উন্নয়নের নামে দেশে সীমাহীন লুটপাট : নজরুল

58

উন্নয়নের নামে দেশে সীমাহীন লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুলসোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘দলটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্য’শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে যে খরচ দেখানো হচ্ছে তা উন্নত দেশের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শব্দকেই এখন ভয় পায় জনগণ। জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি আন্দোলন করে যাবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের এমন কোন থানা,জেলখানা নেই যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাঘরে রাথা হয়নি।এমনকি আন্দোলনে পঙ্গুত্ব হয়ে এমন কোন হাসপাতাল নেই যেখানে দলের নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নেননি।‘সম্ভবত’অপমৃত্যুর স্বীকার হয়ে বাংলাদেশের সব গোরস্থানেই বিএনপির নেতাকর্মীদের কবর আছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবৈধ’নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ এখন আর নির্বাচনের কথা শুনতেই চায় না। কারন এখন নির্বাচন মানেই হল আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা,জনগণ যাকে ভোট দিবে অন্য জনকে বিজয়ী ঘোষনা করা।

শাষকগোষ্ঠী স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন,‘সকল মানুষের জীবনমান এখন অনিশ্চিত। কেউ নিশ্চিত নন কখন কি হবে?

তিনি আরো বলেন,‘মাদকাসক্ত অর্থনীতিকে মানুষ বানাতে বিএনপির ৩ বছর সময় লেগে ছিল।আ্ওয়ামী শাসন আমলে আ্ওয়ামী লীগ সরকার দূর্ণীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল।

নজরুল ইসলাম বলেন,‘স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে এই অবৈধ সরকারের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করা দলটির দায়িত্ব রয়েছে।

এ সময় তিনি বিএনপির সিনিয়র-যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী সহ-গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের সভঅপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার,মোস্তাফিজুর রহমান,সাইফুল ইসলাম,এনডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শামসুল আলম প্রমুখ।