৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 97

আই এস ইহুদিদের দালাল-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আই এস হচ্ছে সেই ইহুদীদের দালাল,যারা অটমন সাম্রাজ্য তুরস্কের খেলাফতকে সম্মিলিতভাবে একত্রিত হয়ে ১৯২৪ সালে নষ্ট করেছিল এবং তাদের তৈরি করা বংশধর নাস্তিক ফেরাউনের উত্তরসূরি কামাল পাশাকে ১৯২৪ সালে তুরস্কের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন হিরার জ্যোতি,হিরক্ষনদের জ্যোতি ছাই দিয়ে ঢাকা যায় না। ১৯২৪ সালে খেলাফতের বিপক্ষে কামাল পাশা তুরস্কের ক্ষমতা নিল। ক্ষমতা নিয়ে এসে ঘোষণা দিলঃ তুরস্কের ভূখণ্ডের কোন এক ইঞ্চি জায়গাতে ইসলাম নামে কোনকিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। মসজিদ গুলোকে নাইট ক্লাব বানিয়েছে। মসজিদের মিনারকে ভেঙ্গে চুরমার করেছে। আজানকে বন্ধ করেছে। দাড়ি রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাথার টুপি কেরে নিয়েছে। মুসলমানের হেজাবকে খুলে দিয়েছে। চরম Secularism (ধর্মনিরপেক্ষতাকে) সে প্রতিষ্ঠা করলো। কিন্তু তুরস্কের মুসলমানের হৃদয় থেকে কুরআন ও সুন্নাহর ভালোবাসার ইসলামের ঐতিহ্যকে তাঁরা মুছে দিতে পারে নাই।৮০ বছর পর আজ চরম ইসলামপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের ক্ষমতায় বসে আছে। তাঁর পূর্বসূরি সোলেমান ডেভিডেল, নাজমুদ্দীন আরবাকান তাঁরা খুব কষ্ট করে গেছেন। তারা সকলেই বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)-এর অনুসারী। যিনি তুরস্কের আধ্যাত্মিক নেতা। মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর ছিলেন। তাঁর সেই মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) চরম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যে দাওয়াতের কাজ চালালেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক ছাত্র তাঁর মুরিদ হয়ে গেল। সে সরকার তাঁকে ২৭ বার কারাগারের ভিতরে নিয়েছে। আর আমাদের দেশের পীররা চরম সুবিধাবাদী। যখন যে সরকার তারা সেই সরকারের অনুগত্য হয়ে যায়। এছাড়া পীরালীটাকে এখন তারা পুরোহিত তন্ত্রে পরিণত করেছে। ইসলামের পক্ষে দ্বীনের পক্ষে সত্যের পক্ষে এদের কোন বক্তব্য নাই। কিন্তু সত্যিককারের যারা পীর মাশায়েখ সাড়াজীবন তারা আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে, শিরক কুফর এবং বাতিলের বিপক্ষে খেলাফতের পক্ষে, হুকুমতে ইলাহির পক্ষে কাজ করে গেছেন। কেউ প্রকাশ্যে,কেউ অপ্রকাশ্যে,কেউ প্রত্যক্ষভাবে,কেউ পরোক্ষভাবে। তাঁদেরই একজন বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)। তাঁরই অনুসারী নাজমুদ্দীন আরবাকান,সোলেমান ডেভিডেল। আর তাঁদেরই অনুসারী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সেখানে এখন মসজিদে আজান হয়। মহিলারা স্কার্ফ পরিধান করে সংসদে ঢুকতেছে। পুরুষরা দাড়ি রাখতেছে। ইসলামের পক্ষে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভূমিকাতে চলে আসতেছে তুরস্ক। তাহলে ১৯২৪ সালে সমস্ত কাফের মুশরেক একত্রিত হয়ে,রাশিয়া,ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে তারা তুরস্কের খেলাফতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেই ইসলামের মৌলিক একটি বিষয় খেলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইহুদীরা আইএসকে মাঠে নামিয়েছে।

আইএস ২টি কথা বলতেছেঃ একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত। এখন যারা ইসলাম বুঝেনা জানেনা,তাদের মধ্যে জিহাদের ব্যাপারে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। খেলাফতের ব্যাপারেও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।দেখা যাচ্ছে- আইএস যে এলাকা দখল করছে, মহিলাদেরকে ধর্ষণ করছে। এবং বিচার ছাড়া যাকে তাকে কল্লা কেটে দিচ্ছে। এখন ইহুদীরা সুযোগ পাচ্ছে।

দুনিয়াবাসীকে বুঝাতে-খেলাফত মানেই হল মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা। খেলাফত মানেই হল যাকে তাকে পাও কল্লা ফেলে দেওয়া। সে কাজটি তারা পুরোপুরি সফল না হলেও কিছুটা তো সফলতা লাভ করছে। বড়ই দুঃখজনক হলোঃ বাংলাদেশে এই আইএস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন কথা শুরু হলো। এদেশে যারা আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ তাদের দায়িত্ব ছিল,সন্ত্রাসের পূর্ণমাত্রায় বিরোধিতা করে,খেলাফত এবং জিহাদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।

আইন মানার ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মানতে হবে। আল্লাহর আইন ইবাদতের অংশ। আর সে আইনকে বাস্তবায়িত করার একমাত্র মূলমন্ত্র হল খেলাফত। তাহলে বুঝা যাচ্ছে,আমরা যারা ভূপৃষ্ঠের হুকুমত থেকে বঞ্চিত তারা ঈমানকেও ঠিক করি নাই, আমলকেও ঠিক করি নাই। ঈমান এবং আমল যদি ঠিক হতো,ভূপৃষ্ঠের হুকুমত আল্লাহ আমাদের দান করতেন।

খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য চারটা:- নূর নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস থেকে এই মাসালা আস্তেমবাত করেছেন,উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক,আমাদের পূর্বসূরি শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহলবী (রহঃ) হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা কিতাবের ১৪৯ পৃষ্ঠায় তিনি তুলে ধরেছেনঃ খেলাফতের মূল ৪টা বিষয় বাস্তবায়ন করা।

১. (মজলুম) জুলুমের শিকার মানুষকে জুলুম থেকে বাঁচানো ।
২. আল্লাহর প্রদত্ত আইনকে বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তিকে বাস্তবায়ন করা ।
৩. বিচার ব্যবস্থা কুরআন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. জিহাদ পরিচালনা করা।

★ আই এস এর গোঁমরা ফাঁসঃ

দুইটা জিনিসের বিরুদ্ধে কাফের মুশরেকদের সবচেয়ে বেশী প্রচার- একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত। আইএস-এর সাথে ইসলাম ও মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই। আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় কখনোই ইসলাম ও মুসলমান নিবে না। আইএস ইহুদী মোসাদের আবিষ্কার। আর তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা। আইএস-এর বিরোধিতা করতে যেয়ে কোন অবস্থায়ই জিহাদের বিরোধিতা করার সুযোগ নাই। কারণ জিহাদকে যে অস্বীকার ও জিহাদের বিরোধিতা করবে সে মুসলমান নয়। জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয়।

ধর্ম ও ইসলামের নামে দেশকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে-শামীম ওসমান

প্রধানমন্ত্রী বলার দুদিন আগেই নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বর্তমানে চলমান চক্রান্তের বিষয়ে জানিয়ে ছিলেন এমন দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমি জানানোর দুদিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেছেন ধর্মের নামে ইসলামের নামে আমাদের দেশকে আবারো রক্তাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সংগীত,আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সভাপতি রাব্বী মিয়া।

শামীম ওসমান আরো বলেন, ৩১ বছরের একজন মহিলা যে বাবা-মা, ভাই সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশে এসে হাল ধরলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রেও জন্য। জাতির পিতার মেয়ে শেখহাসিনাকে সামনে দেখে লক্ষ কোটি মানুষ সাহস পেয়েছে। নেতৃত্বপ্রদানকারী প্রধান যদি সাহসী না হয় তবে সব লড়াই জেতা যায়না। সেই লড়াইয়ে হারানোর জন্য আবার নতুন করে কৌশল হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৬ জুন আমাদের উপর আরডিএক্স ফোটানো হয়েছিলো, আমরা হামলার শিকার হয়েছিলাম। সারা বাংলাদেশের কোথাও আরডিএক্স ফোটানো হয়নি, আমাদের উপরই প্রথম ফোটানো হয়েছিলো। কি অপরাধ করেছিলাম আমরা? আমরা নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিলাম এ অপরাধে আমাদের অফিসে বোমব্লাষ্ট করা হলো। ২০ জন ছেলে মারা গেলো। রক্তের উপর শুয়ে আছি, রক্ত কত গরম আমি তা জানি। আমি তখন বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান।

শামীম ওসমান বলেন, আপনি আমি মারা গেলে আমি মরে গেলে এই দেশে কিছুই হবে না! আমার বউ-বাচ্চা কাঁদবে! হয়তো আপনারা যারা ভালোবাসেন তাঁরা একটু মনে রখবেন। খুব একটা ক্ষতি দেশের হবেনা। কিন্তু শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশটা পিছিয়ে যাবে আরো একশ বছর। তিনি এই দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আপনার, আমার ও বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য। তাই আমি একটা প্রার্থনা করি আপনাদের কাছে, যে যেই ধর্মেরই হননা কেন আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। যাতে তিনি এই দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহানগর আওয়ামী লীগের য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান আমার প্রিয় নেতা-এসপি হারুন

জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে প্রিয় নেতা বলে সম্বোধন করেছেন । এসপি বলেন, ‌‌‘আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এই এলাকার কৃতি সন্তান,সম্মানিত সাংসদ,আমার অত্যন্ত প্রিয় নেতা একেএম শামীম ওসমান। আমরা ছাত্রজীবনে যখন পড়তাম,তখন যাকে হিরো হিসেবে জানতাম,সেই ছাত্রনেতা আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাষাড়ায় অবস্থিত রাইফেলস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান ও এসপি হারুন অর রশীদ। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেনএসপি হারুন।

তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু একটি ভালোবাসার নাম, ইতিহাসের নাম৷ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপনাদের তরুণ প্রজন্মদের জানতে হবে৷ শিশু বয়স থেকে তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতেন৷ বঙ্গবন্ধুর নাম সকলের হৃদয়ের মধ্যে থাকবে৷

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস উপলক্ষে রাইফেলস্ ক্লাবের আয়োজনে সংগীত,আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান৷ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা,জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ফারহানা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক,রাইফেলস্ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ হায়দার খান কাজল, ক্রীড়া সংগঠক কুতুবউদ্দিন আকসির প্রমুখ৷

সাংবাদিকদের সঙ্গে এসপি হারুনের মতবিনিময়

নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ আলম দীপুর নেতৃত্বে জেলা পুরিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

এসময় নারায়ণগঞ্জের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সামাজিক বিষয়বস্তু আলোচনায় স্থান পায়।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সোজা সাপটা পত্রিকার স্বত্ত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম সোহেল, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নারায়ণগঞ্জের আলো পত্রিকার সম্পাদক কমল খান, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) (রেজি নং-৪৪৬০) এর সহ সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কথা পত্রিকার সম্পাদক আরিফুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক ও নিউজ পোর্টাল লাইভ নারায়ণগঞ্জের প্রধাণ নির্বাহী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম প্রমুখ।

জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রশংসা করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনার নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সামাজিক অপরাধে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে যে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করছে তাতে আমরা সাধুবাদ জানাই। এসব অভিযানের সংবাদ আমরা ফলাও করে প্রকাশ করছি ,যাতে জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জেলা পুলিশের ভূমিকা জনমনে স্বস্তি এনে দিচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি জাতীয় ও অনলাইন মিডিয়ায় শহরের একটি জুয়ার আসর উচ্ছেদ অভিযানের ২ মাস পর সাংবাদিকদের নাম জড়ানোর বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে শাস্তির ব্যাবস্থা করার দাবি জানান।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, মুলত অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকদের সমন্বয় এবং পরস্পরের সহযোগীতা বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। এ কারণে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক বিরাজমান। বিগত সময়ে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহলের বিরাগভাজনও হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষও বানিয়েছে কোন কোন মহল। আমরা মনে করি গণমাধ্যমের ভূমিকায় কোন শ্রেনী বা মহলের আক্রোশে ঐ গণমাধ্যম কর্মীর ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য দেয়া হয়েছে। যাতে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে চাপের মধ্যে রাখার একটি প্রক্রিয়া বলে আমরা মনে করি।এসময় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সন্ত্রাসী, মাদক ও অপরাধমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে জেলাবাসী ভালো থাকবে। শান্তি ফিরে আসবে। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। আপনাদের মধ্যে গ্রুপিং থাকতে পারে কিন্তু সকলের সাথেই আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে কিছু কিছু অতিরঞ্জিত সংবাদ নারায়ণগঞ্জ সহ দেশবাসীর মাঝে বিরুপ মনোভাব দেখা দেয়। যেমন ডিসেম্বরে আমাদের দেয়া একটি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে একটি জাতীয় দৈনিক নানাভাবে খুচিয়ে খুচিয়ে লিখছে। এতে করে মানুষ মনে করছে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সাথে রাজনৈতিক নেতাদের যুদ্ধ চলছে। আসলে তা নয়। মন্ত্রী-এমপি সাহেবদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। কারও সাথে আমার দ্বিমত নেই। আমি আমার কাজ করছি ওনারা ওনাদের কাজ করছেন।পহেলা বৈশাখে এমপি শামীম ওসমান সাহেব আমার বাসভবনে দাওয়াত খেয়ে গেছেন। এমন নজির অন্য কোন জেলায় নেই।

