নিজ গ্রাম সাঁথিয়ায় নিজামীর দাফন সম্পন্ন

58

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকরের পর জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর লাশ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাবনার সাঁথিয়ায় তার নিজ গ্রাম মনমথপুরে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার সকাল ৭টা ১৮ মিনিটের দিকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৭টা ১২ মিনিটের দিকে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।

বুধবার সকাল ৬টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স সাঁথিয়ার সীমানায় প্রবেশ করে।

নিজামীর জানাজায় ইমামতি করেন তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন। পুরো দাফনের সময় বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ মোতায়েন ছিল। এর আগে আজ ভোরে নিজামীর লাশ মনমথপুর গ্রামে পৌঁছলে তা গ্রহণ করেন তাঁর চাচাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন ও ভাতিজা আবদুর রহিম খান।

মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করা হয়। মরদেহ দাফন করার জন্য সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। আগে-পিছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ প্রহরায় মরদেহ ঢাকার শাহাবাগ, মহাখালী, উত্তরা, গাজীপুরের চন্দ্রা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়ায় নেওয়া হয়।

মরদেহ ঢাকা থেকে বাড়ি পর্যন্ত নেওয়া নির্বিঘœ করতে পুলিশ ও আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে নেয়। এজন্য ঢাকা থেকে সাঁথিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।

য়য়য়১১মঙ্গলবার রাত ১১:৩০ মিনিটে কারা ফটক থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ দু’টি অ্যাম্বুলেন্স ও আইনশৃক্সক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয়টি গাড়ি কারা ফটক থেকে চানখার পুল দিয়ে পাবনার মুখে রওনা রওনা হয়। কালো গ্লাসের অ্যাম্বুলেন্সগুলোর কোনটিতে নিজামীর মরদেহ তা জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, কারাগার থেকে বেরিয়ে ফার্মগেট, উত্তরা হয়ে বাইপাইল দিয়ে টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে পাবনার সাঁথিয়ায় যায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এ জন্য মহাসড়কের গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ অংশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরের পরেই সাঁথিয়ায় আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা নিজামীকে সাঁথিয়ায় কবর না দেওয়ার দাবি জানান। রাতে সাঁথিয়া পৌর সদরে আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। মিছিলটি পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

কবর খননসহ মরদেহ দাফন সম্পন্ন করে নিজামীর স্বজনরা। এলাকায় এখানো আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে।