপরিচালক একেএম শাহরিয়ার রেজা, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ আয়োজিত মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদ্য যোগদানকারী জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন।

উল্লেখ যে, মাদক বিরোধী কার্যক্রম করতে গিয়ে মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা মান্নান ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত হয়েছিলেন। মাদক বিরোধী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সমাজকর্মী এম এ মান্নান ভূঁইয়া ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও এবার ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে সম্মাননা স্মারক হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে এপর্যন্ত ৮ বার সফলতার সহিত পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রাণের এমডি আহসান চৌধুরীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রাণের এমডি আহসান খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইট। রোববার দুপুরে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে প্রাণের ঘি, লাচ্ছা সেমাই, হলুদগুড়াসহ নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই ধার্য করা হয়।

এদিকে মামলার আজকের শুনানির সময় এমডি আহসান খান উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীরা জানান, তিনি অসুস্থ, তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে আদালত এ বক্তব্য আমলে নেননি।

বিস্তারিত আসছে…