৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 8

নারায়ণগঞ্জে অস্ত্র সহ ১জন কে আটক করেছে ডিবি

 নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জে অস্ত্র তৈরি এবং সরবারহের অভিযোগে নিতাইগঞ্জ থেকে করিম মিয়া নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বাসা থেকে দুটি দেশীয় রিভলভার এবং একটি দেশীয় একনলা শটগান সহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নিতাইগঞ্জের ঋষিপাড়ার নলুয়াপাড়া এলাকায় অভিযানে এ অস্ত্র তৈরির কারখানা শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, বহুদিনের তথ্য ছিল যে নিতাইগঞ্জ থেকে সারা দেশে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। ঘরোয়া পরিবেশে দেশীয় অস্ত্র তৈরি এবং সরবরাহের কারবার চলছে। এই তথ্য অনুসদ্ধান করতে করতে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আমাদের ডিবির টিম আসে এখানে। তারা হাতেনাতেই অস্ত্র তৈরির কারবারিকে করিম মিয়াকে আটক করে। অভিযানের সময় করিম মিয়া থেকে দুটি দেশীয় রিভলভার এবং একটি দেশীয় একনলা শটগান সহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃত করিম মিয়া হলেন চাঁদপুরের হাইমচর মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। করিম ৯০ দশকের সময় এখানে আসেন। এখানে বোনের বাসার পেছনে সেই অস্ত্র তৈরির কারবার চালাচ্ছিলো। আমরা তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার থেকে জানার চেষ্টা করছি যে, তিনি কার কার কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে বা কার থেকেই সরঞ্জাম ক্রয় করেছেন। করিম মিয়া জানিয়েছেন তার সাথে আরো দুইজন সঙ্গী আছেন, আমরা তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করছি। করিম মিয়া চাঁদপুর থেকে ১৯৯০ সালে এখানে আসেন। এখানে এসে কবুতর পালন করতেন কিন্তু কবুতরের পাশাপাশি সে এই অস্ত্র তৈরি ব্যবসাটি করতেন। বিগত একবছর ধরে তিনি কবুতর পালন বাদ দিয়ে এই ব্যবসায় আছেন।

ফতুল্লার কুতুবপুরের লিমন-ইমরান বাহিনী বেপরোয়া

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লার কুতুবপুরে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং লিডার লিমন-ইমরান বাহিনী। নিজের কখনো ছাত্রলীগ, কখনো যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে কয়েকশ উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

লিমন-ইমরান অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরানের বিরুদ্ধে আফজাল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয়রা আফজালকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় লিমন,ইমরান, ইমরান ওরফে কালু ইমরান, ইকবাল ও তানভীরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে জামিন নিয়ে নতুন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। এই বাহিনী প্রায় সময়ই কুতুবপুর বৌবাজার, শাহী বাজার,রসুলপুর, আমতলা এলাকায় কিশোর অপরাধীদের নিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে থাকে। এসব এলাকার অপরাধের জগৎ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাদের এমন মহড়া নিয়মিত রুটিনে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের।

এলাকাবাসী জানায়, লিমন,ইমরান,নাঈম বিশাল বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কয়েকশ কিশোর অপরাধী। এসব সন্ত্রাসীদের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পরেছে। উঠতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এমনকি থানায় অভিযোগ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে। এলাকার অপর একটি সূত্র জানায়, শুধু অয়ন ওসমানের নাম ব্যবহার করে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই বাহিনী।

উল্লেখ্য, লিমন,ইমরান তাদের বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বটতলা বৌবাজার এলাকায় আবুল হোসেনের মালিকানাধীন দোকান দখলে করেছিলেন। পরবর্তীতে চাপে পরে দখলকৃত দোকান ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

ডিবি কার্যালয়ে এসে তিশার বাবা বলেন, ‘মুশতাক মানসিকভাবে অসুস্থ’

