বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা

27

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে সমাবেশের তিন দিন আগ থেকেই বরিশালে আসতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গণপরিবহণ বন্ধের দুর্ভোগ এড়াতে এই কৌশল নিয়েছেন তারা।

বুধবার, নভেম্বর ২, ২০২২, নগরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। সাগরপারের মনপুরা থেকে দক্ষিণ উপকূলের পাথরঘাটা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার অনেকেই বরিশালে এসে পৌঁছেছেন।বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে সমাবেশে আসতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্যে কর্মী-সমর্থকদের ২/৩ দিন আগেই আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই তারা বরিশালে আসতে শুরু করেছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সিংহভাগ নেতাকর্মীও ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন।

নগরীর দুটি বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি লঞ্চ-বাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বোঝাই হয়ে আসছে মানুষ। তাদের একটি বড় অংশ সমাবেশের উদ্দেশ্যে আসছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।দুপুরে নগরীর সদর রোডে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শত শত নেতাকর্মীর উপস্থিতি চোখে পড়ে। বরিশালের ৬ জেলা আর ৪২ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে মানুষ। অফিসের সামনে দেখা হয় খলিল সরদারের সঙ্গে। বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ এলাকায়।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার লঞ্চ ও বাসে ভিড় আরও বাড়বে। শুক্রবার থেকে তো সবই বন্ধ। তাই আগেভাগেই চলে এসেছি। আমাদের এলাকার অনেকেই এসেছে। সবাই আছে বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের বাসায়।

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থেকে আসা আলম মাঝি বলেন, ‘আজ (বুধবার অনেকেই এসে পৌঁছেছে। বাকিরা কাল আসবে। সমাবেশে যোগ দিতে পাথরঘাটা থেকেই বরিশালে আসার কথা রয়েছে দুই হাজার নেতাকর্মীর।’ খলিল-রফিকের মতো অনেকের সঙ্গে কথা হয়, যারা প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন।

নেতাকর্মীরা জানান, অন্যান্য বিভাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশের তুলনায় এখানে অনেক বেশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। খুলনা-রংপুরে সমাবেশের সময় কেবল বাস আর লঞ্চ বন্ধ থাকলেও থ্রি-হুইলার কিংবা রিকশা করে আসতে পেরেছে মানুষ। বরিশালে থ্রি-হুইলার চলাচলও বন্ধ থাকবে দুদিন। স্থানীয় লঞ্চ মালিক সমিতির অফিসে গেছে অভ্যন্তরীণ রুটের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ। বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চও।

চরম বৈরী এই পরিবেশে গণসমাবেশ কতটুকু সফল হবে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এইচএম তসলিমউদ্দিন বলেন, ‘এসব বাধা সত্ত্বেও মানুষ আসবে। শুধু যুবদলেরই ৩০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। ৫ নভেম্বর বিএনপি দেখিয়ে দেবে জনসমুদ্র কাকে বলে।’

বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান নান্টু বলেন, ‘এসব বাধা যে আসবে, তা আমরা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছি। তাই জনসমাবেশে লোকসমাগম প্রশ্নে নেওয়া হয়েছে ভিন্ন কৌশল। অপরাজনীতিকে সঠিক রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করব আমরা।’

সূত্র— যুগান্তর/ নভেম্বর ৩, ২০২২