পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করা পর্যন্ত বিএনপির পুরনো নেতারা বহাল থাকবেন: রিজভী

76

বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কমিটি গঠনের জন্য অনেক ভেবে চিন্তে নেওয়া ছাড়াও তিনি যাকে যে দায়িত্ব দেবেন বলে মনে করছেন তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কথা বলার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যাদের দায়িত্ব দেয়া হবে তাদের বাছাই করা ও দায়িত্ব অর্পণের জন্য সময় নিতেই হবে। এই কারণে বিএনপির নতুন কমিটির যে সব পদে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি সে সব পদে আগের কমিটির নেতারা বহাল থাকবেন। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে আমাদের অর্থনীতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাসিমা খান মন্টিসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের আভাস দেবেন বলে জানান রিজভী। স্থায়ী কমিটির আকার বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির আকার বাড়ছে না। যা আছে তাই থাকবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদও রয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের পদ বিলুপ্ত করে বিএনপির উপদেষ্টা করার ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছিল সেই ধরনের প্রস্তাব পাস হয়নি। এই কারণে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা পদ বহাল রয়েছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য পদগুলোতেও বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। যেগুলোতে বেশি পরিবর্তন এসেছে তা ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদগুলো ঘোষণা করা হবে।

বিএনপিতে এখন নতুন কমিটির নেতা আছেন কয়েকজন। বাকিরা পুরনো কমিটির। পুরানো ও নতুন কমিটি দিয়ে চলছে বিএনপি। এটা আর কত দিন চলবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, সময় বলা যাচ্ছে না। তবে নতুনদের যাদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে তারা তো পদ পেয়েছেন। কিন্তু এখনও অনেক পদ আছে যেগুলো ঘোষণা করা হয়নি। তবে এতে কোন সমস্যা নেই। বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা আছে কাউন্সিল হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা না হবে, ওই পদে নতুন কোন নেতা দায়িত্ব না নেবেন ততোদিন পর্যন্ত অঘোষিত পদের দায়িত্বে থাকা পুরনো কমিটির নেতারা দায়িত্ব পালন করবেন। এই কারণে আমাদের নতুন কমিটির নাম যতদিন ঘোষণা করা না হবে ততোদিন তারা থাকবেন।

বৈঠকের শুরুতে নিজের রাজনৈতিক জীবনের অনেক কথা তুলে ধরেন এই বিএনপি নেতা। বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ পদ বাণিজ্য করছেন এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন যে অবস্থায় বিএনপি রয়েছে সেখানে এগুলো কে করতে যাবে? আসলে এগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে অপপ্রচার।