৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 261

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ গড় পাসের হার ৮৮.২৯

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। এবার পাসের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ১৪০ জন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ২২ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৩ দশমিক ১১ শতাংশ।’

গত বছর আট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৭২, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ২০ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৩ দশমিক ০১ শতাংশ ছিল।

গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন।

দুপুর ১টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল ঘোষণা করবেন।

গত বছর এসএসসি-সমমানে পাসের হার ছিল ৮৭. ০৪ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী।

চলতি বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসিতে ১৩ লাখ ৪ হাজার ২৭৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৫ এবং এসএসসি ভোকেশনালে (কারিগরি) ৯৮ হাজার ৩৮৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ আট হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।

আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসি, মাদ্রাসা বোর্ড দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

এছাড়া যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করেও ফল পাওয়া যাবে।

এসএসসির ফল পেতে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বের্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া  যাবে।

আর মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য DAKHIL স্পেস MAD স্পেস ২০১৫ লিখে ১৬২২২ ও কারিগরি বোর্ডের জন্য SSC স্পেস TEC স্পেস ২০১৫ লিখে ১৬২২২ পাঠালে ফল জানা যাবে।

আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে,বিএনপি চায় সরকারের পতন,

গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং স্থিতিশীল পরিবেশ চায় জনগণ। গণতান্ত্রিকভাবেই  বিএনপি অহিংস আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। বিএনপির একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে এ কথা বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি নেতা রিজভী বলেছেন, অবৈধ সরকার উৎখাতে প্রস্তুত জনগণ। এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আমাদের কাছে এমনও খবর আছে, তারা (বিএনপি) ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে, বাংলাদেশকে একটি ধর্মান্ধ মুসলিম দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয়, কেউ যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি করলে, সেটা মোটেও অযৌক্তিক হবে না।

ইসরায়েলে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের প্রমাণ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, একটা কেন, আমাদের কাছে এ ধরনের অনেক তথ্য আছে। যেগুলো জোড়া দিলে কালই বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে পারে সরকার। আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ অবৈধ সরকার উৎখাতে প্রস্তুত জনগণ। এজন্য বিএনপির দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন নেই।

রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের পতন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন নেই, তারা যে কোনো সময় ঝড়ে পড়বে। এ অবৈধ সরকার উৎখাতে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি জনগণকে নিয়েই রাজনীতি করে। তাই বিদেশে গিয়ে বিএনপি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের করছে বলে যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট।

তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের পতনে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেমে আসবে। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এ সরকারের আমলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অনেকেই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় মৃত্যুদ- থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। নজিরবিহীনভাবে ফাঁসির আসামিকে দ- থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৫ জন মৃত্যুদ-াদেশ পাওয়া আসামি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২ জনকেই ক্ষমা করেছে অবৈধ ও ভোটারবিহীন বর্তমান সরকার।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা-মোসাদকে ব্যবহার করে বিএনপি বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ বিষয়ে সরকারের কাছে খবর আছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (১০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া; যিনি একাধিকবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান তার হয়ে আন্তর্জাতিক দরবারে ওকালতি করছে। এটা তাৎপর্যপূর্ণ। জামায়াতের মুখোশ আগেই উন্মোচিত হয়েছে, যতই দিন যাচ্ছে বিএনপির মুখোশও উন্মোচিত হচ্ছে। তারা অব্যাহতভাবে বাংলাদেশকে বিব্রত করার জন্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আমাদের কাছে এমনও খবর আছে, তারা (বিএনপি) ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে, বাংলাদেশকে একটি ধর্মান্ধ মুসলিম দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। এটা যে কতো বড় অপরাধ! আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে এসব সাক্ষ্য প্রমাণকে এক জায়গায় করে বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার আদৌ আছে কিনা। নৈতিক অধিকারের বাইরে গিয়ে বলবো, তাদের কোনো অধিকারই নেই। কারণ, তারা অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সেই উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসেছে।

