ফতুল্লায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

8

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েও তারা জেসমিনকে বাঁচাতে পারলেন না। তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে নগরীর খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম জেসমিন বেগম। ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকার আলী হোসেনের স্ত্রী।

জানা গেছে, নিহতের চারভাই প্রবাসী হওয়ার নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন নিহতের স্বামী আলী হোসেন। এর আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করা হলে তিনি তার মেজো ভাইকে ঘটনা জানায়। এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে নিহতের পরিবারকে জেসমিনের স্বামী ফোন করে জানায়- তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, সেখানে মারা গেছে।

পরে পরিবারে লোকজন এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বোন ও বড়ভাইয়ের দাবি, তার বোনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা জানান, তার বোন জেসমিন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থাও তার ওপর টাকার জন্য নানাভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী, শাশুড়ি ও তাদের স্বজনরা। এরপর ৩ ধাপে ৮ লাখ, ৫ লাখ ও ৭ লাখ টাকা দিয়েও তার ওপর নির্যাতনের খড়গ বন্ধ করতে পারেন নি। এছাড়াও কিছুদিন আগে আলী হোসেনের নামে যে টাকা রাখা হয়েছে তা জেসমিনের বাপের বাড়ির থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম জানান, রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে নগরীর খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তিনি তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।