৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 107

শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ৪৬ মন্ত্রী

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ এবং চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়েছে ২৪ জন মন্ত্রী,১৯জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীর।

সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। রীতি অনুযায়ী, প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা শপথ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ওবায়দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান, তথ্য মন্ত্রণালয় ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এম এ মান্নান, শিল্প মন্ত্রণালয়ে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ মালেক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, ভূমি মন্ত্রণালয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রলণালয়ে মো. নুরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মোস্তাফা জব্বারকে শপথ পড়ান।
আর ১৯ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ইমরান আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নসরুল হামিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মো. আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্বপন ভট্টাচার্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ ফারুক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মো. মুরাদ হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ডা. মো. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মো. মাহবুব আলী এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে শপথ পড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এছাড়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বেগম হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরীকে উপমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পড়ানো হয়। ।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ।

নারায়ণগঞ্জের গাজীসহ মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন যারা

আগামী কাল সোমবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে । এবারের মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হচ্ছে ৪৬ সদস্যের। যার মধ্যে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী রয়েছে।

মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যারা ফোন পেয়েছেন তাদের মধ্যে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তার একটি তালিকা সংবাদমাধ্যমের কাছে এসেছে।

পূর্নমন্ত্রী যারা হলেন :

গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক(বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী) আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক) , ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান—টেকনোক্র্যাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার—টেকনোক্র্যাট (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন—কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।

৩ উপমন্ত্রী হচ্ছেন—হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

মন্ত্রিসভায় থেকে বাদ পড়েছেন একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী।

শামীম ওসমানকে মন্ত্রী করার আহ্বানে দোয়া মাহফিল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ জননেতা আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহোযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমানকে মন্ত্রী হিসেবে ঘোষনা করার জন্য আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন। শুক্রবার সন্ধায় শামীম ওসমানের সুসাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত কামনা করেন আইলপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি নুরুল আমীন।

দোয়া মাহফিলের আলোচনা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শাহআলম,বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামী বোট নারায়ণগঞ্জের সেক্রেটারী মোঃ শাহজাহান, কৃষক লীগের সেক্রেটারী ইয়াসিন মিয়া,সাবেক গোদনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এমদাত হোসেন,দপ্তর সম্পাদক মোঃ সহিদুল্লাহ,আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্বজহিরুল হক,মোতালেব হোসেন,সেকান্দার প্রধান,নতুন আইলপাড়া এলাকার পঞ্চায়াত কমিটির নেতা আবু মুসা,মাহাতাব হোসেন,মোস্তফা হাওলাদার,মোঃ সাইদুল ইসলাম,আমীর হোসেন,জয়নাল আবেদিন,আলমগীর মাস্টার,রাজিব ও সজিব সহ দলীয় নেতা কর্মিরা তাদের বক্তবে শামীম ওসমান এমপিকে জোর দাবী জানান।

সেই সাথে বক্তারা বলেন স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। তাদের কে প্রতিহত করতে হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও সিটিকর্পোরেশনের পেনেল মেয়র মতিউর রহমান মতিকে যারা অর্তকিত হামলা করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে তাদের কে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

নাস্তিক নয়, পৃথিবীতে ধার্মিক মানুষই বেশি সুখী

বর্তমান বিশ্বে কোন ধরণের মানুষ সবচেয়ে বেশি সুখী? নাস্তিক নাকি ধার্মিক? এমন এক প্রশ্নকে পুঁজি করে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ওপর এক জরিপ চালানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস ওই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। ওই জরিপের গবেষকরা বলছেন, ধর্মবিশ্বাসী মানুষদের মনের সুখ সবচেয়ে বেশি। খবর-হাফিংটন পোস্ট।

ওই গবেষনায় মূলত বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষ ও একেবারে অবিশ্বাসী মানুষদের বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করা হয়। এবং তাদের উত্তরের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। আর এই গবেষণাতেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।

জরিপে দেখা যায়, নাস্তিক বা কোনো ধর্মে যাদের বিশ্বাস নেই তাদের মনে শান্তি কম। অন্যদিকে ধার্মিকদের মনের শান্তি অনেক বেশি।

বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী তিন লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এ জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ জরিপে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে তাদের প্রশ্ন করার পর মনের সুখের মাত্রা কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো- সবচেয়ে সুখী, সন্তোষজনক, কিছুটা ও উদ্বেগজনক।

সবচেয়ে সুখী মানুষের জাতীয় গড় স্কোর ছিল ৭.৮, সন্তোষজনক সুখীদের ৭.৫। অন্যদিকে সবচেয়ে কম বা উদ্বেগজনকদের ছিল ২.৯।

শামীম ও সেলিম ওসমানসহ সংসদে তিন জোড়া আপন ভাই

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিন জোড়া আপন ভাই। তারা হলেন নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী,সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান এবং শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েল।

লিটন-নিক্সন (নৌকা-সিংহ)জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে টানা ষষ্ঠবারের মতো নৌকা প্রতীকে বিজয়ী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।

নিক্সন ও লিটন সাবেক সংসদ মরহুম ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন নৌকা প্রতীকে ২লাখ ২৭ হাজার ৪৫৪ পেয়েছেন।

মার খেয়েও ক্যামেরা সরাননি নারী সাংবাদিক শাজিলা

চারপাশে তখন বিক্ষোভকারীদের তুলকালাম তাণ্ডব চলছে। তার মধ্যে দিয়েই ক্যামেরা কাঁধে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এ ধার ও ধার। আর প্রতিটি মুহূর্তকে তিনি চটপট ক্যামেরাবন্দি করছেন।

বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচলেন না তিনিও। কিল-চড়-ঘুসি আছড়ে পড়ল তাঁর উপর। সঙ্গে চলল চরম হেনস্থাও। ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। কিন্তু কাঁধ থেকে ক্যামেরা সরাননি।

এমনকি বিক্ষোভকারীরাও তাঁর জেদের সামনে হার স্বীকার করতে বাধ্য হন। শত হেনস্থা সয়েও নিজের কর্তব্যে কিন্তু অবিচল থেকেছেন শাজিলা আব্দুল রহমান।

কেরলের কৈরালি টিভি চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিক শাজিলা। তুঁতে রঙের সালোয়ার পরা, ডান কাঁধে ক্যামেরা, লেন্সে চোখ স্থির রেখে ছবি তুলছেন— এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়। শাজিলার সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁর কর্তব্যে অবিচল থাকা এবং তাঁর সাহসিকাতার বিপুল প্রংশসা আছড়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শবরীমালা নিয়ে কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব চলছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য।হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল রাজ্যে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে সংবাদমাধ্যমও বাদ যায়নি বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব থেকে। কিন্তু শাজিলা সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে যেন পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থেকে নিজের কাজটাই করে গিয়েছেন!

শবরীমালা মন্দিরে দুই মহিলার প্রবেশের পরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেরলে। বিক্ষোভ চলছিল তিরুঅনন্তপুরমেও। সেই তাণ্ডবের ছবিই তুলতে গিয়েছিলেন চিত্র সাংবাদিক শাজিলা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেও তিনি সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। তাঁর উপর নজর পড়তেই রে-রে করে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা। মারধর তো বটেই, চলে হেনস্থাও। ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। সেই অবস্থাতেই ছবি তুলে গিয়েছেন। তবে তাঁর ঘাড়ে, পিঠে আঘাত লেগেছে বলে সূত্রের খবর।

এর আগে মহিলা সাংবাদিকরা শবরীমালায় ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে পিছু হাঁটতে হয়েছিল তাঁদের। তবে শাজিলা বিক্ষোভকারীদের রক্তচক্ষুকেও যেন তাঁর কর্তব্যের কাছে নতিস্বীকার করিয়ে ছেড়েছেন। চার দিকে এখন তাঁকে নিয়েই আলোচনা, তাঁর সাহসিকতার প্রশংসার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে!

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

না ফেরার দেশে চলে গেলেন সৈয়দ আশরাফ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।

বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে ব্যাংককের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ব্যাংকক সময় রাত সাড়ে ৯টায় আমাদের দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যান। আগামীকাল (শুক্রবার) তার মরদেহ দেশে আনা হবে।

হাসপাতালে তার শয্যা পাশে সৈয়দ আশরাফের দুই বোন ও ভাই ছিলেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।

দেশে না থেকেও গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন। গত ১ জানুয়ারি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তবে উপস্থিত হতে পারেননি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফ। শপথের জন্য সময় চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই মেয়াদে ওই দায়িত্ব পালনের পর এখন তিনি দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

জাতীয় চার নেতা ১৯৭৫ সালে কারাগারে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যে চলে যান সৈয়দ আশরাফ। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন তিনি।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের অন্যতম সৈয়দ আশরাফ।

এদিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিক মাসুমের পিতার মৃত্যুতে নিউজ প্রতিদিন পরিবারের শোক প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম এর পিতা মোঃ নূরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

অসুস্থ ও বার্ধক্য জনিত কারণে আজ বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারী) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। মৃত্যু কালে তার বয়স ছিলো ৭০ বছর। ৪ কন্যা এবং ২ পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

সাংবাদিক মাসুম ‘আমাদের নারায়ণগঞ্জ.কম’এর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

এদিকে,সাংবাদিক মাসুমের পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাব ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ প্রতিদিন ডট নেট পরিবার। একই সাথে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে।

নাসিক প্যানেল মেয়র মতিকে কুপিয়ে জখম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মতিউর রহমান মতিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়।
জানা গেছে,আদমজী নতুন বাজার এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক আবদুল হান্নান ও ইসমাইলদের সঙ্গে প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতির অনুগামী আবদুর রাজ্জাকের পৌনে ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই শালিসী বৈঠকও হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উভয় পক্ষের লোকজন আবারো জড়ো হলে প্রথমে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে মতি অকথ্য ভাষায় হান্নান ও ইসমাইলকে গালাগাল করে। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মতিকে কুপিয়ে জখম করে। মতিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ জানান, একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধেই মতিকে মারধর করা হয়েছে।

শপথ নিলেন নবনির্বাচিত এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী নতুন এমপিরা শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের শপথকক্ষে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এরপর রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই নিজের শপথ গ্রহণ করেন। নিজের শপথের পর নির্বাচিতদের শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সংসদ সচিবের কার্যালয়ের সংরক্ষিত খাতায় সই করবেন এবং একসঙ্গে তাদের ছবিও তোলা হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পাঠানো গেজেট বুধবার সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছায়। এর পর সংসদের পক্ষ থেকে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য বিজয়ীদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়।

সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ এবং শপথ নেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের বৈঠক ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে বা স্পিকারকে না জানালে বিজয়ীদের আসন শূন্য হওয়ার বিধানও রয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ১ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ২৯৮ জনের নাম-ঠিকানাসংবলিত ওই গেজেট প্রকাশের পর নতুন এমপিদের শপথের আয়োজন করতে বুধবার সকালে সংসদ সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় ইসি।

মহাজোটের শরিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৬টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাসদ দুটি, বিকল্পধারা দুটি এবং বাংলাদেশ জাসদ, তরীকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি করে আসন পেয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি পাঁচটি, গণফোরাম দুটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি আসন পেয়েছেন।