১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog

শাহ আলমের উদ্যোগে ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় ফতুল্লায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি থেকে মনোনীত প্রত্যাশী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলমের উদ্যোগে ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গুলোতে অংশ নেন নানা বয়সের মুসল্লি, স্থানীয় আলেম-উলামা, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিটি স্থানে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য, দীর্ঘায়ু এবং দেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়ায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বেগম জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সংগ্রামের প্রতীক; তাঁর সুস্থতা কামনা করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

আয়োজক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশের প্রতিটি মসজিদে দোয়া অব্যাহত রাখুন। আল্লাহ যেন তাঁকে পূর্ণ সুস্থতা, শক্তি ও দীর্ঘায়ু দান করেন – আমীন। আমরা সবাই জানি, দেশের মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।”

তিনি আরও বলেন – “এ দোয়া শুধু আজকের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা চাই এটি ধারাবাহিকভাবে চলুক – ১ লা ডিসেম্বরের মতো যেন একইভাবে দোয়ার আয়োজন অব্যাহত থাকে, এ প্রত্যাশা জানিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ করছি। ফতুল্লার প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি মহল্লা, প্রতিটি মসজিদ–মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে দোয়া আয়োজনের ব্যবস্থা আমরা অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ। আমরা আশা করি – জনগণের আন্তরিক দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও দেশের মানুষের মাঝে ফিরে আসবেন।”

এই দোয়া মাহফিলে আগত নতাকর্মীরা দেশনেত্রীর সুস্থতা ও দেশের কল্যাণ কামনা করে আন্তরিকভাবে দোয়া করেন।

বক্তাবলী গণহত্যা দিবসে শহীদদের প্রতি বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির বিনম্র শ্রদ্ধা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী পরগনার ১৩৯ জন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন সমর্থীত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কানাইনগর বেকারী মোড় হতে র‍্যালী নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে যায়। পরে তারা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আকতার খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তাবলী গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে জামায়াতের দোয়া মাহফিল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী পরগনার ১৩৯ জন শহিদদের স্মরণে জামায়াত ইসলামের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বক্তাবলীর লক্ষীনগর পূর্বপাড়া এলাকায় বধ্যভূমি সংলগ্ন স্থানীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের আমির মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারী আবু সাঈদ মুন্না।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলাম নেতা ফতুল্লা পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা নুরুল হক, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলার শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ আব্দুল করিম খান, আলীরটেক ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের সভাপতি মুরাদ হোসাইন, ফতুল্লা পশ্চিম থানা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি নুরুল আমীন, জামায়াত ইসলামের নেতা আবু সাইদ, সাইদুর রহমান বাচ্চু, আবু সাঈদ, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নেয়ামত উল্লাহ, মুসলিম খান, মুখলেছিন, আব্দুল হালিমসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দসহ এলাকার সাধারণ জনগণ।

 

বক্তাবলী গণহত্যা দিবসে শহীদদের প্রতি বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির বিনম্র শ্রদ্ধা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী পরগনার ১৩৯ জন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপি সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা ঐ অঞ্চলের শহিদদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্য ভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বক্তাবলীর কানাইনগর স্মৃতিস্তম্ভে এবং লক্ষীনগর বধ্য ভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এদিকে সকালে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কানাইনগর বেকারী মোড় হতে রেলি নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে যায়। পরে তারা ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি আকবর আলী সুমন, সহকারী পিপি এড: নুরুল আমিন মাসুম, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইদ্রিস আলী প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাদশা মিয়া, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সলিম উল্লাহ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মীর আলমগীর, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন মাষ্টার, ৮নং ওয়াডর্ড বিএনপির সভাপতি হাশেম ঢালী, বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎসজীবি দলের সাবেক সভাপতি মোশারফ ফকির প্রমুখ।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন সমর্থীত বিএনপি সহ-অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কানাইনগর স্মৃতি স্তম্ভে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সহসভাপতি লোকমান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড আকতার খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে বক্তাবলী ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগ কানাইনগরে স্মৃতি স্তম্ভে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইদ্রিস আলী প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক রহমত উল্লাহ সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও কানাইনগর হাই স্কুল মাঠে স্থাপিত স্মৃতি স্তম্ভে বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সহ দোয়া প্রার্থনা করেন। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষীনগর বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ফাইভ পাস আবুল বয়াতি এখন কোরআনের তাফসিরকারক! 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বিতর্কিত বাউলশিল্পী আবুল সরকার মহারাজ ওরফে আবুল বয়াতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার করার পর আর পড়ালেখা না করে গান গাওয়া শুরু করেন। পঞ্চম শ্রেণি পাস করেই দিতে থাকেন ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন অপব্যাখ্যা। পাঁচ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন আসরে আবির্ভূত হন কোরআনের ‘তাফসিরকারক’ হিসেবে। এসব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ও পবিত্র কোরআনের আয়াত নিয়ে ভুয়া বিবরণ তিনি প্রচার করতেন ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি একটি পালাগানের আসরে আল্লাহ, কোরআন এবং নবী মুহম্মদ (সা.)-সহ কয়েকটি ধর্মীয় বিষয়ে কটূক্তি করলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন আবুল বয়াতি। তার জীবনযাপন ছিল রহস্যময়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার চর দিল্লি গ্রামে তার বাড়িতে ভিআইপি ভক্তদেরও আনাগোনা ছিল। বসত নানা আসর। এসব আড্ডায় বেশ কয়েকবার ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি করেন তিনি। কিন্তু শিল্পী হওয়ায় এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও ফ্যাসিবাদী দলটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেত না। তবে এবার তার বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ লোকজন এককাট্টা হলে বিপত্তি বাধে।

