ফতুল্লার কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ বেপরোয়া! আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা

51

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা কুতুবপুর লামাপাড়ার ভয়ংকর এক সন্ত্রাসীর নাম শরীফ । তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল, অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল অস্ত্র ও মাদক সহ তার নিজ বাড়ী থেকে তার ছোট ভাই বাদশাকে আটক করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। বতর্মানে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এসে পুরোদমে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে বাদশা ও শরীফ।সেই সাথে বন্ধ হয়নি তার আধিপত্য বিস্তারের একক নিয়ন্ত্রন। বর্তমানে শরীফ আধিপত্যকে ধরে রাখতে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া চালাচ্ছে। তার সাথে রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী রকমতের সহযোগীরা।শরীফ নিজেও পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত রকমতের একজন সহচর ছিল। শরীফও বহিরাগত ২০/২৫ খলিফাদের নিয়ন্ত্রনেই চলছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপকর্ম।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযোগ। একাধিক অপরাধের জন্য ফতুল্লা থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। ২০০৩ সালে কুতুবপুর মির হোসেনের বাড়ী থেকে পুলিশের লুট করা শটগান অস্ত্র সহ শরীফকে আটক করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ।
এছাড়াও ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার নাজমা বেগমকে মারপিট করে , জখম, প্রাণ নাশের হুমকী ও চুরির ডাকাতির অভিযোগ এনে শরীফ, বাদশা, সহ আরো একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬৬। ২০১৬ সালের ২রা আগষ্ট র‌্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক ও বিক্রির নগদ অর্থ সহ আটক হয় বাদশা, সহ চার জন মাদক ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর র‌্যাব-১১ এর অভিযানে মাদক বিক্রির নগদ অর্থ ও মাদক সহ আটক হয় শরিফ। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়। অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চুরির মামলায় শরীফ সহ আরো একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে এরা একাধিক বার জেলা গোয়েন্দা, পুলিশ, র‌্যাব এর হাতে মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অপরাধে আটক হলেও বেরিয়ে এসে তাদের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট তৎপর থেকে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শরীফের কারণে নয়ামাটি, লামাপাড়া এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি করতে সাহস পায়না। তাকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা না দিলে কেউ বাড়ি বা ফ্যাক্টরীতে একটি ইটও লাগাতে পারেনা। নতুন জমি বেচাকেনাতেও শরীফ বাহিনীকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। আশেপাশের এলাকায় জমির দাম বাড়লেও শরীফ বাহিনীর চাঁদাবাজীর কারণে এলাকায় এখনও জমির দাম প্রয়োজনের তুলনায় কম।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নানান অপকর্ম করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়।গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রাতারাতি ভূল পাল্টে আরেক সন্ত্রাসী কারারুদ্ধ জাকির খানের কর্মী বনে যায়।

শরীফ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।