গিয়াসের ‘ঐক্যের চিঠি’তে সাড়া দেয়নি বিএনপি,র ১০ নেতা

61

মুখে অনেকে ঐক্যের কথা বললেও এবার সেই ‘ঐক্যে’র ডাক দিয়ে একটেবিলে বসার আমন্ত্রন জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ নেতাকে চিঠি প্রেরণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত সেই নেতাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সাড়া পায়নি ‘ঐক্যের চিঠি প্রেরক’ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ। তবে এখনো আশাহত হননি গিয়াস, বরং প্রতীক্ষায় আছেন একটু দেরীতে হলেও চিঠি প্রাপ্ত ১০ জন নেতা দলের স্বার্থে শীঘ্রই তার ঐক্যের আহবানে সাড়া দিবেন। কেননা, দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন যে এবার সত্যিই নারায়ণগঞ্জে দলকে সুসংগঠিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন, তার একটি অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন তিনি। গত ২২ আগষ্ট দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ জিয়ার মাজারে নবগঠিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ জন নেতা- খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান খসরু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আড়াইহাজারের নজরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক রেজাউল করিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা রূপগঞ্জের দীপু ভূইয়া ও আড়াইহাজারের এ এফ ইকবাল পৃথক ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অপর সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন এক ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া ১১ জন নেতার নাম লিখে ঢাকায় যোগদান করেন। যা দলের মধ্যে ঐক্য সুষ্টির একটি অনন্য উদাহরন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা। তবে দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গিয়াসউদ্দিন দলে ঐক্য ফেরাতে জেলার শীর্ষস্থানীয় ১০ নেতাকে চিঠি দিলেও সেই সকল নেতারা এখন জেলা ও মহানগর কমিটিতে নিজেদেরসহ সমর্থকদের নিযুক্ত করতে লবিংয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তাই তারা মুখে ঐক্যের বুলি আওরালেও এখন পদ বাগাতে ব্যাস্ত আছেন বলেই মূলত ঐক্যের আহবানে সাড়া দিচ্ছেন না। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত জেলার ১১ নেতা যদি এক টেবিলে বসতে পারেন তাহলে নানা ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা। এব্যাপারে ‘ঐক্যের চিঠি প্রেরক’ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ টাইমস নারায়ণগঞ্জকে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত জেলার অপর ১০ জন নেতাকে দলীয় ঐক্যের স্বার্থে একটেবিলে বসার আমন্ত্রন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত কারো কাছ থেকে সাড়া মিলেনি। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, যদি আমরা ১১ জন নেতা একটেবিলে বসে একসাথে প্রয়োজনে নিজেদের টাকা খরচ করেই এক কাপ করে চা পান করি, তাহলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি আবারো ঐক্যবদ্ধ হবে। আর দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে। আমি আশাবাদী চিঠি প্রাপ্ত নেতারা শীঘ্রই আমার আমন্ত্রনে একসাথে বসে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হবেন।