জৈনপুরী পীর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

73

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ১২ (সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার স্থানীয় দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় বিশ্ব বরেণ্য মুফাসির আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরীর পীরকে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও চরম মিথ্যা আশ্রীত সংবাদ প্রকাশে গভীর উদ্বেগের সাথে নিন্দা জ্ঞাপন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের আহবায়ক মাওলানা মুফতি আ. রশীদ হারুনী। তিনি বলেন ১২ই সেপ্টেম্বর সংবাদচর্চা পত্রিকায় “জৈনপুরী পীরের খাল দখলের কারণে জলাবদ্ধতা” শীষক কলামে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর বিশ্ব বরেণ্য মুফাসির আল্লামা আব্বাসীকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। যার সাথে সত্যের লেশ মাত্র নেই।পত্রিকাটি যে মিথ্যাচার করেছে তাহলো আব্বাসী রেলওয়ের খাল ভরাট করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছ। অথচ গত ৫ সেপ্টেম্বর সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক পাঠানটুলী পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় পঞ্চায়েত ঘরে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ কথার প্রমান পান যে আব্বাসী মঞ্জিল কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ব পাশের রেলওয়ের খাণ ভরাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। বরং আশপাশের বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর লোকজন রেলওয়ের জায়গা ভরাট করাতে বিষেশ করে আব্বাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে চক্রটি ‍সুদীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত করছে তাদের হোতা গংরাই আব্বাসী মঞ্জিলের পূর্ব পাশের রেলওলেয় খালে ১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধ্য গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী নির্মাণ করে এলাকার জলাবদ্ধতা সূচনা করে। অথচ আব্বাসী মঞ্জিল কর্তৃপক্ষ যখন দরবারের মাঠ হিসেবে পূর্ব পাশের রেলওয়ের খাল ভরাট করেন তার আগে(২০০১)সালে তৎকালীন রেলওয়ে স্টেট অফিসার আল্লামা আব্বাসীর পিতা মরহুম আল্রামা নিসার আহামাদ আব্বাসী জৈনপুরী (র) উপস্থিতিতে দরবারের পূর্ভ পাশের ১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ৮৮ ফুট প্রস্থ খালটি দরবার কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেন।পরবর্তীতে রেলওয়ের জায়গাটি লিজও নেওয়া হয়। অধিকন্তু রেলওয়ের খালটি বালু দিয়ে ভরাটের সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য মাটির নিচে উত্তর-দক্ষিনে ৩৬ ইঞ্চি মোটা পাইপও (১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ৮৮ ফুট প্রস্থ) বসানো হয়। তাই সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় কমিশনার ইফতাখার আলম খোকনকে দায়িত্ব দেন। তাও সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। ওসি কামরুল ফারুক ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে রেলওয়ের ভরাট খাল অবমুক্ত করার কোন কথাই বলেননি। যা ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। এবং একথা সত্য হিসেবে উদ্ভাসিত হয় যে আল্লামা আব্বাসী রেলওয়ের খাল ভরাটে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। বরং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অন্যান্য অঞ্চল থেকে নিচু হওয়াতেই ভাড়ী বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অতএব সংবাদচর্চা পত্রিকায় একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে মূলত সংবাদপত্রের সত্যনিষ্টতা ও পেশাদায়িত্বকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। আমরা এ মিথ্যা সংবাদে তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন ও প্রতিবাদ করছি।

পত্রিকায় দ্বিতীয় যে মিথ্যাচার করেছে পাঠানটুলী পঞ্চায়েত কমিটির আহবায়ক আ. রব ভূইয়া আল্লামা আব্বাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগটিও ৫ সেপ্টেম্বর পাঠানটুলী পঞ্চায়েত ঘরে ওসি উপস্থিতিতে সব মিথ্যা সাবস্থ হয়। কারন আলআমা আব্বাসীর উপস্থিতিতে আ. বর ভূইয়া তার অভিযোগকৃত বিষয়ে একটি কথাও বলেননি বরং ওসি তাকে বার বার ধমক দিলেও তিনি সোজা বলে দেন তিনি বলবেন না। কারণ তিনি নিজেই জানেন না অভিযোগে কি লেখা আছে। পত্রিকাটি আল্লামা আব্বাসীর বিরুদ্ধে আরেকটি একপেশে সংবাদ পরিবেশন করে আব্বাসীর সন্মানে আঘাত করার চেষ্ঠা করেছে। তারা প্রকাশ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আল্লামা আব্বাসী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অথচ মামলা দায়েরের মাত্র ২১ দিন পরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রমানসহ আল্লামা আব্বাসী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে নতুন (এফ আর আই) নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও সিদ্দিরগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন।

তাই সংবাদচর্চা পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ করবোহলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সত্য ও বস্ত্রুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে পেশাদায়িত্বের পরিচয় দিতে অন্যথায় তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত নারায়নগঞ্জ জেলা শাখা মানহানি মামলাসহ সকল ধরণের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।