আজও ওনার সাথে কথা হয়েছে। আমাদের মাঝে সুসম্পর্ক রয়েছে। তারপরও কেউ কেউ চাচ্ছে দূরত্ব সৃষ্টি করতে। কিন্তু আমার কাছে এসব চলবে না। আমাদের উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা। শান্তি-শৃংখলা রক্ষা করা। আর এ কাজ করে সর্ব মহলের প্রশংসা পাচ্ছি। সাংবাদিকদেরও আমরা পাশে চাই। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ একটি লিখিত বক্তব্য তুলে দেন পুলিশ সুপারের হাতে। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে মিষ্টিমুখ করান পুলিশ সুপার।

প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর নেই

প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রোববার(২১ এপ্রিল) দুপুরে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার মৃত্যুর খবর ব্যাংককে বাবার সঙ্গে অবস্থানরত তার বড় মেয়ে ডা. মেঘলা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিতসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককে নেয়া হয়।

বুধবার রাত ১১টা ৫২ মিনিটে মাহফুজ উল্লাহকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যাংককের উদ্দেশ্য রওনা হয় বলে জানিয়েছিলেন বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন।

অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে ডা. মেঘলা ও জামাতা মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে যান।

গত ২ এপ্রিল সকালে ধানমন্ডির গ্রীন রোডে মাহফুজউল্লাহ তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মাহফুজউল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রখ্যাত এই সাংবাদিক হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা মাহফুজ উল্লাহ ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।

তিনি সাংবাদিকতা ছাড়াও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

মোবাইল বা হেডফোন কানে লাগিয়ে রাস্তা পার হলেই আটক

নগরীতে ট্রাফিক সচেতনতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। শনিবার সকাল থেকে নগরীর ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় নগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের ডিসি হারুনুর রশীদ হাজারীর নেতৃত্বে ট্রাফিক সচেতনতামুলক অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বা হেডফোন ব্যবহার করে গান শুনতে শুনতে রাস্তা পারাপার,সিট বেল্ট এবং হেলমেড ব্যবহার ছাড়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর ব্যাপারে যাত্রী ও পথচারীদের সতর্ক করা হয়। অভিযানে যেসকল পথচারী মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ও বা হেডফোনে গান শুনতে শুনতে ব্যস্ততম রাস্তা পার হন তাদের তাৎক্ষনিত আটক করে সতর্ক করা হয় এবং হেডফোন কেড়ে নিয়ে গাড়ির চাকার নিচে পিষ্ট করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) হারুনুর রশীদ হাজারী জানান, অবৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি পথচারী তথা নগরবাসীকে সচেতন করতে এই সচেতনতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পথচারীরা নিজেরা সচেতন না হলে সড়ক দূর্ঘটন প্রতিরোধ বা সুষ্টু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও সম্ভব নয়। যারা ফোনে কথা বলতে বলতে বা হেডফোনে গান শুনতে শুনতে গাড়ি চালান বা রাস্তা পারাপার হন তারা অমনোযোগি থাকেন। এর ফলে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন অথবা দূর্ঘটনার কারন হন। তাই সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করতেই এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন,মোটরসাইকেলের চালক ও দ্বিতীয় আরোহীরও হেলমেট ব্যবহার করা ইতিমধ্যে বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। ফিটনেস বিহীন বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিহীন যানবাহন আটক ও মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল থেকে নগরীতে ট্রাফিক পক্ষ-২০১৯ শুরু হয়েছে,আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পক্ষ পালিত হবে বলে জানান তিনি।

শবে বরাতের নামাজ আদায়ের নিয়ম

ইসলাম ডেস্ক : ‘শব’ একটি ফারসী শব্দ এর অর্থ রাত। ‘বারায়াত’কে যদি আরবী শব্দ ধরা হয় তাহলে এর অর্থ হচ্ছে সম্পর্কচ্ছেদ, পরোক্ষ অর্থে মুক্তি। যেমন কুরআন মাজীদে সূরা বারায়াত রয়েছে যা সূরা তাওবা নামেও পরিচিত। ইরশাদ হয়েছে :

بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ (التوبة: ১)

অর্থ : আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা। (সূরা তাওবা, ১)

এখানে বারায়াতের অর্থ হল সম্পর্ক ছিন্ন করা। ‘বারায়াত’ মুক্তি অর্থেও আল-কুরআনে এসেছে যেমন :

أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِنْ أُولَئِكُمْ أَمْ لَكُمْ بَرَاءَةٌ فِي الزُّبُرِ . (سورة القمر :৪৩)

