২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2

রাজধানীর উত্তরায় হামলার ঘটনায় আহতরা স্বামী-স্ত্রী নন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী নন। তারা দুজন সহকর্মী, এমনটাই জানিয়েছেন মেহবুল হাসানের স্ত্রী দাবি করা শম্পা বেগম।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মিডিয়া লাইভে এসব জানান শম্পা। তার দাবি, ২০১৬ সালে মেহবুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

তাদের দুই সন্তান আছে। তাদের বয়স ৫ ও ৪ বছর। এ সময় প্রকাশ্যে মেয়েদেরও নিয়ে আসেন শম্পা।

ইপ্তির সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

তাদের বিয়ে হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি শম্পা। মিডিয়ার সামনে নিজের পরিচয় প্রকাশ করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

মেহবুল হাসান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করেন। তিনি ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হন।

স্বামী বাইরে থাকলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনা দেখে তিনি হামলার বিষয়টি জানতে পারেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, উত্তরায় হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ওই রাতে স্বামী উত্তরায় কেন গিয়েছিলেন, তা-ও জানেন না তিনি।

লাইভ চলার সময় মেহবুল হাসান শম্পাকে মোবাইলে কল দেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘তুই মিডিয়াতে থাক। মিডিয়াতে তুই বউ হয়ে আয়।’ এ সময় তার শাশুড়িও ফোনে কথা বলেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি কয়েকজন তরুণের হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত পুরো চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

হামলার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। ঘটনার দিনই দুজনকে আটক করে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীর প্রশংসা করেন অনেকে।

শম্পা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেহবুল হাসান আমার বৈধ স্বামী। নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে তাদের স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।’ তিনি দাবি করেন, বিয়েসংক্রান্ত প্রমাণাদিও তার কাছে রয়েছে।

বক্তাবলীতে জমির জাল জালিয়াতের মাষ্টার রাসেল শেখের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের চর বক্তাবলীর জাল জালিয়াত চক্রের মাষ্টার মোঃ রাসেল শেখ পিতা জাহেদ আলী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফতুল্লা আমলী আদালত।সিআর মামলা নং -১২৬/২৫। গত ২৩/১/২০২৫ ইং তারিখ প্রতারক মোঃ রাসেল শেখ,তার সহযোগী আকলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ভূমি প্রতিরোধ আইন দঃ বিঃ ৪০৬/৪২০/৪১৯/১০৯/২০২৩ এর ৪(১)ক ধারায় ওয়ারেন্ট জারী করেছেন।

উল্লেখিত প্রতারক ও জালজালিয়াত চক্রের হোতা রাসেল শেখ,আকলিমা আক্তার। তারা বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী এবং কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদলের শেল্টারে থেকে রাসেল শেখ অন্যের জমি জাল জালিয়াতের মাধ্যমে নিজের করে নিতো।

জানা যায়,জমির প্রকৃত মালিক হচ্ছে ঢাকার ওয়ারী এলাকার মোঃ ইনসান আলী ওরফে শান আলী স্ত্রী ফাতেহা সিদ্দিকা এর কন্যা আলেয়া সিদ্দিকা।কিন্তু প্রতারক ও জালজালিয়াত চক্রের হোতা রাসেল শেখ তার আপন জেঠাস আলীগঞ্জ নন্দলালপুর কুতুবপুর এলাকার আজগর আলী ও শামছুন নাহারের কন্যা আকলিমা আক্তার কে জমির মালিকানা বানিয়ে পাগলা হামিদ,মমিন,সেলিম এর নিকট বায়না করে দেয়।আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পাগলা হামিদ গংরা দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে ছিল।কিন্তু জমির প্রকৃত মালিক নিজের দখলে রেখে উক্ত জমিতে শস্য চাষ করছেন।

প্রতারক আকলিমা আক্তার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আরজুদা বেগম খুকুর চাচাতো বোন।

প্রতারক ও জালজালিয়াত চক্রের মাষ্টার রাসেল শেখ পিতা জাহেদ আলী ও আকলিমা আক্তার কে ধরিয়ে দিতে পারলে নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেছেন।০১৭১৭৭৫০১৯৮ নাম্বারে সন্ধান দাতাদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

