তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানি আই এস অনুসারীদেরকে বিশেষ কয়েকটি দেশে হামলা চালানোর আহবান জানিয়েছিলেন।
রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের একজন গবেষক মার্গারেট গিলমোর বলেছেন, আই এসের সমর্থকদেরকে উৎসাহিত করা হয় ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশ লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনার জন্যে।
“আই এসের মুখপাত্র বলেছিলেন, যেখানেই পারো হামলা করো, যেকোনো ধরনের হামলা, যদি তুমি একাও থাকো, তুমি একটা ছুরি দিয়েও হামলা করতে পারো, চাইলে গাড়িও ব্যবহার করতে পারো, যা দিয়ে চাও, এজন্যে আমাদের কাছ থেকে তোমার কোন অনুমোদনের দরকার নেই,” বলেন তিনি।
“এবং তারপর আইএসের মুখপাত্র যেসব দেশের নাম বলেছে তার প্রত্যেকটিতেই হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে অন্যান্য আরো কয়েকটি দেশেও।”
কিংস কলেজ লন্ডনে ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শিরাজ মাহের বলেছেন, রমজান আসার আগেই আইএসের মুখপাত্র সারা বিশ্বে তার যোদ্ধাদের প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছিলো।
বলেছিলো: “প্রস্তুত হও, অবিশ্বাসীদের জন্যে এই মাসটিকে সর্বত্র একটি বিপর্যয়ের মাসে পরিণত করো।”
এই আহবান জানানো হয়েছিলো ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় এই খেলাফতের যোদ্ধাদের প্রতি।
নিরাপত্তা বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনার বলেছেন, বেশ কয়েকটি কারণে আইএসের জন্যে বর্তমানে এক নম্বর টার্গেট ফ্রান্স।
একটি কারণ ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলা যেখানে ফরাসী জঙ্গি বিমান অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, মালি, ইরাক এবং সিরিয়ায় জিহাদিদের হটাতে সক্রিয় ভূমিকা আছে ফ্রান্সের।
“ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যাও আছে। বুরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে যাকে দেখা হয় ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতা হিসেবে,” বলেন তিনি।
বিবিসির সাংবাদিক বলেন, জেলখানাতেও বন্দীরা উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
“ফরাসী কারাগারগুলোতে এই ঘটনা প্রচুর ঘটছে। ছোটখাটো অপরাধের জন্যে লোকেরা সেখানে যায় কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে কট্টর জিহাদি হিসেবে,” বলেন তিনি। সূত্র : বিবিসি বাংলা।