ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকায় বন্দুক মাসুমের মাদক ব্যবসা জমে উঠেছে

212

 

সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ: ফতুল্লার রেল ষ্টেশন ও ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় রোড এলাকায় বন্দুক মাসুমের মাদক ব্যাবসা এখন ওপেন সিক্রেট। এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক মাদক স্পট,বিপদ গামি হচ্ছে উঠতি বয়সি যুবকরা, এ পেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে শিশু, কিশোর ও উঠতি বয়সের যুবকরা। এসব ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর(আবগারি)র নজর দারি না থাকায় দিনের দিন ব্যাবসার পরিধি যেমন বৃদ্বি পাচ্ছে তেমনি যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সততার সাথে মাদক ব্যবসার বিরুদ্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করলে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় অর্ধশত সেলসম্যান নিয়ে গড়ে উঠেছে ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল আহমেদ মাসুম ওরুফে বন্দুক মাসুমের মাদক ব্যবসা। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের মাদক বেচাকেনা। এই বাহিনীর মাদক বিক্রিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ডজন খানিক দামি হোন্ডা। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, বন্দুক মাসুম থানা পুলিশের বেশ ক’জন পুলিশ অফিসারের সাথে সখ্যতা রেখেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্দুক মাসুম ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা ফরিদ আহমেদ লিটনের ছোট ভাই হওয়ায় কেউ এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বন্দুক মাসুমের সরাসরি মদদে এই ব্যবসায় জড়িত রয়েছে মাথা মোটা বাবুল, ভাঙ্গারী কামাল, ভাগ্নে বাবু, বোদেন স্বপন, নাক কাটা নূরাসহ অর্ধশত শিশু কিশোর। আর এই বাহিনীর সমন্বয়কারী হিসেকে কাজ করছে মিজান ওরুফে রোলিং মিজান। মিজান পোষ্ট অফিস এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা রি-রোলিং মিলের সাইবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফতুল্লার ঐতিহ্যবাহিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফতুল্লা পাইলট স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। এই এলাকার মাদক ব্যবসা নিমূর্লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষে নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মাসুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।