অবশেষে আলাউদ্দিন হাওলাদার গ্রেফতার

96

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার পাগলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় দুই যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে অবশেষে আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ । তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে ঢাকার ওয়ারী থেকে শুক্রবার ভোর ৬টায় গ্রেফতার করা হয়।
ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, এসআই সালেকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আলাউদ্দিন হাওলাদারকে ওয়ারী থেকে গ্রেফতার করে।

ফতুল্লার পাগলায় দুই যুবককে ছাগল চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পিটুনিতে আহত নাঈম (২৫) কুতুবপুর ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার আব্দুর রব মাস্টারের ছেলে এবং অপরজন একই এলাকার রাতুল (৩০)।
বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও কুতুবপুর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদারের নিজ বাড়ির কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে।পিটিয়ে এদিনই গুরুতর আহত যুবকদের পুলিশে দেন আলাউদ্দিন হাওলাদার। একইদিন উল্টো সাজানো ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আহত যুবকদের ছাগল চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করে।
ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর শাহী মহল্লা এলাকার শফিকুল ইসলামের দুটি বিদেশি জাতের ছাগল চুরি হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুজন চোরকে ধরে তাদের স্বীকারুক্তিতে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছাগল দুটি উদ্ধার করা হয়।
আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, নাঈম ও রাতুলকে মারধরের সময় ছাগলের মালিক শরীফ মিয়া নিজেই তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। এদিকে ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই যুবককে পেটানো হচ্ছে। আর সেই পেটানোর নির্দেশ দিচ্ছেন আলাউদ্দিন হাওলাদার।
নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করে। ৩১ ডিসেম্বর রাতুলের সঙ্গে তাকেও মারতে মারতে নিয়ে গেছে। পরে আবার আলাউদ্দিন হাওলাদার তার অফিসে নিয়ে গিয়া ইচ্ছামত পিটিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।
একটা পাগলা কুকুরকেও মানুষ এভাবে পিটায় না। আমার ছেলে অন্যায় করলে আমাদের জানাতে পারতো, পুলিশে দিতো। আমরা ওই বর্বরদের নির্যাতনের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার এস আই মোদাচ্ছের জানায় ছাগল চুরির অভিযোগ পেয়ে আমি তদন্তে গিয়ে ছাগল উদ্বার সহ চোরদের গ্রেফতার করতে পারিনি।তবে একটি ভিডি ও ফুটেজে চুরির ঘটনাটি দেখা গেছে।পরবর্তীতে বাদী একদিন ফোন করে আমাকে জানায় চোরেরা জালকুড়ী এলাকায় অবস্থান করছে।ঐ এলাকায় আমার ডিউটি না থাকায় আমি তখন এস আই সালেক কে বিষয়টি অবগত করি।সালেক তখন গিয়ে চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মুন্সিগঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া ছাগল উদ্বার করা হয়ে।আটককৃত চোরদের বিরুদ্বে মামলা হয় এবং তাদেরকে আাদালতে চালান দেয়া হয়।