১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 234

সমগ্র মুসলিম জাতিকে মতিউর ফকিরের ঈদ শুভেচ্ছা

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

সমগ্র মুসলিম জাতিকে মোঃ কামাল এর ঈদ শুভেচ্ছা

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-মোহাম্মদ মাহমুদ

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-রাসেল প্রধাণ

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

ঈদকে সামনে জাল টাকার চক্র ও চামড়া সন্ত্রাসীরা সক্রিয়

ঈদকে সামনে রেখে জেলায় অপরাধ বাড়ছে। মৌসুমী অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাইকারী, জাল টাকা চক্র, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির সদস্যদের। ঈদকে ঘিরে জেলা জুড়ে এসব অপরাধীরা ছদ্ববেশ ধারন করে নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরেছে। এসব অপরাধের সাথে অনেক ভদ্রবেশী অপরাধীরাও রয়েছে। বেড়েছে পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতাও। ঈদকে ঘিরে অপরাধীদের তৎপরাতায় শঙ্কিত হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে, ঈদকে ঘিওে মাদক ব্যবসায়ীরাও সক্রিয় রয়েছে। গুঞ্জন চলছে, ঈদের আগে মাদক মজুদ করার চেষ্টা করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তবে অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সক্রিয় রয়েছে। পোশাকি ছাড়া সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জাল টাকা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন কোরবানীর হাটকে ঘিরে চলছে তাদের তৎপরতা। এছাড়া বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলোতেও এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। ব্যস্ততম সময়গুলোকে চেছে নিয়ে এই চক্রের সদস্যরা তৎপরতা চালাচ্ছে। আর এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে। কমিশন ভিত্তিতে এ ব্যাবসা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তবে এই চক্রকে সনাক্ত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে মনে করনে সচেতন মহল। অন্যদিকে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ভিত্তি মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা তৎপর রয়েছে। এসব মৌসুমী চামাড়া ব্যবসার সাথে বেশরি ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও সমর্থক থাকায় এ নিয়ে প্রতি বছরই ভীত থাকে কোরবানী তাদারা। এবারও একই অবস্থা বিরাজ করছে কোরবানী দাতাদের মধ্যে। বিড়ত দিনে চামাড়া ব্যবসা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অভিজ্ঞা থেকেই নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে এ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, ঈদকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটগুলো পৃথক পৃথক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠে। ঈদের আগে অভিনব কৌশলে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে আসা হয় নারায়ণগঞ্জে। বিত দিনের ন্যায় এবারও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে অপরাধীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ঈদকে সামনে রেখে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি। জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

জঙ্গিবাদ রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-আনোয়ার

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে জঙ্গি-মৌলবাদ ও সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমার ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নারায়ণগঞ্জসহ দেশে কোন ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ আয়োজিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিন মেরুতে বিভক্ত ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে আমরা দুই মেরু এখন এককাতারে এসে রাজনীতি করছি। এখন আর উত্তর-দক্ষিন মেরুর বিভক্তি নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। সন্ত্রাসের রাজনীতি সম্পর্কে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সন্ত্রাসী করিনা, আর কাউকে সন্ত্রাস করতে দিব না। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা ত্যাগের রাজনীতি শিখেছি, ভোগের রাজনীতি শিখিনি। তিনি নেতাকর্মীদেও ত্যাগের নয়, ভোগের রাজনীতি করার আহবান জানান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. আসাদুজ্জামান দূর্জয় বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকর্ত থাকতে হবে। আমাদেও আন্দোলন স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে। আমরা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারন করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। খালেদা জিয়াকে হুঁশিয়ারি করে দূজর্য় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আর একবার যদি হত্যার চেষ্টা করা হয় তা হলে খালেদা জিয়াকে দাঁত ভাঙ্গ জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার দোষররা কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্ধীদের বিপদগামী করে এদেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার স্বপ্ন পূরন হতে দিবে। তিনি জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদেও বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। মহানগর মুক্তযোদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান ভূইঁয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তাপস সরকার পাপ্পুম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মনির হোসেন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, মহারগর কমিটির নেতা ডা: কামরুল হাসান, মো: সোহেল, সেলিম মাদবর প্রমুখ। এসময় মাসুম আহমেদ সুমনকে সভাপতি, ইকবাল শেখকে সিনিয়র সহ-সভাপতি,রিয়াজ আহমেদ রিপনকে সাধারন সম্পাদক ও মোস্তাহিদ খানে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।

জাদূঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক

স্বাধীনতার মহান ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পদক জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। ২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে যৌথভাবে শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি সরকারের জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেওয়া রাষ্ট্রের বেসামরিক সর্বোচ্চ সম্মান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তের আলোকে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত শহীদ জিয়ার পদকটি বুধবার সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই পদক বাতিল করার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা ওই পদকটি আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। মিউজিয়াম থেকে পদকটি নিতে আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বুধবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদকটি নিয়ে এসেছেন। মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনের বীর সেনাপতি এবং স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় এই সম্মান বাতিলের সিদ্ধান্তে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও ঘৃনার সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দলটি।

