বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকীতে সন্ত্রাসী খুনি মোদিকে জনগন দেখতে চায়না–পীর সাহেব জৈনপুরী

388

নিউজ প্রতিদিন : বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক ব্যাক্তি ছিলেন। দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর জেল খেটেছিলেন। তার জন্ম শত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিশ্ব সন্ত্রাসী খুনি মোদিকে বাংলাদেশের মুসলমান দেখতে চায়না।

সাম্প্রদায়িক কসাই মোদির হাতে মুসলমানদের রক্ত লেগে আছে।মুসলমানদের মসজিদ জ্বালিয়েছে, নির্মম ভাবে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে আগুনে জ্বালিয়েছে।

সুতরাং সাম্প্রদায়িক কসাই বিশ্ব সস্ত্রাসী খুনি মোদি যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাকে বাংলার জনগন জুতা দিয়ে গণসংবর্ধনা দিবে।

ভারতের মুসলমানদের উপর উগ্র হিন্দুত্ব বাদীদের সহিংস হামলা, মসজিদে অগ্নি সংযোগ এবং মুসলিম বিদ্বেষী খুনি,সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১লা মার্চ (রবিবার) দুপুর ১২টায় আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরিফ মাঠে তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ-নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে আমীর, তাহরিকে খাতমে নুবুুওয়্যাত বাংলাদেশ- ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী হুজুর এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব জৌনপুরী আরো বলেন,১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদে যখন হামলা করা হয়েছিল তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে বাংলদেশের জনগন আসতে দেয়নি। তাই এবার মোদিকেও বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবেনা ইনশা আল্লাহ ।

আমাদেরকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আগ্রাসন চপিয়ে দিলে তা প্রতিরোধ করতে হবে। মোদি সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা নির্বিচারে মুসলমানদেরকে হত্যা করছে। এতে প্রতিবারই সমস্ত মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরন হচ্ছে। এই বর্বোচিত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। যেই হিন্দুস্থানে মুসলমানদের উপর অত্যাচারের স্টীমরুলার চালানো হচ্ছে সেখানেই উড়বে মুসলমানদের বিজয়ের পতাকা ইনশা আল্লাহ। পরিশেষে পীর সাহেব হুজুর ভারতের মুসলমান সহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাঃ মুফতি সাইয়্যেদ এমদাদ উল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওঃ মুফতি সাইয়্যেদ এহসান উল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওঃ মুফতি সাইয়্যেদ নেয়ামতুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওঃ মুফতি সাইয়্যেদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী,মাওঃ মুফতি আঃ রহিম , মাওঃ মুফতি বারাতুল ইসলাম, মোঃ আবুল হোসেন, খাজা মামুন ও হায়াত আলী প্রমুখ।