নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক পাকনা রনির প্রতি ফুঁসে উঠেছে নেতাকমীর্রা

562

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক কুটকৌশলকারী মশিউর রহমান রনির প্রতি ফুঁসে উঠেছে জেলা ছাত্রদলের তৃনমূল নেতৃবৃন্দ।  ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা বলেন,আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পাকনা রনি সুকৌশলে ছাত্রদলের রাজনীতিতে অবস্থান করে নিয়েছে। যদি আওয়ামী পরিবারের সন্তানকে জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূণ দায়িত্বে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রদলের তৃনমূলের সকল স্তরের নেতাকমীর্দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হবে। এমনকি ওই কমিটি নিয়ে জেলা ব্যাপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তারা আরো বলেন, রনির বাবা মোস্তফা কন্ট্রাক্টার যে কিনা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনায়েত নগর ইউপি,র চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্ট সহচর। বাবার অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে রনি গত ইউপি নিবার্চনে বিএনপি,র প্রার্থীর  পক্ষে প্রচার প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করেনি। আপন বড় ভাই রুবেল জিয়া সাংস্কৃতিক দলের সাবেক নেতা ছিল বতর্মানে প্রজন্মলীগের দায়িত্ব পালন করছে। রনির আপন মামা মতিউর রহমান প্রধাণ এনায়েত নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মামাত ভাই রিয়াদ নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অনিবার্চিত ছাত্রলীগের ভিপি ও মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ট সহচর। একমাত্র আপন বোন জামাই মৃত শেখ মোখলেসুর রহমান মোখলেস এনায়েত নগর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সৈনিক লীগের সভাপতি ছিলেন। সে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এন্টি আওয়ামীলীগের হাতে খুন হয়।  রনি সকল নেতাদের  বলেন ওর নাকি ২০/২২ টি রাজনৈতিক মামলা আছে যা সম্পুন মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা খোজ নিলে জানতে পারবেন ওর নামে দু’টি মামলা আছে যা কিনা টাকায় কিনায় মামলা। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম উল হাসান মিন্টু ভাইকে নিয়ে নারায়নগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা গাড়ী উৎকোষ নেয়ার কেলেংকারীর সংবাদ প্রচারের সাথে রনি সরাসরি জড়িত ছিল। এছাড়াও জেলা ছাত্রদল নেতাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির মূল হোতা এই রনি।

এই কারনে সিনিয়র নেতাদের সাথে ওর সকল সম্পক নষ্ট হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূন পদে অবস্থান করার জন্য এখন বিভিন্ন নেতাদের ধারে ধারে গিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। দলের এই ক্লান্তিকালে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনিকে যদি জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূণ দায়িত্বে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রদলের তৃনমূলের সকল স্তরের নেতাকমীর্দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হবে। এমনকি ওই কমিটি নিয়ে জেলা ব্যাপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করে ছাত্রদলের তৃনমূল নেতা কমীর্রা।