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত দম্পতি মুশতাক-তিশা। এবার রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে এসে মুশতাকের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মুশতাক মানসিকভাবে অসুস্থ।’

রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাকে এবং আমার ছোট মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করতে ডিবি অফিসে এসেছি।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আলোচিত এ দম্পতিকে জ্ঞানপাপী, ভণ্ড, কু-শিক্ষিত, সমাজ বিরোধী, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসকারী, প্রতারক ও সভ্যতা বিরোধী লোক বলে মন্তব্য করে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীরুল ইসলাম।

মাথায় বলের আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত মোস্তাফিজ হাসপাতালে 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আজ বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অনুশীলনে মাথায় বলের আঘাতে রক্ত ঝড়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের। জানা গেছে তাঁকে দ্রুত চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে তাকে। মাথা থেকে প্রচুর রক্ত পড়তে দেখা গেছে মোস্তাফিজের।

নেটে মোস্তাফিজের বলে ব্যাটিং করছিলেন লিটন দাস। হুট করেই একটি শটে বল এসে মাথার পেছনে লাগে। এ সময় পাশের নেটে ব্যাট করছিলেন ম্যাথু ফোর্ড। পরে যাওয়ার পর অনেকক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় তাঁকে। যদিও সেবা পেয়ে উঠে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। পরে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তাঁকে।

বিপিএলে আজ কোনো খেলা নেই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাই অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

জানা গেছে, নেটে বল করে রানআপে ফিরছিলেন মোস্তাফিজ। এ সময় কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ডাক দেন। মাথা ঘুরিয়ে সেদিকে যাওয়ার সময়ই বল মোস্তাফিজের মাথার বাঁ দিকে আঘাত করে।

চুয়াডাঙ্গার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা, ১ বছরের কারাদণ্ড শিক্ষার্থীর

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ১ বছরের জেল হয়েছে সালমা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থীর। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস সমাজতত্ব বিষয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের ৩য় পর্বের পরীক্ষায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পরিবর্তে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল না থাকায় কক্ষ পরিদর্শক তাকে সন্দেহ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদের ভ্রাম্যমাণ আদালত সালমাকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

সালমা খাতুন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের সম্মান ৩য় বর্ষের ছাত্রী ও আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস ৪র্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু পরীক্ষার্থী ছিলেন। ইতিমধ্যে দুটি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। শনিবার ছিল তৃতীয় পর্বের সমাজতত্ব পরীক্ষা। গত ২ দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা দিতে যাননি কাজী মারজাহান নিতু।

তার পরিবর্তে আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন সালমা খাতুন। বিপত্তি বাধে কক্ষ পরিদর্শক কর্তৃক উত্তরপত্র স্বাক্ষরের সময়। কক্ষ পরিদর্শক প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে সালমা খাতুনের কোনো মিল পাননি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে ফেঁসে যান সালমা খাতুন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্র সচিবের কক্ষে।

বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সালমা খাতুনকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ সালের ৩ এর খ ধারায় এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন বলেন, ডিগ্রি ৪র্থ সেমিস্টারের সমাজতত্বের তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল না থাকার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সালমার ১ বছরের জেল হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আটক-১

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আলামিন ওরফে দানিয়াল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় শুভ নামে আরো একজন আহত হন।

শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল (২৮) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। আর আহত শুভ (২২) একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। তাদের মধ্য দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত ছিল আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।

হাসপাতালে নিহতের লাশ নিয়ে আহাজারি করছিলেন তার মা মুক্তা বেগম। এসময় তিনি জানান, বাড়ির পাশে দানিয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ছোট ছেলে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে দানিয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি দানিয়াল মারা গেছে।

তিনি বলেন, দানিয়ালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সাথে স্থানীয় অনিকদের বিরোধ চলছিল। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি চাই।

