বক্তাবলীর প্রসন্ননগর গ্রামের নাম পরিবর্তনের গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল

180

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :  বক্তাবলী এলাকার প্রসন্ননগর গ্রামের নাম পরিবর্তনের গুজব ছড়িয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের পায়তারা করছে একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল। সাধারণ মানুষকে ভুল নয়ছয় বুঝিয়ে ব্যক্তি বিশেষের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহলটি।

জানা গেছে, স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহলটি প্রসন্ননগরের নাম পরিবর্তনের দায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড. আল আমীন সিদ্দিকীর উপর চাপিয়ে সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তার উপর পূর্বশত্রুতার শোধ নিতে চায়। অথচ এড. আল আমীন সিদ্দিকী সরকারি কোন কর্তৃপক্ষ নয় যে তিনি প্রসন্ননগরের নাম পরিবর্তন করবেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এড. আল আমীন সিদ্দিকী একজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও সমাজকর্মী হিসেবে বিভিন্ন সময় সামাজিক অন্যায়, অবিচার ও বেআইনী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করেন এবং নিপীড়িত, অসহায়, অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেন। এতেই স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহলটি দীর্ঘদিন যাবত তার উপর ক্ষুব্ধ।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, গত বছর প্রসন্ননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনকালে একটি কুচক্রী মহল চেয়েছিল সরকারী আইনের তোয়াক্কা না করে তাদের ইচ্ছে মতো কমিটি করতে। কিন্তু এড. আল আমীন সিদ্দিকীর জন্য নাকি সেটা সম্ভব হয়নি। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ওয়ার্ড মেম্বার সেকান্দরের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে মেম্বার ও তার বংশের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে তার উপর। তাছাড়া, গ্রামের ভূমিদস্যু ও কুচক্রীরা বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষের জমি অন্যায় ও বেআইনীভাবে আত্মসাৎ ও দখলের পায়তারা করলে তিনি নিরীহ অসহায় মানুষের পক্ষে দাঁড়ান। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল ঐক্যব্ধ হয়ে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে এড. আল আমীন সিদ্দিকীকে দেখে নেওয়ার জন্য। সম্প্রতি এড. আল আমীন সিদ্দিকীর বাড়ির সাইনবোর্ডে তার বাড়ির নাম “গাজীনগর হাউজ” লেখার কারণে স্বার্থান্বেষী মহলটি ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। তারা মানুষকে ভুল বুঝায় যে এড. আল আমীন সিদ্দিকী প্রসন্ননগরের নাম পরিবর্তন করে ফেলেছে। অথচ গ্রামের নাম পরিবর্তন সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়।

প্রসন্ননগর গ্রামের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে এড. আল আমীন সিদ্দিকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি সরকারি কাগজে লিপিবদ্ধ একটা গ্রামের নাম পাল্টায় কীভাবে আমার জানা নেই। তাছাড়া, প্রসন্ননগর গ্রামের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকার কোন উদ্যোগ নিয়েছে কিনা বা কোন ব্যক্তি নাম পরিবর্তনের কোন আবেদন করেছে কিনা আমার জানা নেই। গ্রামের একটি কুচক্রী মহল উদ্দ্যেশমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

গুগুল ম্যাপে প্রসন্ননগর ও কানাইনগর গ্রামের মধ্যবর্তী নতুন জনবসতিপূর্ণ এরিয়াটি “গাজীনগর” হিসেবে প্রদর্শন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে এখানে বসতি গড়ে তুলেছে। এখানে “গাজী মসজিদ” নামে একটি মসজিদ ও “গাজী মার্কেট” নামে একটি মার্কেট রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি গাজী বংশও রয়েছে এখানে। তাই কেউ কেউ নতুন বসতিপূর্ণ এরিয়াটিকে আনঅফিসিয়ালি গাজীনগর হিসেবে অভিহিত করে থাকে। তবে গুগল ম্যাপে কীভাবে এরিয়ার নাম ওঠে আমার জানা নেই। আমি যতদূর জানি, গুগল ম্যাপ কোন সরকারি দলিল বা ডকুমেন্ট নয়। এটা একটা বিদেশি বেসরকারি কোম্পানির লোকেশন সেবা। গুগল ম্যাপের সবকিছু নির্ভরযোগ্য নয়।

সবশেষে তিনি বলেন, প্রসন্ননগরবাসীর প্রতি আমার আহবান-স্বার্থান্বেষী কুচক্রীদের ছড়ানো গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না। সরকার প্রসন্ননগরের নাম পরিবর্তন করেনি বা করার উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি পরিবর্তন করার জন্য কোন আবেদনও করেনি কেউ।