না’গঞ্জ থেকে আটক দম্পতি পাকিস্তান যাচ্ছিল জঙ্গি ট্রেনিং নিতে

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক হওয়া নব্য জেএমবির সদস্য দুই দম্পতি জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে পাকিস্তান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-২ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানান।

মাহমুদ খান জানান, জেএমবির বেশ কয়েকজন সদস্য জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের বিপরীতে একটি রেস্টুরেন্ট অভিযান চালায়। সেখান থেকে মারজিয়া আক্তর সুমি (১৯), মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে সুলতান মাহমুদ ওরফে মাহমুদ (১৮), মো. আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুলকে (৩৪) আটক করে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে নাহিদা সুলতানা (৩০) নামে অপর এক নারীকেও আটক করে। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই, লিফলেট, সিডি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমি জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে সে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর জেএমবির থ্রিমা ও টেলিগ্রাম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই গ্রুপের কাজ হলো বাছাইকৃত সদস্যদের বাংলাদেশের ভেতরে একটি করে অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া এবং অভিযান সফল হলে বিদেশে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

এই গ্রুপ থেকেই আফিফ, কাইফ, জাইশান ও মফিজ নামে আরও অনেকের সঙ্গে সুমির কথা হয়। এভাবে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ২০ আগস্ট বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে সংগঠনের সিদ্ধান্তে মাহমুদের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তারা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

আটক মাহমুদ জানিয়েছে, সে জেএমবির সক্রিয় সদস্য। সে হিযরতের সদস্য সংগ্রহ করতো। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারি এড়াতে তারা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল জানিয়েছে, সে ও নাহিদা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। সে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের লোক সংগ্রহ এবং তাদের প্রভাবিত করতো। দুই সন্তানের বাবা আমিনুল সংগঠনের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নাহিদাকে বিয়ে করে এবং দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

নাহিদা জানিয়েছে, সে ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে দাওয়াতুল ইসলাম অ্যাপস ব্যবহার করতে শুরু করে। আদর্শিক কারণে ও জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী দলে যুক্ত হওয়ায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে সে ২২ মে আমিনুলকে বিয়ে করে।

আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানিয়েছে, দেশে চার-পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কয়েকটি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। তারা হত্যাসহ আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে।

নারায়ণগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে নিম্ন মানের সেমাই

নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক হারে তৈরী হচ্ছে নিম্নমাণের লাচ্ছা সেমাই। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে স্থায়ী-অস্থায়ী সেমাই কারখানাগুলোতে এসব সেমাই তৈরী হচ্ছে। গোপনে নোংরা পরিবেশে এসব লাচ্ছা-সেমাই তৈরী করছে বেকারী ব্যবসায়ীরা। আর এগুলোই যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন নামি-দামি দোকানগুলোতে। বিএসটিআই’র অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সেমাই কারখানাগুলো থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈদুল আযহাকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা নেমেছে ভেজাল ও নিম্নমাণের লাচ্ছা-সেমাই তৈরীর কাজে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আগাছার মত গড়ে উঠেছে ৪০টির বেশি ‘মৌসুমি’ কারখানা। আরো অন্তত ১০টি স্থায়ী কারাখানায় ভেজাল ও নিন্মমাণের লাচ্ছা-সেমাই তৈরী হচ্ছে ।

উদ্ধবগঞ্জ, সাহাপুর, মেঘনা শিল্পাঞ্চল, মোগরাপাড়া চৌরাস্থা, কাচঁপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন কারখানার ভেতরে গোপনে গড়ে উঠেছে ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী সেমাই কারখানা।

জানা যায়, দৈল্যেরবাগ এলাকায় ঢাকা বেকারী, উদ্ধবগঞ্জ সাহাপুর এলাকায় নুর বেকারী, হাবিবপুর এলাকায় মুন্নী বেকারী, কাচঁপুর সোনাপুরে এবি ফুড প্রোডাক্ট, বেহাকৈর এলাকায় শাহিন ফুড প্রোডাক্ট, আরজুফা সহ ৪০টি বেকারীতে ঈদ উপলক্ষে ৮-১০দিন ধরে লাচ্ছা-সেমাই উৎপাদন হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারজাত ও শুরু করেছে। যারা উৎপাদনে গেছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশ কারাখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিদিন শতশত খাচি খোলা লাচ্ছা-সেমাই তৈরী হচ্ছে।

