প্রধানমন্ত্রী বলার দুদিন আগেই নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বর্তমানে চলমান চক্রান্তের বিষয়ে জানিয়ে ছিলেন এমন দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমি জানানোর দুদিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেছেন ধর্মের নামে ইসলামের নামে আমাদের দেশকে আবারো রক্তাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সংগীত,আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সভাপতি রাব্বী মিয়া।
শামীম ওসমান আরো বলেন, ৩১ বছরের একজন মহিলা যে বাবা-মা, ভাই সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশে এসে হাল ধরলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রেও জন্য। জাতির পিতার মেয়ে শেখহাসিনাকে সামনে দেখে লক্ষ কোটি মানুষ সাহস পেয়েছে। নেতৃত্বপ্রদানকারী প্রধান যদি সাহসী না হয় তবে সব লড়াই জেতা যায়না। সেই লড়াইয়ে হারানোর জন্য আবার নতুন করে কৌশল হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৬ জুন আমাদের উপর আরডিএক্স ফোটানো হয়েছিলো, আমরা হামলার শিকার হয়েছিলাম। সারা বাংলাদেশের কোথাও আরডিএক্স ফোটানো হয়নি, আমাদের উপরই প্রথম ফোটানো হয়েছিলো। কি অপরাধ করেছিলাম আমরা? আমরা নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিলাম এ অপরাধে আমাদের অফিসে বোমব্লাষ্ট করা হলো। ২০ জন ছেলে মারা গেলো। রক্তের উপর শুয়ে আছি, রক্ত কত গরম আমি তা জানি। আমি তখন বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান।
শামীম ওসমান বলেন, আপনি আমি মারা গেলে আমি মরে গেলে এই দেশে কিছুই হবে না! আমার বউ-বাচ্চা কাঁদবে! হয়তো আপনারা যারা ভালোবাসেন তাঁরা একটু মনে রখবেন। খুব একটা ক্ষতি দেশের হবেনা। কিন্তু শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশটা পিছিয়ে যাবে আরো একশ বছর। তিনি এই দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আপনার, আমার ও বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য। তাই আমি একটা প্রার্থনা করি আপনাদের কাছে, যে যেই ধর্মেরই হননা কেন আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। যাতে তিনি এই দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহানগর আওয়ামী লীগের য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।