দীর্ঘ ৪ দশক পর নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের জনসভা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : দীর্ঘ প্রায় ৪ দশক পর এই প্রথম নারায়ণগঞ্জে খোলা মাঠে জনসভা করতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। আগামীকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের ইসদাইর ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জনসভা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের।

এরই মধ্যে জনসভাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে সাজ সাজ রব। জেলা ও মহানগর জামায়াতের প্রত্যেকটি স্তরেই একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছেন। তাদের টার্গেট জনসভায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম করা। এর মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের অবস্থান জানান দিতে চাচ্ছেন তারা।

দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঢাকা থেকে আলাদা হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে খোলা মাঠে জনসমাবেশ করা হয়নি জামায়াতের। কয়েকবার খোলা মাঠে করার উদ্যোগ নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতায় শেষ পর্যন্ত হয়নি। ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে কর্মিসভায় তৎকালীন জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এলেও প্রকাশ্যে কোনো সভা করার সুযোগ হয়নি।

এর আগে জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযম নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার কথা থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শামীম ওসমান। সেই সঙ্গে তখন নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও আলী আহসান মুজাহিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছিল।

এবার নারায়ণগঞ্জ জামায়াতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জনসভাকে কেন্দ্র করে সাইনবোর্ড থেকে বর্তমান জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে সম্মান জানিয়ে গাড়িবহরে স্লোগান দিতে দিতে শহরে প্রবেশ করবেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াত ইসলামের আমির আব্দুল জব্বার বলেন, দীর্ঘদিন পর বড় ধরনের একটি সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৬ বছরে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়েছি। এবার সমাবেশের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জবাসীকে জানান দিতে চাই, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আমাদের আগামী দিনের ভাবনা।

প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সমাবেশ উপলক্ষে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, থানায় থানায় কাজ করছি। বিভিন্ন মাধ্যমে দাওয়াত পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক নেতাদের দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করবো। ঝুঁকি বলতে কোনো কিছু ফিল করছি না।

উপস্থিতি সম্পর্কে আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের টার্গেট লক্ষাধিক লোকের। সমাবেশ সুন্দর সুশৃঙ্খল করার জন্য হাজার দুয়েক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। সেই সঙ্গে যারা সমাবেশে আসবেন, তাদের জন্য সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, জামায়াত অন্যতম একটি বড় রাজনৈতিক দল। তারা জনসমাবেশ করবে। সেই সমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকেও থাকবে পুলিশ। জনসমাবেশ যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন। সুত্র: জাগোনিউজ..

অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে মোশারফ ফকিরের ফুলেল শুভেচ্ছা 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল বক্তাবলী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. মোশারফ ফকির।

গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল বক্তাবলী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. মোশারফ ফকির বলেন, জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

নতুন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ভাইয়ের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি আরো বেগবান হবে সেই আশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক পদে দায়িত্ব অর্পণ করায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

সামনের দিনগুলোতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ভাইয়ের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে আমরা কেন্দ্র ঘোষিত যেকোনো কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবো ইনশাআল্লাহ।