নিহতের স্ত্রী রাত্রি আক্তার জানান, গত দুই বছর আগে তার সাথে দানিয়ালের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে কয়েকমাস ধরে তারা আলাদা বাসা নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। রাত ১০টার দিকে দানিয়াল তার বন্ধু শুভকে নিয়ে চাষাঢ়া ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসে লাশ হয়ে।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসলিম আহমেদ জানান, বেশ কিছুদিন আগে ওই এলাকার রমুর নাতি হিসেবে পরিচিত অনিকও তার লোকজনের সাথে নিহতের মারামারি ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রমু ওই এলাকায় শীর্ষ মাদক কারবারি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তার সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে দানিয়ালের ওপর হামলা হয়।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এছাড়া নিহত যুবকের বিরুদ্ধেও থানায় মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রমুকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে ওই দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করে কয়েকজন যুবক। পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আহতদের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের আবার আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

 

আজ পবিত্র শবে মেরাজ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : পবিত্র শবে মেরাজ আজ। রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎর্পযর্পূণ। র্ধমপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি র্অজনে এই রাতে তারা পবত্রি কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জকিরি ও দোয়া-দরুদ করেন।

বৃহস্পতবিার (৮ ফেব্রুয়ারি) জোহরর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎর্পয নিয় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ইসলামকি ফাউন্ডশেন।

মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করনে । পবিত্র মেরাজ শরিফের ঘটনা ঘটার আগে রাসূল (সা.)-এর ওপর একের পর এক দুর্যোগ নেমে এসেছিল। স্নেহময় চাচা আবু তালেবের ইন্তেকাল, প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল এবং তায়েফবাসীদের অভাবনীয় অত্যাচার, প্রিয় রাসূল (সা.)-এর নবুয়তের মহাগুণাবলির অন্যতম উজ্জ্বল নিদর্শন হলো মেরাজের ঘটনা।

নবুয়ত ঘোষণার প্রকাদশ বছরে কারও মতে দশম বছরে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দাসে গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবিদের জামাতে ইমামতি করেন। অতঃপর বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে সপ্তম আকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মাহনবি (সা.)।

এর আগে আকাশের সাত স্তরে মহানবিকে স্বাগত জানান হজরত আদম (আ.), হজরত ঈসা (আ.), হজরত ইয়াহইয়া (আ.), হজরত ইদ্রিস (আ.), হজরত হারুন (আ.), হজরত মুসা (আ.) এবং হজরত ইবরাহিম (আ.)। সপ্তম আকাশে পৌঁছে জিবরাইল (আ.) জানালেন, এরপর তার যাওয়ার অনুমতি নেই। অতঃপর রফরফ নামে একটি যানে করে রাসূল (সা.) ৭০ হাজার নুরের পর্দা ভেদ করে আরশে আজিমে পৌঁছান।
সেখানে এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে তার কথোপকথন হয়।

রাসূল (সা.) প্রেমাস্পদকে সম্ভাষণ জানালেন ‘আত্তাহিয়্যাতু ল্লিল্লহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যিবাত’ বলে। অর্থাৎ আমার বাচনিক সব উপাসনা, দৈহিক সব সাধনা এবং আর্থিক সব সেবা খোদার জন্য নিয়োজিত। উত্তরে আল্লাহপাক জানালেন : ‘আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অর্থাৎ হে নবি, আপনার প্রতি সালাম, খোদার অপার করুণা আপনার ওপর বর্ষিত হোক এবং আপনি বরকতযুক্ত হোন। রাসূল (সা.) তাঁর উম্মতদের ভুলে থাকলেন না, তিনি একা কেন এত বরাতযুক্ত হবেন? তাই তিনিও বলে উঠলেন : ‘আসসালামু আলাইনা ওয়াআলা ইবা-দিল্লাহিস সলিহিন’।

