বঙ্গবন্ধুকে জানাযা ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলো ঘাতকরা

53

বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনককে হত্যার পর জানাযা ছাড়াই দাফন করতে চেয়েছিলো ঘাতকদের সহযোগীরা। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ইমামের দৃঢ়তায় জানাযা হলেও আসতে দেয়া হয়নি টুঙ্গিপাড়াবাসীকে। গোসল করানো হয়েছিলো কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে আর দাফনের জন্য আনা হয়েছিল ত্রানের কাপড়।

পরে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মা-বাবার কবরের পাশেই কবর দেয়া হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ৭৫এর ১৫ আগস্ট হত্যার পর ঘাতকরা, তাঁর লাশ চরম অবমাননায় পরের দিন সকাল পর্যন্ত ফেলে রাখে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে। পরে জাতির জনকের লাশ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কফিনটি কাঁধে করে নিয়ে আসেন এলাকাবাসী। লাশ পৌঁছার আগেই দ্রুত কবর খোঁড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কফিন আনার পর তা খোলা যাচ্ছিল না, ধরে আনা হয় এক কাঠমিস্ত্রীকে। ইমাম আব্দুল হালিমের দৃঢ়তায় গোসল করানো হয় জাতির পিতাকে। পড়ানো হয় জানাজা। মা-বাবার কবরের পাশেই কবর দেয়া হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। সেই টুঙ্গিপাড়াই আজ স্বাধীনতার শপথের তীর্থস্থান।