অর্থ : তোমাদের মধ্যকার কাফিররা কি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ? না কি তোমাদের মুক্তির সনদ রয়েছে কিতাবসমূহে? (সূরা কামার, ৩৪)

আর ‘বারায়াত’ শব্দক যদি ফারসী শব্দ ধরা হয় তাহলে উহার অর্থ হবে সৌভাগ্য। অতএব শবে বরাত শব্দটার অর্থ দাড়ায় মুক্তির রজনী, সম্পর্ক ছিন্ন করার রজনী। অথবা সৌভাগ্যের রাত, যদি ‘বরাত’ শব্দটিকে ফার্সী শব্দ ধরা হয়।

মূলত ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বারাত’ অর্থ সৌভাগ্য। এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।

হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম সমপ্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

নফল নামাজ, জিকির-আজকার, কোরআন মজিদ তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়ে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য। একইসঙ্গে মরহুম আত্মীয়-স্বজনসহ চিরবিদায় নেয়া মুসলিম নর-নারীর কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও সন্ধ্যার পর থেকেই মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাসের পরেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। তাই শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। শবে বরাতের মধ্য দিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি।

নামাজের নিয়ত আরবীতে :
“নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।

বাংলায় নিয়ত:- “ আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দু‘রাক‘আত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।

শবে বরাতের নামাজ :
শবে বরাতের নামাজ দু‘রাকাত করে যত বেশী পড়া যায় তত বেশী ছওয়াব। নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ। এই ভাবে কম্পক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি যত রাকাত আদায় করা যায় ততই উত্তম।

প্রতি ৪ রাকাত পর পর কিছু তাসবিহ-তাহলীল আদায় করে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করা অতি উত্তম। এই ভাবে সারা রাত নামাজ আদায় করা যেতে পারে।

পবিত্র শবে বরাতে এভাবে নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে। তাই আসুন এই পবিত্র রাতে আমরা বেশী বেশী করে নফল নামায় পড়ি।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

ফতুল্লার চরবক্তাবলীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,প্রতিদিনের মতো দরিদ্র পিতা মাতার সাথে একটি ইটের ভাটায় যায় ধর্ষিত শিশুটি। পরে ধর্ষক আসলাম শিশুটিকে সুকৌশলে ফাকা জায়গায় নিয়ে ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে।

ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা ধর্ষক আসলামকে আটক করলে আসলামের পক্ষের লোকজন আসলামকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে ধর্ষিত শিশুটির অবস্থা গুরুতর অবস্থায় খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষক আসলাম পলাতক রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার করিম মার্কেটে এই মাহফিল কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, দলের কঠিন সময়ে যুবদলকে দায়িত্ব নিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল অন্যান্য সংগঠন থেকে ব্যতিক্রম হতে চায়। আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। আপনারা সকলেই নির্ভয়ে রাজনীতি করবেন। আপনাদেরকে হেফাজত করার দায়িত্ব আমাদের। দলে অনেকেই সমকক্ষ থাকতে পারেন। এইজন্য সবাইকে দায়িত্ব দেয়া সম্ভব নয়। দায়িত্ব বন্টনের ক্ষেত্রে কোন ভুল হয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বৃদ্ধ বয়সে কারাবরণ করছেন। বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে বেগম জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কারাবরণ করছেন। তাকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। আগামী দিনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সকল কর্মসূচিতেই আপনারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আমির হোসেন, রিটন দে, গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, আল-আমিন খান, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোঃ অপু, সহ-সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, সহ-কোষাধ্যক্ষ রুবেল হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ তৈয়ম সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের ১০ টি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল সু-শৃঙ্খল ও শক্তিশালী দল। অতীতের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আপনারা কেউ ধৈর্যহারা হয়েন না। দলের প্রতি ত্যাগ অনুযায়ী সকলকেই মূল্যায়ণ করা হবে। রাজপথের নেতার্মীদেরকেই মূল্যায়ণ করা হবে। কেউ ভুল বুঝবেন না। সকল দিক বিবেচনা করে থানা কমিটি দেয়া হবে।

টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। অথচ সাধারণ রোগীর মতোই দশ টাকার টিকিট কেটে আজ চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের বর্তমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ দেন।

এর আগেও এভাবে টিকিট কেটে চিকিৎসা নিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাঁচ টাকা মূল্যের নির্ধারিত টিকিট কেটে একাধিকবার গাজীপুরের কাশিমপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি।

ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে আপনারা আমাকে বিদেশে নেবেন না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠাবেন না। আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেব। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।’