অর্থাৎ হে দয়াময়, শুধু আমার প্রতি নয় বরং আমাদের প্রতি (অর্থাৎ আমার ও আমার উম্মতের প্রতি) ও আপনার নেক বান্দাদের প্রতি করুণা বর্ষিত হোক। রাসূল (সা.)-এর এহেন কথায় আরশের ফেরেশতারা প্রত্যেকে আনন্দে বলে উঠল : ‘আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআশহাদু আন্না মাহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।’
অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তাজেদারে মদিনা (সা.) তার উম্মতদের কতটা ভালোবাসেন তার উজ্জ্বল নিদর্শন এ কথোপকথনের মধ্যেই ফুটে উঠেছে, এটি সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। প্রেমময় প্রভুর সন্নিকটে থেকে তিনি তার উম্মতদের কথা ভুলে থাকেননি।
মেরাজের রাতে তিনি আল্লাহপাকের কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এলেন। নামাজকে আরবিতে সালাত বলে।

এ সালাত শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। সালাতের এক অর্থ হচ্ছে দুইকে এক করা, নামাজ-আবদ ও মাবুদের এক হয়ে যাওয়া জিনিস। বান্দা যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন তাকে ভাবতে হয়, প্রেমময় প্রভু তাকে দেখছেন অথবা তিনিই তাকে দেখছেন। একেই মেরাজুল মুমেনিন বলে। এভাবে মুমিন বান্দারা প্রত্যহ পাঁচবার মেরাজের স্বাদ গ্রহণ করে থাকেন।
সব মুমিন মুসলমান, কিন্তু সব মুসলমান মুমিন নয়।

সূরা হুজরাতের ১৪ নং আয়াতে আছে- ‘মরুবাসীগণ বলে ঈমান এনেছি হে রাসূল আপনি বলুন-তোমরা শান্তির পথে এসেছ মাত্র, ইমান তোমাদের হৃদয়ে প্রবেশ করেনি। সুতরাং কালেমা মুখে উচ্চারণ করলে কিংবা ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেই মানুষ মুমিন হয় না, মুসলমান হতে পারে।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ তার মনের প্রবৃত্তি আমার আনীত দ্বীন ও শরিয়তের অধীনে না হবে। (মেশকাত)।

পূর্ণ মুমিনের চিহ্ন হচ্ছে : আল্লাহর রুবুবিয়াতে পরিপূর্ণ বিশ্বাস করা আল্লাহর উপস্থিতি প্রতিক্ষণে অনুভব করা, আল্লাহর ইচ্ছার মধ্যে নিজেকে বিলীন করা এবং তাঁর রাসূল (সা.)কে সর্বান্তঃকরণে অনুসরণ করা [সৈয়দ রশীদ আহমেদ জৌনুপরী]। নামাজের ভেতর অনেক রকম ইবাদত একত্রে হয়ে থাকে। যেমন আরশে মোয়াল্লায় ফেরেশতার দল কেউ কিয়ামে, কেউ রুকু আবার কেউ সেজদায় থাকেন। আরশের ফেরেশতাদের অনুকরণ রয়েছে এ নামাজে। তাশাহহুদে রয়েছে মেরাজের রাতের আল্লাহ ও তার হাবিবের কথোপকথন। এ ছাড়া দরুদ, কুরআন তেলাওয়াত, সালাম, জিকির, তাসবিহ-তাহলিল ইত্যাদি। এ যেন একের মধ্যে বহুল সমাবেশ। নামাজ পড়তে বলার পরিবর্তে বলা হয়েছে নামাজকে সযত্নে রক্ষা করতে। শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ‘পবিত্র কুরআন পাকে নামাজের কথা যতবার বলা হয়েছে ততবারই জাকাতের কথা বলা হয়েছে, ত্যাগ যেখানে নেই সেখানে প্রেম নেই। আর প্রেম যেখানে নেই সেখানে ধর্ম নেই। যারা ধর্মের মর্মমূলে প্রেমকে উপলব্ধি করেন না তাদের কাছে রুকু রুকুই, সেজদা সেজদাই।

