স্টাফ রিপোর্টার: ফতুল্লায় নামধারী ৯ সাংবাদিক গ্রেফতার হলেও তবুও দৌরাত্ম্য কমেনি কথিত সাংবাদিকদের। ফতুল্লার বেশ কিছু নামধারী সাংবাদিক রয়েছে। এরা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং নিজেকে সংবাদ কর্মী পরিচয় দিয়ে সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এদের মধ্যে অন্যতম খোকন প্রধান। যিনি একাধারে একটি রাজনৈতিক দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে এবং নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও ঘুরে বেড়ান। সম্প্রতি এই কথিত সাংবাদিকের সাথে এক মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে কথোপকথন ফাস হয়েছে। মোবাইলে কথোপকথনে খোকনের দাবি, তার দরবারের মুরিদ না হয়ে কেউ ফতুল্লা স্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারে না। কথিত এই নামধারী সাংবাদিকের অডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোকন প্রধান ঢাকা টুডে টাইমস নামে একটি নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন। ১৩ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিওতে বেশ কয়েকবার তিনি মাদক ব্যবসায়ী চিকনা শাহিনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে। এছাড়া ফতুল্লা মডেল থানার ওসির সাথে তার কথা হয় এবং ওসি তার কথা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন আমার দরবারের মুরিদ না হলে কেউ ফতুল্লা স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারেন না। ডাকাত শাহিনসহ(ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত বোমা লিপুর ভাই) সবাই আমার মাজারের মুরিদ হয়ে ব্যবসা করছে। অডিও ফাসের পাশাপাশি নারী দিয়ে ফাসিয়ে বø্যাকমেইলিংয়ের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সাংবাদিক নামধারী খোকনের। ভিডিওতে তিনি একজনকে বø্যাক মেইলিং করতেও দেখা গেছে। এখানে তিনি এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছে। স্থানীয় কিছু বখাটে যুকদের মাধ্যমে কৌশলে নারী দিয়ে আটক করে বিচারকের ভূমিকায় অবর্তীণ হয় খোকন প্রধান। তিনিই বø্যাক মেইলিংয়ের শিকার ভদ্রলোককে সন্ধ্যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা দিয়ে যেতে বলেন। এর আগে মুন্সিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীকে বø্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে তার মটর সাইকেল ও নগদ টাকা রেখে দিয়েছিল খোকন প্রধান ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালিন ওসি(অপারেশন) মজিবুর রহমান স্টেশন রোডের পাকিস্তানি বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে খোকন প্রধানের ২ সহযোগীকে গ্রেফতার ও মটর সাইকেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। তবে রহস্যজনক কারণে এ মামলা থেকে খোকন প্রধানের নাম বাদ দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, খোকন প্রধান প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি না পেরোলেও নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে আসছে। স্থানীয় মহলে খোকন প্রধান ফেন্সী খোকন নামেও পরিচিত।
এদিকে, নামধারী সাংবাদিক খোকন প্রধানের সাথে মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে কথোপকথনের অডিও ও বø্যাক মেইলিংয়ের ভিডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এব্যাপারে ডিআই-২ সাজ্জাদ রোমন জানান, এসপি মহোদয়ের নির্দেশ সাংবাদিক হোক কিংবা অপসাংবাদিক হোক অথবা কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি যেই হোক কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
এব্যাপারে খোকন প্রধানের ০১৭২১৬৩৯১২ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা, একটি মহল আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।