সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের গরুর হাট দখল করলো সন্ত্রাসীরা

148

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের ইজারা নেয়া ৮নং ওয়ার্ডে ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেষ্টাইল মিলিস্ বালুর মাঠের হাটটি দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মাঠের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গছে। শুক্রবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাঁটের চতুর্দিকে বাঁশ ও অন্যান্য সরজামাধী স্থাপন করে। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী ইফতেখার আলম খোকন ও কাজী আমির বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বাধা দিলে সন্ত্রাসী কাজী আমির মুক্তিযোদ্ধারের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এর আগে গত ৪দিন ধরে সন্ত্রাসীরা গোদনাইল ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস্ বালুর মাঠের হাটটি দখল নিতে ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড, বাজার ও হাটের আশপাশে চিহৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী , দূর্ধর্ষ ক্যাডার, দেড় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী এ মহড়া দেয়। এ ব্যাপারে জাতীর বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনাসহ যাতে সুষ্ঠভাবে স্বাভাবিক পরিবেশে হাট পরিচালনা করতে পারে এর ব্যবস্থা করা আহবান জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঈদুল আয্হা উপলক্ষে ৮নং ওয়াডের্র ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেষ্টাইল মিলস্ বালুর মাঠের কোরবানীর হাটের ইজারা পার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিঃ। এ হাটটি দখল নিতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী আমির বাহিনী ও ফতুল্লা নয়ামাটির অস্ত্রধারী ক্যাডার, মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জাল হোসেন চুন্নু বাহিনী হাট এলাকায় মহড়া দেয়। এর পেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সাথে কথা বললে সন্ত্রাসী খোকন, কাজী আমির ৫০% শেয়ার দাবি করেন এবং হাট তাদের নামে হস্তান্তর করতে বলেন। অন্যথায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে হাটের সকল ক্ষমতা। এটা মুক্তিযোদ্ধারা মানতে না পারায় সন্ত্রাসী খোকন ও কাজী আমির শুক্রবার সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে হাটটি দখল নিয়ে বাঁশ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মান করেছে। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সন্ত্রাসীদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কোন মুহুর্তে ৭১ বীর সন্তানদের সাথে সন্ত্রাসীরেদর রক্তক্ষই সংঘর্ষ হতে পারে।
এ ব্যাপারে ইফতেখার আলম খোকন জানান, এ মাঠে পালাগান করা হবে। তাই পেন্ডেল করা হয়েছে। আমরা কোন হাট দখল করিনাই। আমাদের নামে মিথ্যা অপবাধ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান ভুইঁয়া (জুলহাস) জানান, খোনক ও হাজী আমিরসহ আরো অনেক হাটের শেয়ার থাকতে চাইছে। আমি বলেছি থাকবে। তারা ৫০% শেয়ারসহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। দিতে রাজি না হওয়ার তারা হাটে বাশ দিয়ে স্থাপনা নির্মান করছে। পাশাপাশী গত মঙ্গলবার থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসসহ আশপাশের কয়েকশ ছেলেপেলে নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছে । তাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে থেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আহবান করছি সুস্থ্য সুন্দরভাবে যাতে মুক্তিযোদ্ধারা হাট পরিচালনাসহ হাট করতে পারে তা ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।