এক ধরনের শারীরিক কসরত তাদের কাছে ধর্ম [সত্যের প্রকাশ]।
সূরা তওবার ১৩৬ নং আয়াতে আরবি ১২টি মাসের মধ্যে জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসকে অত্যন্ত পবিত্র বলা হয়েছে, এ মাসগুলোর সম্মানার্থে অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সঙ্গে এবাদত বন্দেগির পরিমাণ বাড়াতে হবে। আবু দাউদ থেকে বর্ণিত হাদিসে ৫টি রাতে আল্লাহপাক দোয়া কবুল করে থাকেন। ২৬ রজবের দিবাগত রাত, অর্থাৎ সবে মেরাজ, ১৪ সাবানের দিবাগত রাত, দুই ঈদের আগের রাত এবং লাইলাতুল কদরের রাত, তবে এ রাতে অবাধ্য সন্তান, অবাধ্য স্ত্রী এবং সুদখোরের দোয়া কবুল হবে না।

বক্তাবলীতে শিশু ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় ৮ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নেয়নি পুলিশ!

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে লম্পট আমির হোসেন গাজী কর্তৃক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ম্যানেজ করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। এটাকে পুঁজি করে হাশেম এর নেতৃত্বে একটি চক্র ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াসউদ্দিন ও এএসআই সিরাজ মাতাব্বর ঘটনাস্থলে গেলেও ধর্ষকের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়ায় এখনো পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ এমনটাই অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গিয়াসউদ্দিন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এখন বৃষ্টি হচ্ছে পরে ফোন দেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাজমা আক্তার (ছদ্মনাম) স্বামী মোঃ নুরুল হক (ছদ্মনাম) সাং- রাধানগর, পোঃ বক্তাবলী, থানাঃ ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ। থানায় হাজির হইয়া বিবাদী- মেঃ আমির হোসেন গাজী (৪৫), পিতাঃ আঃ বারেক গাজী, সাং- রাধানগর, পোঃ বক্তাবলী, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদী আমার প্রতিবেশী হয়। বক্তাবলী প্রসন্ননগর খাজা মার্কেটে বিবাদীর গ্যাসের দোকান আছে। আমি বিবাদীর নিকট হইতে প্রায় সময় সিলিন্ডার এলপি গ্যাস ক্রয় করিতাম। গ্যাস ক্রয় করার সময় আমার শিশু মেয়ে- নুরুননাহার (ছদ্মনাম) (৮) আমার সাথে বিবাদীর দোকানে যাইতো এবং পুনরায় আমার সাথে চলিয়া আসতো। সে সুবাদে বিবাদী আমার মেয়েকে চিনতো এবং প্রায় সময় রাস্তা ঘাটে দেখা হইলে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মজা দিবে বলিয়া তাহার সহিত যাইতে বলে।

বিষয়টি আমার মেয়েকে আমাকে জানাইলে, বিবাদী আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় আমি বিষয়টি আমলে নেই নাই। এরই মধ্যে অদ্য ইং ৩১/০১/২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১:৪৫ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে- নুরুননাহার (৮) রাধানগরস্থ তাহার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহিলা মাদ্রাসা হইতে আমার বাসায় ফেরার পথিমধ্যে রাধানগর দক্ষিণ পাড়া পাকা রাস্তার ওপরে পৌছাইলে উল্লেখিত বিবাদী আমার মেয়েকে রাস্তার মধ্যে পাইয়া মজা দিবে বলিয়া প্রলোভন দেখাইয়া ও ফুসলাইয়া রাধানগর দক্ষিণ পাড়া সাকিনস্থ রাস্তার পাশে জনৈক রফিকের ভিটাও উপর নির্মিত পরিত্যাক্ত একটি ত্রিপলের ঘরের ভিতরে নিয়া বিবাদী তাহার অবৈধভাবে তাহার কু-কামনা চরিতারর্থ করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় এবং আমার মেয়ের পরিহিত পায়জামা খুলিয়া আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করতঃ আমার মেয়ের সহিত ধস্তাধস্তি শুরু করে।