আবুলের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সন্তানের জনক আবুল বয়াতি বাউল গান গাওয়া শুরু করেন ১০ বছর বয়স থেকেই। তার স্ত্রী আলেয়া বেগমও বাউলশিল্পী। আবুল যেখানেই গান গাইতে যেতেন, সেখানে তার স্ত্রীকেও নিতেন। সম্প্রতি নিজেকে পীর হিসেবে পরিচিত করতে শুরু করেন আবুল, বাড়াচ্ছিলেন ভক্ত। তিনি গ্রামবাসীর কাছে দাবি করেন, পীর সৈয়দ হাসিব আল হাসান রেজুইয়ের কাছ থেকে ২০০৭ সালে খেলাফত পান। এমন দাবি তিনি পালাগানের আসরেও বলতেন। এমনকি তার নামও লেখেন সৈয়দে গোলাম মহারাজ আবুল সরকার আল চিশতী নিজামি। তার একটি বয়াতি গানের বইও আছে।

সূত্র জানায়, ঢাকাসহ সারা দেশে তার ৫০ হাজারের মতো ভক্ত আছে বলে তিনি দাবি করতেন। তার বয়াতি গানের শিষ্যের সংখ্যাও হাজারখানেক। এছাড়া তিনি ভারতে গেছেন একাধিকবার। আবুল গানের আসরে ভক্তদের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ভারতে আজমির শরিফ ভ্রমণ করেছেন। ২০০৭ সালে তার গানের ওস্তাদ রশিদ সরকারের সঙ্গে ওমরা হজও পালন করেন।

সূত্র আরো জানায়, আবুলের বসতভিটায় প্রায় ৪৫ শতাংশ জমি আছে। আরো ২০০ শতাংশ জমি কিনেছেন। নবীনগর এলাকায় তার একটি প্লট আছে। মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা-দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে আশা সুপার মার্কেট করেছেন লিজের জমিতে। তিনি মিরপুর-১-এ ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।

বিতর্কিত এই শিল্পীর স্বজনরা জানান, আবুলের তিন ভাই ও চার বোন আছে। এর মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সাত ভাইবোনের মধ্যে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর একটি মসজিদের ইমাম। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে অপব্যাখ্যা দেওয়ার কারণে আবুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো নয়। এ কারণে জাহাঙ্গীরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন এই বয়াতি। এমনকি জামায়াত ও শিবিরের তকমা দিয়ে একাধিক মামলায় জড়িয়ে তাকে জেলেও পাঠান তিনি।

আবুলের সরাসরি আওয়ামী লীগের পদ-পদবি নেই। তবে আওয়ামী মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় আপন ভাই জাহাঙ্গীরকে জমিসংক্রান্ত বিরোধে হয়রানি করেন। এছাড়া জাহাঙ্গীরের বাড়িতে একটি মহিলা মাদরাসা ছিল, যা রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসন দিয়ে বন্ধ করে দেন আবুল।

সূত্র জানায়, আবুল তার বাড়ির সামনে ৪ শতাংশ জমি দখল করেছেন। সেটির মালিক ছোট ভাই জাহাঙ্গীর, যা নিয়ে এখনো মামলা চলমান। আবুলের বাবার ৬১ শতাংশ জমি। এর মধ্যে ভাইবোনদের ঠকিয়ে একাই ৪৫ শতাংশ জায়গা গোপনে লিখে নেন। ছোট ভাই জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, তার বাবাকে ওষুধ খাইয়ে জাদুটোনা করে তিনি এ কাজ করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, ২০১৯ সালে আবুলের বাড়ির পাশেই ৫ শতাংশ জায়গায় একটি ঘর ছিল, যার মালিক জাহাঙ্গীর। সেটিও তার ভক্তদের দিয়ে ভেঙে ওই ঘর পানিতে ফেলে দিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই সেটি দখল করেন। প্রতিবাদ এড়াতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে। ওই ঘটনার পর তিনি গানের আসরে যাওয়ার জন্য যে পোশাকই পরেন, তার গায়ে প্রচণ্ড চুলকানি শুরু হয় এবং একে একে বেশ কয়েকটি পোশাক পরিবর্তন করেন। এরপরও চুলকানি বন্ধ হয়নি। এ রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরেও যান আবুল। এতেও রোগ ভালো হয়নি। এজন্য তিনি এখন কাফনের মতো সাদা কাপড় পরে থাকেন।