সরেজমিন কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, স্থায়ী কারাখানাগুলোতেও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরী করে চলেছেন শ্রমিকরা। আর অস্থায়ী কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে স্টিল, পাস্টিক, লোহাসহ বিভিন্ন কারাখানার ভিতরে ছোট জায়গায় অথবা অলিগলির ভিতরে। কেউ জায়গা ভাড়া নিয়ে অথবা কারখানা মালিকরা নিজেরাই এসব অস্থায়ী সেমাই কারখানা গড়ে তুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কারখানা মালিক জানান, প্রতি বছর ঈদুল আযহায় সোনারগাঁয়ে যে পরিমাণ লাচ্ছা-সেমাইয়ের প্রয়োজন হয়, তা স্থায়ী কারখানাগুলো সরবরাহ করতে পারে না। আবার স্থায়ী কারখানাগুলোর তৈরী লাচ্ছা-সেমাই নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এর ফলে ঈদকে ঘিরে এবারও বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী কারখানা গড়ে উঠেছে বা উঠছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব কারখানার মালিকরা প্রশাসনের চোখের আড়ালে সেমাই তৈরী করে যাচ্ছেন কেউ কেউ দিনের বেলা আবার কেউ রাতের আঁধারেও তৈরী করছেন খোলা বা প্যাকেটজাত লাচ্ছা-সেমাই। বিএসআটিইয়ের কোনো অনুমোদন ছাড়াই গোপনে এসব অবৈধভাবে নোংরা ও অসাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমাণের সেমাই তৈরীর দৃশ্য ও দেখা গেছে। আবার তৈরীকৃত অধিকাংশ লাচ্ছা-সেমাইয়ে মেশানো হচ্ছে নিম্নমাণের উপাদান ও ক্ষতিকারক রং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি অস্থায়ী কারখানার মালিক বলেন, ‘অস্থায়ী কারাখানার মালিকরা বছরের এই সময়টায় শুধু লাচ্ছা-সেমাই তৈরী করেন। কেউ কেউ নিজের বাড়িতেই। আবার কেউ অন্যের জায়গা মাস দুয়েকের জন্য ভাড়া নিয়ে তৈরী করেন লাচ্ছা-সেমাই।

বনফুল, রুচিতাসহ আরো কয়েকটি স্থায়ী কারখানার কয়েকজন শ্রমিক নিশ্চিত করেছেন, এই সময়ে চাহিদা প্রচুর থাকার কারণে সঠিক মান ও পরিমানের সেমাই তারাও তৈরী করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে অসাধু মৌসুমী ব্যাবসায়ীরাও কারখানা গড়ে তুলে ভেজাল ও নিম্নমাণের লাচ্ছা-সেমাই উৎপাদন করছেন। সবমিলিয়ে এসব কারখানাগুলোতে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার খাঁচি সেমাই তৈরি হচ্ছে।’

সূত্র জানায়, এসব কারখানায় উৎপাদিত সেমাই রাতের আঁধারেই চলে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে। শুধু তাই নয়, উপজেলার গন্ডি পেড়িয়ে তা বাজারজাত করা হচ্ছে শহরের নামি দামি দোকনগুলোতেও।

এসব প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম জাকারিয়া বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। অস্বাস্থ্যকর বা অনুমোদনহীন কারাখানায় সেমাই তৈরী হলে সেখানেও অভিযান চালানো হবে।

পশুর হাট নিয়ে ফাতেমা-পলাশ মুখোমুখি-উত্তেজনা চরমে

সদর উপজেলার আলীগঞ্জ পশুর হাট নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাইফউল্লা বাদল ও শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদের মধ্যে সমঝোতা হলেও ফাতেমা মনির এখনও রয়েছে তার অবস্থানে অনড়।

অনেকের মতে হাট ইজারা নিয়ে পলাশ গ্রুপ ও ফাতেমা মনির গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। কেন না, সাইফউল্লা বাদল পলাশের সঙ্গে সমঝোতায় এলেও পলাশকে এক চুলও ছাড়া না দেয়ার অবস্থানেই রয়েছে ফাতেমা।

এর আগে রোববার নির্ধারিত সময়ের পর পশুর হাটের টেন্ডার জমা দিতে উপজেলায় আসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। এসময় পলাশ গ্রুপের সাথে ফাতেমা মনির গ্রুপের বাকবিতণ্ডা হয়।

এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এ ঘটনার পর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরী টেন্ডার বাক্স সীলগালা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে সোমবার সকালে সকলের উপস্থিতি টেন্ডার বাক্স খোলা হলেও টেন্ডার নিষ্পত্তি না হওয়ায় রিটেন্ডারের ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আলীগঞ্জ হাটের শিডিউল বিক্রি হচ্ছে। এ শিডিউল আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) জমা নেয়া হবে।

অপরদিকে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লা বাদলের সাথে হাট ইজারা নিয়ে সমঝোতায় এসেছে পলাশ। ফলে বাদল টেন্ডার নিয়ে কোন রকম বাধ সাধবেন না।

তবে ফাতেমা মনির এখনও তার অবস্থানে অনড় থাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে পলাশ গ্রুপের মাঝে। ধারণা করা হচ্ছে এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রসঙ্গত, বেশ ক`বছর যাবৎ আলীগঞ্জ পশুর হাট ইজারা নিয়ে আসছিলেন কাউসার আহম্মেদ পলাশ। বিভিন্ন উন্নয়নে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলে এ নিয়ে কেউ আর দ্বিমত পোষণ না করে তার পক্ষেই মত দেন।

তবে, অনেকেই অভিযোগ করেন উন্নয়ন কাজে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর কথা থাকলেও পলাশ সে অর্থ একাই আত্মসাৎ করেছেন।

এরমধ্যে গত বছর হাটের টাকা আলীগঞ্জ স্টেডিয়ামের গ্যালারী করার কথা থাকলেও পলাশ তা করেন নি বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। যার ফলে এবার নিজ এলাকার লোকেরাও পলাশের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।