সাংবাদিক তোফাজ্জল ও সেলিমের রুহের মাগফেরাত কামনায় সহকর্মীদের দোয়া

## সাংবাদিকদের স্মৃতিচারণে কাঁদলেন টিপু
## ওনারা অত্যান্ত মোহাব্বতের মানুষ ছিলেন: মাও. ফেরদাউসুর রহমান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :
দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও ফটো সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সেলিমসহ প্রয়াত সকল সাংবাদিকদের রুহের মাগফিরাত কামনা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৪ জানুয়ারী) বাদ জোহর শহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রয়াত সাংবাদিকদের সহকর্মীরা এ দোয়ার আয়োজন করে।
দোয়া মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ্, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সাবেক সভাপতি তাপস সাহা, হাবিবুর রহমান শ্যামল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শহিদুল্লাহ্ রাসেল ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক লিটন।
দোয়া মাহফিলে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মৃতিচারণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমি মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হওয়ায় সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন তোফাজ্জল ভাই। তিনি আমার প্রতিটি কাজে পরামর্শ দিতেন। প্রতিদিন আমার সাথে একবেলা করে দেখা না করলে তার পেটের ভাত হজম হতো না। সেদিন সকালে যখন শুনলাম সাথে সাথে আমি সবুজকে (তোফাজ্জলের বড় ছেলে) কল করলাম, ও বললো ‘আব্বু কথা বলতে পারছেনা।’ যতদিন হসপিটালে ছিলো আমি প্রতিদিন সবুজের সাথে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তার জবান ছিলো না। ভাবতে পারিনি, তিনি এভাবে চলে যাবেন।
তিনি বলেন, তোফাজ্জল ভাই স্পষ্টবাদী ছিলেন। যেখানেই কোন সংবাদ পেতেন সাথে সাথে চলে যেতেন। এবং তিনি একজন ইসলামের সেবক ছিলেন। তিনি সত্যের পক্ষে ছিলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি যাকে যাই বলতেন স্পষ্টভাষায় বলে দিতেন। তিনি একদম স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। তিনি সাংবাদিক জগতে যে অবদান রেখে গেছেন, তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। ওনার লেখনি খুবই বস্তুনিষ্ঠ ছিলো এবং ন্যায়ের পক্ষে ছিলো। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
সেলিমের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, সেলিম ছিলো একদম নরম মনের মানুষ। একটা ঠান্ডা প্রকৃতির সাংবাদিক ছিলো। দেখা হলেই সালাম দিতো। কখনো অভিমান করতো না। নয়ন, সুলতান চলে গেছে। আসলে ওরা আমাদের জন্য অনেক অবদান রেখেছে। কিন্তু আমরা ওদের জন্য কিছুই করতে পারেনি। কারণ, আপনারা জানেন বিগত আওয়ামী লীগের ষোলটি বছরে আমাদের জীবনটা রক্ষা করাটাই অনেক কঠিন ছিলো। ষোল বছরে ষোল ঘন্টাও বাড়ীতে ঘুমাতে পারেনি। শহরে চলাচল ঠিকই ছিলো কিন্তু বাড়ীতে থাকতে পারেনি। যাইহোক, আপনারা দোয়া করবেন আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো।
দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, আপনারা যে পেশায় নিয়োজিত এর চাইতে উত্তম পেশা এ পৃথিবীতে কিছুই হতে পারেনা। সত্যকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। এটা সবচাইতে বড় জিহাদ। একজন মানুষ ষড়যন্ত্রের শিকার, আপনারা ইচ্ছে করলে সেই মিথ্যে ষড়যন্ত্র থেকে তাকে উদ্ধার করে সত্যটাকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারেন। এই যে বিষয় এটা অনেক বড় ইবাদত। এই ইবাদতে জড়িত ছিলেন আমাদের তোফাজ্জাল ভাই, আমাদের সেলিম ভাই। ওনারা অত্যান্ত মোহাব্বতের মানুষ ছিলেন। ওনারা দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকটা মানুষ বলে ‘তারা ভালো মানুষ ছিলো।’ আমি এদের প্রত্যেকের জন্য দোয়া করি। আমাদের তরফ থেকে তাদের জন্য যতটুকু করার দরকার আমরা করবো।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ্ বলেন, মৃত্যুর পর মানুষের সকল আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। একমাত্র পথ থাকে নেক দোয়া। যদি কোন নেক সন্তান তার জন্য দোয়া করে, ওটাই তার জন্য পৌছায়। আলহামদুল্লিাহ্ আমরা তাদের জন্য দোয়া করেছি। তোফাজ্জল ভাই, সেলিম, সুলতান যারাই ছিলো তাদের সবারই সমাজে একটা গ্রহণযোগ্যতা ছিলো। হাসি-খুশি ছিলো, মিশুক ছিলো। কখনও কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। তাই আসুন আমরা সবাই তাদের জন্য দোয়া করি।
বক্তব্য শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে নেওয়াজ বিরতণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যমুনা টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমির হুসাইন স্মিথ, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জনি, দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিলন বিশ^াস হৃদয়, খবর নারায়ণগঞ্জের প্রকাশক জাহিদ হাসান, নির্বাহী সম্পাদক মশিউর রহমান, রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সুমন, নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউটির সাধারন সম্পাদক ও দ্যা বাংলা এক্সপ্রেসের সম্পাদক উজ্জল হোসাইন, সিটি নিউজের বার্তা সম্পাদক জুয়েল রানা, ফটো সাংবাদিক মো: কাইয়ূম, দৈনিক যুগের চিন্তার ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান, দৈনিক রূদ্রবার্তার আলী হোসেন টিটু, দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার ফটো সাংবাদিক রিপন মাহমুদ, দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশের হাবিব খন্দকার, সোলাইমান হোসেন ও প্রয়াত সাংবাদিক তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান সৌরভ, ফটো সাংবাদিক সেলিমের ছোট ভাই হৃদয় ও ছেলে মাহফুজসহ আরও অনেকে।

অনৈতিক কর্মকাণ্ডে: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :

নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বিএনপি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধসহ এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর দলের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।ম

মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানান।

রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রাপ্ত ফলাফল ইতিবাচক নয়। সে জন্য কমিটি বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে দুই সদস্যের কমিটি করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটিতে আলোচনায় যারা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পর দ্রুত এ কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতোমধ্যে পদ প্রত্যাশী একাধিক নেতার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই আসতে পারে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি।

ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্র। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত কমিটি কেন্দ্রের কাছে কমিটি বাতিলের সুপারিশ করলে কেন্দ্র কমিটি বাতিল করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কমিটি বাতিল করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দলের কেন্দ্র। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই বিজ্ঞপ্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে দলের একাধিক সূত্র নতুন কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রের কাজ শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফরম্যাট প্রস্তুত করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি ফরম্যাটের কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘোষণা করার কাজ চলমান আছে।

দলীয় সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে সভাপতি, জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেলকে সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি কাজি মনিরকে সভাপতি, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক, সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে সভাপতি, জেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে একটি ফরম্যাট আছে। আরেকটি ফরম্যাটে আছে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে সভাপতি, জেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আরেকটি ফরম্যাট আছে। দুটি ফরম্যাটের যেকোন একটি যেকোন সময় ঘোষণা করা হতে পারে।

এদিকে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপির সর্বশেষ সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে নিয়েও আলোচনা রয়েছে। তাকে নিয়েও কমিটি সংক্রান্ত গঠিত কমিটি চিন্তা ভাবনা করছে। তবে যেহেতু সর্বশেষ কমিটিতে তিনি থাকা অবস্থায় তদন্ত হয়েছে এবং কমিটি বাতিলের সুপারিশ এসেছিল তাই তাকে নতুন কমিটিতে হয়তো রাখা হবেনা এটাই ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতা ইকবাল বহিষ্কার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও আদর্শের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মিনহাজ আমান নামে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করার ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন অভিযোগ উঠেছে।

এ অপরাধে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

শহীদুল ইসলাম টিটুর মায়ের মৃত্যুতে ছলিম প্রধানের শোক প্রকাশ

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ছলিম প্রধাণ জুয়েল।

জানাগেছে, ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় শহীদুল ইসলাম টিটুর মা নারায়ণগঞ্জের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে  ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মো. ছলিম প্রধাণ জুয়েল মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সকলের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন এবং মহান আল্লাহতালার কাছে মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।

ফতুল্লায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় বাদল গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট:  ফতুল্লার বক্তাবলী ঘাটে সিটি ওয়েল সেন্টার পাম্প নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনার মামলার প্রধান আসামী বাদলকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকা থেকে থাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুকান্ত দত্ত।

গ্রেফতারকৃত আসামী বাদল ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার মৃত হাকিম বেপারীর ছেলে।

এর আগে গত শনিবার (৫ অক্টোবর) বাদল ও তার বাহিনীর লোকজন ফতুল্লার বক্তাবলী ঘাটে সিটি ওয়েল সেন্টার পাম্পে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে লুটপাট ও ভাংচুর সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এ ঘটনায় সিটি ওয়েল সেন্টার পাম্পের মালিক মোঃ সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩০, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ।

উল্লেখ্য, এর আগে ফতুল্লায় ইউপি সদস্যসহ ৩জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার ৭দিন কারা ভোগ করে জামিনে আসেন বাদল। তাছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি হত্যা মামলার আসামী তিনি।