কমনওয়েলথ মিনিস্টারিয়াল অ্যাকশন গ্রুপের (সিমেগ) বৈঠকে পাকিস্তান খালেদার পক্ষে ওকালতি করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সে বৈঠকে আমরা উপস্থিত ছিলাম না, অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের থেকে সত্যতা পেয়েছি। এতে প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন না পেয়ে তারা বিদেশিদের ওপর নির্ভর করা শুরু করেছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান রাজনীতি প্রমাণ করে বিএনপি-জামায়াতের ওপর বাংলাদেশের মানুষের আস্থা নেই। আর বিএনপির এসব কর্মকা- প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষের ওপর তাদেরও আস্থা বা বিশ্বাস নেই। তাদের ভবিষ্যত এদেশের মানুষের ওপর নির্ভর করছে না। তারা মনে করছে, তাদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে সেইসব রাষ্ট্রের ওপর যাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে বাংলাদেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয়, কেউ যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি করলে, সেটা মোটেও অযৌক্তিক হবে না,’ বলেন তিনি।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের প্রমাণ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, একটা কেন, আমাদের কাছে এ ধরনের অনেক তথ্য আছে। যেগুলো জোড়া দিলে কালই বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে পারে সরকার। এসব ষড়যন্ত্র রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবসময় যোগাযোগ রক্ষার করার চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলের বাইরে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এসব চক্রান্তে বিএনপি জামায়াত অতীতেও সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

ইসরায়েল-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ কারণে (বিএনপির সঙ্গে বৈঠক) ইসরায়েলের কাছে ধরনা দেওয়ার কিছু নেই। ইসরায়েল প্যালেস্টাইনে মানুষ হত্যা করছে। প্যালেস্টাইনকে দখল করে রেখেছে। সেখানকার মানুষকে নাগরিক অধিকার দিচ্ছে না। আমরা সবসময় একটা স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র দেখতে চাই। সেখানে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের এনগেজমেন্টে (সম্পর্কে) যাওয়ার চিন্তাই করি না আমরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তার বড় প্রমাণ মোসাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের সহায়তা চাওয়া। তিনি বলেন, তাই বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি পাকিস্তানের আদর্শে লালিত একটি রাজনৈতিক দল। আর বেগম খালেদা জিয়া মূলত এ দেশের মানুষের কোনো নেতা নন, তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া পিটিআই রোডস্থ নিজ বাসভবনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সাথে এক মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। হানিফ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার জরিপে বর্তমান সরকার দেশের শতকরা ৭০ ভাগ মানুষের জনপ্রিয়তায় রয়েছে। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর জনগণ দ্বারা প্রত্যাখাত দল বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেদের ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের পরে পাকিস্তান যে প্রতিক্রিয়া দেয় খালেদা জিয়া ও তার দলের পক্ষ থেকেও একই রকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া আসলে বাংলাদেশে বসে পাকিস্তানের স্বার্থ সংরক্ষণ করছেন। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান যেমন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন, ঠিক তেমনি বেগম জিয়াও পাকিস্তানের গুপ্তচর। গতকাল মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছেন। তিনি দেশে বসে পাকিস্তানের সাথে সুর মিলিয়ে কথা বলেন। পাকিস্তানের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যস্ত থাকেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে বেগম জিয়া নিয়মিত মাসোহারা পান। অন্য কোনো দেশ হলে খালেদা জিয়া এতদিনে রাজনীতি করার যোগ্যতা হারাতেন। তাই আমি সরকারকে অনুরোধ জানাবো অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৮৫ অভিবাসী শ্রমিক আটক

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ের বিভিন্ন বিপণি বিতানে অভিযান চালিয়ে ৮৫ অভিবাসী শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ইমিগ্রেশন পুলিশের ৯০ জন সদস্য এই আটক অভিযান পরিচালনা করেন।

আটক হওয়া অভিবাসীদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর। তাঁদের মধ্যে ১১ জন নারী রয়েছেন।

পেনাং ইমিগ্রেশনের সহকারী পরিচালক আবদুল রহমান স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার ডটকমকে বলেন, এসব অভিবাসীর কাছে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাঁরা সবাই নির্ধারিত সময়ের পরও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। পেনাং, কেদাহ, পার্লিস ও পেরাকের অভিবাসন কর্মকর্তারা যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

আবদুল রহমান আরো জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকের সংখ্যা বেশি।

মালয়েশিয়ার নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় এ অভিযান পরিচালনা করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

অভিযানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কাজ করা বাবুর্চি ও ওয়েটারদের বিশেষভাবে খোঁজা হয়। মোট ৪০টি ফুড কোর্টে অভিযান চালিয়ে এই ৮৫ জনকে আটক করা হয়।

অধিকতর তদন্তের জন্য এসব খাবারের দোকানের মালিকদেরও তলব করেছে অভিবাসন বিভাগ। দেশটির ১৯৬৩ সালের অভিবাসন আইনের ৩৯-এর বি ধারা অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বিএনপি ইউপি নির্বাচনের পরের ধাপগুলোতেও থাকবে

ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানী, কারচুপি এবং দল মনোনিত প্রার্থীদের ধারাবাহিক পরাজয়ের পরও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরের ধাপগুলোতেও থাকবে বিএনপি।

সোমবার (৯ মে) রাতে গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত মনোনয়ন বাণিজ্য’র অভিযোগ তদন্তের দাবিও ওঠে বৈঠকে।

এ ছাড়া জাতীয় কাউন্সিলের পৌনে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বিএনপির বাকি কমিটিগুলো ঘোষণা না হওয়ায় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত কমিটি ঘোষণার দাবি জানান।

বৈঠকে অংশ নেওয়া স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য’র সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে দলীয় বাধ্যবাধকতার কারণে কেউ নাম প্রকাশে রাজি হননি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আলোচনার শুরুতেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, কারচুপি, প্রাণহানী ও দলীয় প্রার্থীদের ধারাবাহিক পরাজয় নিয়ে কথা ওঠে। এসময় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন নেতা এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার কোনো যৌক্তিকতা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

কিন্তু দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে থাকার পক্ষে অবস্থান নিলে এ নিয়ে আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি।

এরপর স্থায়ী কমিটির অন্তত তিনজন নেতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলেন।

মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য খালেদা জিয়াকে অনুরোধ জানান তারা। জবাবে খালেদা জিয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

সব শেষে বিএনপির বাকি কমিটিগুলো ঘোষণা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থায়ী কমিটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। খালেদা জিয়াকে তারা বলেন, কমিটিগুলো দ্রুত ঘোষণা করে ছোটখাটো কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের ওপর স্নয়ুচাপ সৃষ্টি করতে হবে।

জবাবে সবাইকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন খালেদা জিয়া। এসময় তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে কিছু হবে না। হিসাব করে পা ফেলতে হবে। দলকে সংগঠিত করে কর্মসূচির কথা ভাবতে হবে।

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।

রাত সাড়ে ৯ টায় শুরু হয়ে বৈঠক শেষ হয় রাত সাড়ে ১১ টায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে খালেদা জিয়ার মামলা, সাংবাদিক শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের কারাবাস নিয়েও আলোচনা হয়।

খালেদা জিয়া পাকিস্তানি এজেন্ট

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচনগুলোর জন্য অব্যাহতভাবে আইএসআই এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘‘খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘পাকিস্তানের ওকালতি’’’ শিরোনামের একটি সংবাদের সূত্র উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এ অভিযোগ করেন।প্রকাশিত সংবাদটির অনলাইন লিংক সহ প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় সজীব ওয়াজেদ নিজের স্ট্যাটাসটিতে লেখেন, ‘আমি আগেই বলেছি খালেদা জিয়া পাকিস্তনি এজেন্ট। তিনি অব্যাহতভাবে নির্বাচনগুলোর জন্য আইএসআই এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে আসছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এখন পাকিস্তানি সরকার তার পক্ষে প্রকাশ্যে তদবির করছে।’

খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘অবস্থান নিয়ে’ পাকিস্তান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কমনওয়েলথের একটি বৈঠকে আলোচনার প্রস্তাব তুলেছিল বলে উল্লেখিত সংবাদটিতে বলা হয়।

এক কূটনৈতিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদটিতে জানানো হয়, লন্ডনে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুপের ওই বৈঠকে সদস্য অন্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ইসলামাবাদের ওই প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বলে সংবাদটিতে বলা হয়।

পানামা পেপার্সে বাংলাদেশের ৫৬ নাম

পানামা পেপার্সে উঠে এসেছে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট মোট ৫৬ নাম। এর মধ্যে নতুন যোগ হয়েছে ২৪ নাম। একাধিক অফশোর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে দুজনের নাম এসেছে দুবার করে। এরা প্রত্যেকে কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সোমবার বাংলাদেশ সময়  রাত ১২টায় নতুন তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেশভিত্তিক ডাটাবেজে নতুন ব্যক্তিদের নাম, তাদের অফশোর প্রতিষ্ঠানের নাম, নিবন্ধনের স্থান, বর্তমান অবস্থা, প্রতিষ্ঠানে তাদের ভূমিকা কি সেসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। যদিও তালিকায় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয় নি।

তালিকায় বাংলাদেশের নতুন যে নামগুলো এসেছে সেগুলো হলো:  কফিল এইচ এস মুয়িদ, দ্য বিয়ারার (২ বার), পেসিনা স্টেফানো, রুডি বেঞ্জামিন, মো. ইউসুফ রায়হান রেজা, ইশরাক আহমেদ, মিস নভেরা চৌধুরী, ফারহাদ গণি মোহাম্মদ, মেহবুব চৌধুরী, বিলকিস ফাতিমা জেসমিন, রজার বার্ব, মো. আবুল বাশার, জেইন ওমার, বেনজির আহমেদ, মো. আফজালুর রহমান, মল্লিক সুধীর, সরকার জীবন কুমার, নিজাম এম সেলিম, মো. মোকসেদুল ইসলাম, মো. মোতাজ্জারুল ইসলাম (২বার), মো. সেলিমুজ্জামান ও মো. আফজালুর রহমান। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ঠিকানা দেয়া আছে হংকং, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ।

দুই অফশোর প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ ডাটাবেজে ৫৬ ব্যক্তির নাম ছাড়াও রয়েছে ২ টি অফশোর প্রতিষ্ঠানের নাম। একটি সোয়েন ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। অপরটি সেভেন সি’জ অ্যাসেটস লিমিটেড। দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই গুলশান-২ এর একই ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠান দুটিতে সংশ্লিষ্ট দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন: স্টেফান পিরকার ও রুখসানা পিরকার।

ইন্টারমিডিয়ারি ৩: বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ইন্টারমিডিয়ারি ৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে। এর মধ্যে নতুন যোগ হয়েছে স্টিফান পিরকারের নাম। বাকি দুজন হলেন, বিবিটিএল ও দিলিপ কুমার মোদি।

বাংলাদেশের ঠিকানা ৪২: অফশোর প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৪২টি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। ডাটাবেজে ঠিকানা ও ঠিকানা ব্যবহারকারী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নামগুলো থেকে বোধগম্য হয় বাংলাদেশি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এসব ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। ঢাকার, গুলশান, বারিধারা, বনানি, মিরপুর, বসুন্ধরা ছাড়াও রয়েছে, টঙ্গি, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঠিকানা।

সোমবার রাতে পানামা পেপার্সে বিশ্বব্যাপী নতুন দুই লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় এই তথ্যগুলো যেকোনো স্থান থেকে দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এসব তথ্যে বেরিয়ে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ২০টিরও বেশি ‘ট্যাক্স হেভেনে’র নাম। পানামাভিত্তিক আইনি পরামর্শ প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার কাছে রক্ষিত ছিল এসব নথি।

জার্মানির পত্রিকা সুয়েডডয়চে জেইটাং প্রথম এই নথিগুলো অজ্ঞাতসূত্র থেকে হাতে পায়। পরে তারা তা শেয়ার করে আইসিআইজের সঙ্গে। প্রায় ৮০টি দেশের ৩৭০ জনেরও বেশি রিপোর্টার এক বছর ধরে গবেষণা করে এসব নথি নিয়ে। এরপর ৩রা এপ্রিল প্রথমবারের মতো তার কিছু অংশ বিশ্বের গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা হয়। এতে ক্ষমতাধর রাজনীতিক, সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান, সেলিব্রেটিসহ বেরিয়ে আসে বড় বড় রাঘব-বোয়ালের নাম। আইসিআইজের কাছে জমা হওয়া মোট নথির পরিমাণ এক কোটি ১৫ লাখেরও বেশি। উইকিলিকসের ফাঁস করা নথির তুলনায় এর পরিমাণ হাজারেরও বেশি গুণ।

বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার উদ্বোধনকালে এ পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগে সকাল ৯টায় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ও বি-ব্লকের মধ্যবর্তী স্থান ‘বটতল চত্বর’ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত রোগ। আগাম প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। তবে আক্রান্ত হলেও ভয়ের কিছু নেই। রোগটি জন্মগত হলেও সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগীরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা যাতে রক্ত পরীক্ষা, রক্ত গ্রহণ ও চিকিৎসাসহ সমন্বিত সেবা পান সেজন্যই বহির্বিভাগে সমন্বিত সেবা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার চালু করা হলো।
দিবসটি উপলক্ষে থ্যালাসেমিয়া সেন্টার দিনব্যাপী বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন হেমাটোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আগত রোগী ও স্বজনদের বিনামূল্যে স্ক্রিনিং টেস্টও করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স এবং থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘নিশ্চিত হোক নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জলিলুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস প্রমুখ।

সাংবাদিক স্টিকার নিয়ে পুলিশের বাড়াবাড়ি অগ্রহণযোগ্য : ট্রাফিক আইন মানবো : হয়রানি মানব না:-বিএফইউজে ও ডিইউজে’র বিবৃতি

গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং স্টিকার অপসারনের নামে পেশাদার সাংবাদিকদের পুলিশী হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র নেতারা। বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুুদ্দিন হারুন ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ঢাকা সাংবাদকি ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে ডিএমপি’র সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে নির্দেশ প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা ট্রাফিক আইন মানতে প্রস্তুত এবং তা মেনেই গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ট্রাফিক পুুলিশের অহেতুক হয়রানি সাংবাদিক সমাজ মানবে না। এক শ্রেণীর ট্রাফিক পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই গাড়ি থামিয়ে তল্লাশীর নামে নানা অজুহাতে যানবাহন চালক ও মালিকদের হয়রানি করে থাকেন। আর একবার গাড়ি সিগনাল দিয়ে থামালে কাগজপত্র ঠিক থাকলেও বিভিন্ন বাহানায় হেনস্থা করার প্রবণতা সর্বজনবিদিত। সাধারণত গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা বা মামলা করার এখতিয়ার ট্রাফিক কনস্টবলদের না থাকলেও অসৎ উদ্দেশে গাড়ি থামিয়ে হয়রানি ও অবৈধ সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টা চালায়। এ ধরনের উটকো হয়রানি এড়ানোর জন্যই পেশাদার সাংবাদিকরা স্টিকার ব্যবহার করেন। আর স্টিকার ব্যবহার করলে প্রয়োজনে নিরাপত্তা তল্লাশী চালানো যাবেনা, এমন দাবীও সাংবাদিকরা করছে না।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতই সাংবাদিকরা ঘটনা-দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে দ্রæত গন্তব্যে যেতে হয়। সে সময় কয়েকটি স্থানে ট্রাফিক হয়রানির মুখোমুখি হলে পেশাগত দায়িত্ব পালন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। বাস্তবতা অনুধাবন করে ঢাকা মহাগনর পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক স্টিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন বলে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন ।

বিচারহীনতা কারনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দেশ

অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও সাবেক ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবার-দাবার গুরুত্বপূর্ণ। খুব প্রয়োজনীয়। তারচেয়েও বেশি প্রয়োজন কি নিরাপত্তা নয়? মানুষ নিরাপদে পথ চলবেন, বাড়িতে নিশ্চিতে ঘুমাবেন। নিরাপত্তার এই জায়গাটিও বোধ হয় নিঃশেষ হয়েছে। যা পরিস্থিতি চারদিকে কে কোথা থেকে, কোন মুহূর্তে মারা যান, মেরে ফেলা হয় নিশ্চিত নয় কেউ। এটি তো অতীতে ছিল না দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশের এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতি কেন, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। প্রতিদিনই পত্রিকায় হত্যা-খুনের খবর থাকে। এমন কোনোদিন নেই হত্যাকান্ড- হচ্ছে না। নারী-শিশু ধর্ষণ হচ্ছে না। নারী-শিশুরাও এখন নিরাপদ নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে।

অনিশ্চিত, অনিরাপদ, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির দায় কার, দায়ী কে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এই অস্বাভাবিকতা পরিস্থিতির মূল কারণ। বিচারহীনতা মারাত্মক একটা ব্যাধির মতো দাঁড়িয়েছে। কোনো একটা ঘটনা ঘটছে, তার তদন্ত, ওমুক-তমুক করতে গিয়ে বছরের পর বছর পার হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছুই হচ্ছে না।

যেকোনো অন্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে আস্তে আস্তে ব্যাপারগুলো শেষ হয়ে যেত। দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি পেলে হয়তো মানুষের কিছুটা কষ্ট হয়, কিন্তু জানটাই যদি চলে যায় তাহলে থাকেটা কী? মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। চলাফেরা কঠিন হয়ে ওঠেছে। প্রতিমুহূর্ত একটা আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে মানুষকে পথ চলতে হচ্ছে। ঘর থেকে বের হলে বাড়িতে কখন পৌঁছাব বা বাড়িতেই গিয়েই আবার কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় এমন আতঙ্কে আছে মানুষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ক্রিমিনালদের দিকে দৃষ্টি নেই, তাদের দৃষ্টি বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দিকে। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এমন সব লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের যোগ্যতা নেই, আছে সরকারের প্রতি আনুগত্যবোধ।

তিনি আরও বলেন, এখন কখন কাকে মেরে ফেলা হচ্ছে তা হিসাবে আনা যাচ্ছে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমকে মেরে ফেলা হলো। উনি ছিলেন একজন শান্তশিষ্ট মানুষ। ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন। বেহালা বাজাতেন। শুনেছি তিনি তার গ্রামের মসজিদটি টাইলস্ও করে দিয়েছিলেন। সবাইকে সহযোগিতা করতেন। এখানে তো অধর্মের কিছু নেই, কারও বিরুদ্ধেও কোনো কিছু নেই।

বাংলাদেশ কী মুক্তমতের মানুষদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের এখন ভয়ংকর অবস্থা। রুয়ান্ডা, বুরন্ডিয়ার মতো কতগুলো রাষ্ট্র রয়েছে আফ্রিকা অঞ্চলে, যার প্রায় প্রত্যেকটিকেই ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা হয়। এখনকার মতোই তাদের শুরুটা হয়েছিল। দেশ বিভক্তি হয়ে যায়। আমাদের এখানেও বিভক্তি রয়েছে। সবার মধ্যে বিভাজনটা মারাত্মকভাবে হয়েছে। শিক্ষকেরা বিভক্ত, ছাত্ররা বিভক্ত, চিকিৎসকেরা বিভক্ত, সাংবাদিকেরা বিভক্ত, বিচারকেরাও বিভক্ত। এই বিভক্তি থেকেই দেশ আস্তে আস্তে একটা ভঙ্গুর অবস্থায় যাবে। ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হবে।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য কী বিএনপি বা বিএনপির রাজনীতি কোনোভাবে দায়ী? এমন প্রশ্নের জবাবে এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিএনপি সেই রাজনীতিটা করতে পারছে না। কারণ বিএনপির কী পরিমাণ নেতা-কর্মী কারাগারে আছে তা তো আপনারা ভালো জানেন। কারাগার ভর্তি বিএনপি নেতা-কর্মীতে। এখানে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ব্যাপার নয়, ব্যাপার হচ্ছেÑ ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দুষ্কর্মগুলো উৎসাহ দিচ্ছে অথবা তা সামাল দিতে পারছে না।

এমন অস্থির পরিস্থিতিতে আপনার পরামর্শ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। অন্যায় যে-ই করবে, খুব দ্রুত অন্যায়কারীকে ধরতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

ফ্রান্স আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সংঘর্ষ, আহত ২০ , গ্রেফতার ৩

ফ্রান্স: আলোচনার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও গ্রহনযোগ্য কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতিতে আজ প্যারিসে বহু কাঙ্ক্ষিত আওয়ামীলীগের সম্মেলন শুরু হলেও প্রভাব বিস্তার ও শ্লোগানকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছুঁড়াছুড়ি ও মারামারির মাধ্যমে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড হয়েছে।

পরে উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। সমস্যার সূত্রপাত হয় মূলত শ্লোগানকে কেন্দ্র করে। সম্মেলনে ফ্রান্স আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ সেলিম ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম  সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য মঞ্চে আহবান করলে,  তাদের কর্মী সমর্থকরা একযোগে শ্লোগান দিতে থাকলে সমর্থকদের মাঝে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত কর্মী সমর্থকরা এক পক্ষ অপর পক্ষের  উপর চেয়ার ও টেবিল নিক্ষেপ করতে থাকে, এতে  পুরো সম্মেলন স্থল জুড়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এ সময় কর্মী সমর্থকদের ছুঁড়া চেয়ারের  আঘাতে ফ্রান্স আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম খান সহ প্রায় ২০ জন জন কর্মী সমর্থক আহত হয় ।

পরে পুলিশ এসে  সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সর্বশেষ খবর পাওয়া  পর্যন্ত পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে । সম্মেলনে সর্ব ইউরোপ আওয়ামীলীগের সভাপতি অনিল দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক গনি সহ ইউরোপের অনেক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।