সূত্র জানায়, আওয়ামী আমলে বিভিন্ন সময় গানের আসরে শেখ মুজিব, শেখ হাসিনাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নামে চাটুকারি গান পরিবেশন করে তাদের খুশি করার চেষ্টা করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় গানের আসরে আবুল ইসলাম ও ধর্মীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও কুরুচিপূর্ণ এবং আপত্তিকার বক্তব্য দেন, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হয়।

জানা গেছে, দেশের পরিস্থিতি যখন শান্ত, এমন সময় তিনি ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির ষড়যন্ত্র করছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতোমধ্যে তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নতুন পীর হওয়ার দাবি আবুল কেন করেছিলেন—পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত টাকা আয়ের জন্য তিনি নতুন পীর হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু গানের যত ভক্ত তৈরি করেছেন, সেক্ষেত্রে পীর দাবির পর তার অতটা ভক্ত হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক গতকাল সন্ধ্যায় আমার দেশকে জানান, মানিকগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো আছে।

মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

মানিকগঞ্জে কারাবন্দি বাউলশিল্পী আবুলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে যোগ দিতে আসা বাউলদের ওপর হামলার অভিযোগে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করা হয়। আহত বাউলশিল্পী জহিরুল ইসলামের বাবা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে শহীদ রফিক সড়কে পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে গেলে কথিত ‘তৌহিদি জনতা’ তাদের ওপর হামলা ও ধাওয়া করে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওরের জাবরা এলাকায় পালাগানের অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ বাউল সমিতির সভাপতি আবুলের বিরুদ্ধে। ২০ নভেম্বর মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জামিন শুনানিতে আদালত দুই দফায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তার ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় চলছে। গতাকাল তৌহিদি জনতার ব্যানারে মানিকগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

ব্যবসায়ী দেলোয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি- ময়মনসিংগা আজিজুলের

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী রাধানগর গ্রামের ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে আদম পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ী ময়মনসিংগা আজিজুল।

এব্যাপারে ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ময়ময়সিংগা মানব পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ী আজিজুলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

দেলোয়ার হোসেন জানান, বক্তাবলী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন ও ইমাম হোসেন যৌথ নামে একটি জমি ক্রয় করেন।কিন্তু সেই জমি দেলোয়ার হোসেনকে না জানিয়ে লিখে নেন আদম পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ী ময়মনসিংগা আজিজুল।

দেলোয়ার হোসেন কোর্টে একটি প্রিয়েমোশন মামলা নং- ১৯/২৫ দায়ের করেন। জমি লিখে নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে আজিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।

জানা যায়, বক্তাবলী এলাকার ছাগল হাটি গ্রামের ময়মনসিংগা আজিজুল লিবিয়াতে মানব পাচার কাজে জড়িত। লিবিয়ায় নিরীহ লোকদের পাচার করে ইতালী নেওয়ার কথা বলে অন্য চক্রের হাতে তুলে দেয়। টাকার গরমে ময়মনসিংগা আজিজুল ধরা কে সরাজ্ঞান করে চলছে।

ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ময়মনসিংগা আজিজুলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি নং-১৬৭১ তাং- ২০/১১/২০২৫ ইং দায়ের করেন। এছাড়াও ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ ও দায়ের করেছেন।

মো. দেলোয়ার হোসেন ময়মনসিংগা আজিজুলের হুমকিতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবন যাপন করছে। আদম পাচারকারী ময়মনসিংগা আজিজুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন দেলোয়ার হোসেন।

আ’লীগ ও ওসমান পরিবারের ‘পৃষ্ঠপোষকতায়’ মোহাম্মদ আলীর এমপি প্রার্থী ঘোষণা-টিপু

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক তীব্র সমালোচনামূলক পোস্ট দিয়ে নড়াচড়া সৃষ্টি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের দুঃশাসন ও জনরোষের কারণে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছে; অথচ তাদেরই ‘পৃষ্ঠপোষকতা’ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছেন বহুরূপী মোহাম্মদ আলী।

টিপু বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ ও ওসমান পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। তার দাবি, মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত এবং ওসমান পরিবারের ‘দোসর’ হিসেবে কাজ করে আসছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ আলী এখনও ওসমান পরিবারের ব্যবসা–প্রতিষ্ঠান ও পুরো জেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক খবরাখবর তাদের কাছে পৌঁছে দেন। তাই তাকে কোনওভাবেই রাজনৈতিক বা সামাজিক কর্মকাণ্ডে গ্রহণযোগ্য করা যায় না বলে দৃঢ় অবস্থান জানান টিপু।

পোস্টে টিপু স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর ও ফতুল্লা থানা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বহুরূপী মোহাম্মদ আলীকে পুনরায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন “নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কোনো নেতা–কর্মী যদি মোহাম্মদ আলীর পক্ষ নেয়, তবে তারা আওয়ামীলীগ ও ওসমান পরিবারের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে।”

টিপুর মতে, মোহাম্মদ আলীর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে পুনরায় অরাজকতা তৈরির অপকৌশল মাত্র। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।’

জোট শরীকদের আসন কমাচ্ছে বিএনপি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : জোটে থাকলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোটে ইসির নির্দেশনায় শরীকদের আসন ছাড় নিয়ে দ্বিধায় বিএনপি। শুরুতে ৪০ থেকে ৫০টি আসন ছাড়ের কথা উঠলেও এখন তা অর্ধেকে নামিয়ে আনার চিন্তা করছে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম। এদিকে, জোটের শরীকরাও বলছেন, ধানের শীষে ভোট করলে যতোটা সাড়া মিলতো, নিজ দলের প্রতীকে তা হবে কঠিন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই তালিকায় নেই দলটির সাথে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে থাকা শরীকদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম। ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ৬৩টির মধ্যে বেশিরভাগ আসনে জোট শরীকদের জন্য ছাড়ের চিন্তা থাকলেও, সে অবস্থান থেকে সরে আসছে বিএনপি।

সম্প্রতি দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম, স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির সাথে রাজপথে থাকা দলগুলোকে চাহিদামতো আসন যে দেওয়া যাচ্ছে না, তা এরইমধ্যে অবহিত করেছে দলটি। তবে, আরপিও সংশোধনের কারণে জোটে থেকেও নিজস্ব প্রতীকে ভোটের কারণে কিছুটা বেকায়দায় শরীক দলগুলো। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করতে পারলে জয় সহজ হতো, মনে করছেন তারা।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করা তো একটু ঝুঁকিপূর্ণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেদিক থেকে জনপ্রিয় মার্কা বা বেশি পরিচিত মার্কা যেগুলো আছে, তাদের শরীকদের যদি নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হয় তাহলে পক্ষের সিট কিছুটা কমে যাওয়ারও ঝুঁকি বা আশঙ্কা আছে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি মনে করি যে মানুষ এটা বুঝবে। মানুষ শুধু এই কারণে অন্য মার্কায় ভোট দেবে, ধানের শীষের বিরুদ্ধে তা আমার মনে হয় না। কিন্তু পরিশ্রমটা বেশি হবে। মানুষ যদি না বুঝতে পারে, বোঝানোর জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে শরীকদের মধ্যে আসন বণ্টন করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু চলছে, তারই বিচার-বিশ্লেষণ হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকটাই সহায়ক শক্তি হয় এই প্রতীকটি, সেদিক থেকে বাদ হলো। তবুও আমি মনে করি, বিএনপির প্রার্থীরা যদি জোটের প্রার্থীকে সমর্থন দেয় তাহলে তার জিতে আসতে সমস্যা হবে না।’

বিএনপি নেতারা জানান, শরীকদের আসন বণ্টনসহ বাকি ৬৩ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকাশ করবে দলটি।

ভিপি রাজীবের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া চাইলেন ছলিম প্রধাণ জুয়েল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব (ভিপি রাজীব) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছলিম প্রধাণ জুয়েল।

ছলিম প্রধাণ জুয়েল বলেন, ভিপি রাজীবের মতো একজন নিবেদিত নেতার অসুস্থতার খবরে তাঁরা মর্মাহত।

তিনি বলেন, “মাশুকুল ইসলাম রাজীব (ভিপি রাজীব) ভাইয়ের ডেঙ্গু পজিটিভ। এই সময়ে আমি মহান আল্লাহর দরবারে রাজীব ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, এবং পাশাপাশি দেশবাসীর কাছেও তাঁর জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজীব ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসবেন।

 

রাজীবের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া চাইলেন মাহবুব হোসেন দুলাল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব (ভিপি রাজীব) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহবুব হোসেন দুলাল।

মাহবুব হোসেন দুলাল, ভিপি রাজীবের মতো একজন নিবেদিত নেতার অসুস্থতার খবরে তাঁরা মর্মাহত।

তিনি বলেন, “মাশুকুল ইসলাম রাজীব (ভিপি রাজীব) ভাইয়ের ডেঙ্গু পজিটিভ। এই সময়ে আমি মহান আল্লাহর দরবারে রাজীব ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, এবং পাশাপাশি দেশবাসীর কাছেও তাঁর জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজীব ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসবেন।