নিউজ প্রতিদিন: রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার ছোট ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কুমুর পরিবার।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব হল রুমে লিখিত পত্র পাঠ করেন শহরের তামাকপট্রি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মুকিত।
তিনি বলেন, রুপগঞ্জ পিতলগঞ্জ মৌজায় আমাদের ১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। যা আমাদের নামে খারিজ করা। সেই জায়গাটি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক জবর দখল করে বালু ভরাট করে ফেলেছে।
আন্ডা রফিক চেয়ারম্যান ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে,পুলিশ প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়না। এ ব্যাপারে রুপগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিপিএম পিপিএম বারের শরনাপন্ন হলে তিনি রুপগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত তারা নির্বিকার।
মুকিত আরো বলেন,আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ২০১৬ সালে মারা যান। অথচ আজ একজন মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে রেখেছে ভুমিদস্যু আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজান। আপনাদের লিখুনীর মাধ্যমে জেনেছি রফিক শুধু ভূমিদস্যুতায় নয় নারী কেলেংকারীর সাথেও জড়িতের সাথে অভিযোগ রয়েছে।
নিরুপায় হয়ে আপনাদের শরনাপন্ন হয়েছি যেন আমাদের জমিটি ভূমিদস্যু রফিক ও মিজানের কাছ থেকে উদ্ধার পেতে চাই।বর্তমানে রফিক ও মিজান বাহিনীর হুমকি ধমকীর কারনে চরমনিরাপক্তা হীনতায় রয়েছি।জমিটি অন্যত্র বিক্রি করতে চাইলেও রফিক বাহিনীর ভয়ে কেউ কিনতে চায়না।
বর্তমান পুলিশ সুপার হারুন সাহেব সব জায়গায় বলে থাকেন ভূমিদস্যু,চাদাঁবাজ,মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দিবেন না । এটাই যদি হয়ে থাকে আমি এর বাস্তবায়ন চাই। এক সপ্তাহের মধ্যে আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজানের বিরুদ্ধে আমার জমি দখল মুক্ত না করলে নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি পালন করবো। আমি আমার জমি দখল মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মুকিত বলেন, জমি ভরাট করার সময় গেলে রফিক ও মিজান দেখা দে নাই। কাগজপত্র দেখতে দেখাই। এভাবে ২৮ দিন ঘুরায়। রফিকের খাস লোক আবদুল্লাহ ও মানবজমিনের সাংবাদিক জয় বলেন,আমরা ঝামেলা শেষ করে দিব। তারাও দেয়নি। শামীম ওসমান এমপির কাছেও গিয়েছি তিনি কাগজপত্র দেখে বলেন আমি বিষয়টি দেখবো। ঢাকায় মানববন্ধন করায় রফিক ও মিজান শাসিয়েছে। তারা সরকারী বন্ধের দিন দেখা করার সময় দেয়। মিজান ও রফিক ন্যায্য মূল্য দেবার কথা বলে দেড় বছর যাবত ঘুরাচ্ছে। একবার অফিস থেকে বডিগার্ড দিয়ে বের করে দেয়।
জমিটি ফেরত পেতে এসপি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানা,পুত্র মোঃ মুকিত,পুত্রবধূ ফাতেমা রহমান ও নাতনী রওশন আরা রহমান নিশা প্রমুখ।