ঘটনার সময় আমার মেয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ডাক-চিৎকার শুরু করিলে, আশেপাশের লোকজন ও সাক্ষীরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদী ঘটনাস্থল হইতে দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীরা আমার মেয়েকে আমার বাসায় নিয়া আসে এবং ঘটনার বিষয়টি আমি আমার মেয়ের নিকট হইতে ও সাক্ষীদের নিকট হইতে বিস্তারিত অবহিত হইয়া থানায় আসিয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সিরাজ মাতাব্বর বলেন, ঐ ঘটনার তদন্তকারী হচ্ছেন গিয়াস স্যার। আমি স্যারের সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান। তবুও তাদেরকে বলা হয়েছিলো থানায় এসে ওসি স্যারের সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু তারা আসেননি।

ফতুল্লায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েও তারা জেসমিনকে বাঁচাতে পারলেন না। তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে নগরীর খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম জেসমিন বেগম। ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকার আলী হোসেনের স্ত্রী।

জানা গেছে, নিহতের চারভাই প্রবাসী হওয়ার নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন নিহতের স্বামী আলী হোসেন। এর আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করা হলে তিনি তার মেজো ভাইকে ঘটনা জানায়। এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে নিহতের পরিবারকে জেসমিনের স্বামী ফোন করে জানায়- তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, সেখানে মারা গেছে।

পরে পরিবারে লোকজন এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বোন ও বড়ভাইয়ের দাবি, তার বোনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা জানান, তার বোন জেসমিন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থাও তার ওপর টাকার জন্য নানাভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী, শাশুড়ি ও তাদের স্বজনরা। এরপর ৩ ধাপে ৮ লাখ, ৫ লাখ ও ৭ লাখ টাকা দিয়েও তার ওপর নির্যাতনের খড়গ বন্ধ করতে পারেন নি। এছাড়াও কিছুদিন আগে আলী হোসেনের নামে যে টাকা রাখা হয়েছে তা জেসমিনের বাপের বাড়ির থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম জানান, রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে নগরীর খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তিনি তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ জন চাঁদাবাজ গ্রেফতার  

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কালে ২৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন চাঁদাবাজকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদী কারাদন্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ ও ১২ জন চাঁদাবাজকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

এই সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। রবিবার ( ৪ ফেব্রæয়ারী ) সড়কে সবজি ও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকারী নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদা আদায়কালে হাতেনাতে ২৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাবের এএসপি সনদ বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সম্প্রতি পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সড়ক-মহাসড়কে এসব বাড়তি খরচের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। যার ফলে সবজির মৌসুমেও কমছে না সবজির দাম। পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজির ঘটনা মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় এই সমস্যা সমাধানে চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে নজরদারি বাড়ায় র‌্যাব-১১।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রæপে ভাগ হয়ে প্রতি রাতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দেয়।

ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এদের কাছে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভাররা ও ব্যবসায়ীরা জিম্মি। এই বাড়তি খরচের ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আটককৃত চাদাঁবাজদের মধ্যে ১৩জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয় এবং ১২জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বিভিন্ন মেয়াদী কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলো, মো.জুয়েল আহমেদ, মো. শফিকুল ইসলাম,আব্দুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন, খলিল, মো. ওমর ফারুক, মোাঃ ওমর ফারুক, হাসান মাসুম, মোঃ বিপ্লব খান,মোঃ ফরহাদ, মো. আসিফ, মো. আতিকুর রহমান, মারুফ হোসেন এবং অর্থদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, মো. কবির হোসেন, রানা, মো. রাজিব, দিপু, মো. সাদ্দাম হোসেন, মোঃ সুমন খান লাল, আব্দুর রহমান মুন্না, মো. সোহেল, আল আমিন, মো. ইশবাল, মো. রকিবুল হাসান এবং মো. রাসেল।