বক্তাবলীর আকবর নগর আবারো অশান্ত হয়ে উঠছে!

643

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই হাজ্বীর লোকজনের সাথে ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি,ভাংচুর ও  লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭ টায় আকবরনগরে রহিম হাজ্বীর ও সামেদ আলীর লোকজনের সাথে ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনীর লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ইব্রাহিম মন্ডলের ইয়ানুস ও আনোয়ার নামে ২জন আহত হয়।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জয়নাল মন্ডল হত্যাকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী ও রহিম হাজ্বীর লোকজনের পাল্টাপাল্টি মামলা হওয়ায় দুইপক্ষের লোকজন এলাকা ছাড়া ছিল।এই সুযোগে রহিম হাজ্বীর ভাই সুরুজ হাজ্বীর ইটভাটা দখল করে নেয় ইব্রাহীম মন্ডল। ইটভাটাটি ফেরত দিতে বারবার বলা হলেও ইব্রাহীম মন্ডল টালবাহানা শুরু করে।সকালে সামেদ আলী,রহিম ও সুরুজ হাজ্বীর লোকজন তাদের ইটভাটায় গেলে ইব্রাহীম মন্ডলের লোকজনের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এতে ইব্রাহিম মন্ডলের পুত্র ইয়ানুস,আলাউদ্দিনের পুত্র আনোয়ার আহত হয়।

এ ব্যাপারে ইব্রাহীম মন্ডল বলেন,সন্ত্রাসী মোতালিব,রহিম, সুরুজ ও সামেদ হাজ্বীর লোক ইটভাটা ও বাসায় এসে হামলা সহ জিনিস পত্র লুটকরে নিয়ে যায়।পুলিশকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা। ইটভাটা আমাকে দেয়া হলেও এখন তারা দিবেনা বলে টালবাহানা শুরু করে।

সামেদ ও রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,ইটভাটা ফেরত চাওয়ায় পরও ভূমিদস্যু ইব্রাহিম মোল্লা ফেরত দেবার নামে টালবাহানা শুরু করে। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী আসাদুজ্জামান দায়িত্ব নেন।তাকেও মানছেনা ইব্রাহিম মন্ডল। আমরা তাদের উপর হামলা করিনি বরং তারা হামলা চালায়। বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান হাজ্বী এম শওকত আলী বলেন, আসলে ইটভাটাটির মালিক সুরুজ হাজ্বী। ইব্রাহিম মন্ডল ফেরত দিবে বলে দিচ্ছেনা। আসাদ চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন। আজকে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন জানান ইব্রাহিম মন্ডলের বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।