নাসিক মেয়র-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘিরে দালালচক্র সক্রিয়

97

বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদকে ঘিরে এক শ্রেণীর দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নাসিকের মেয়র ও জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে কিংবা ঘনিষ্ঠজনের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে দাবি করে এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছে। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়ত আইভী এ দু’জনই দলীয় নেতাকর্মীর কাছে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত। তাদের বিতর্কীত করতেই সুবিধাবাদী দালালরা তাদের পাশে অবস্থান নিয়েছে। এসব দালাল আর সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে জেলা অন্যতম কর্নধর এই দুই জনপ্রতিনিধিকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। অন্যথায় আস্থাভাজন আর ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়েই তাদের যে কোন সময় বিতর্কীত করতে দ্বিধাবোধ করবে না। নগরবাসীর মতে, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নাসিক মেয়রকে বুঝে পাঁ ফেলতে হবে। আর এ কাজে তারা সফল হলে নারায়ণগঞ্জের কাঙ্খিত উন্নয়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূত্রমতে, নারায়নগঞ্জসিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নানা নাটকীয়তার সৃষ্টি হলেও নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভী নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। নতুন করে উন্নয়নের স্বপ্ন বুনতে থাকে নগরবাসী। অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নতুন করে আরো বেশী উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী নারায়ণগঞ্জের মানুষ। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের দীর্ঘদিন পর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। তার কাছেও জেলাবাসীর অনেক প্রত্যাশা। সচেতন মহলমনে করছেন, নাসিক মেয়র আইভী ও জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দু’জনই ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত। যে কারণে এই দুই জনপ্রতিনিধির কাছে উন্নয়ন প্রত্যাশী সাধারন মানুষ। উন্নয়নের পরীক্ষায় মেয়র আইভী ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হলেও এ ক্ষেত্রে আনোয়ার হোসেন নতুন। যে কারণে উন্নয়নের পরীক্ষায় এখন তাকেও উর্ত্তীণ হতে হবে। তবে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করছেন দু’জনই উন্নয়নের প্রতীক হবে। আইভী জনপ্রতিনিধি হিসেবে সফল হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজনীতিক হিসেবে সাফল্যেও পরিচয় দিয়েছেন। তবে আইভী ও আনোয়ার হোসেন নতুন করে দায়িত্বশীল পদে আসিন হওয়ায় তাদের চারপাশ ঘিরে একটি সুবিধাবাদী ও দালালদের বলয় গড়ে উঠেছে। এই বলয়ে যারা রয়েছে তারা আইভী ও আনোয়ার হোসেনের ঘনিষ্ঠ স্বজন কিংবা ঘনিষ্ঠজনের আস্থা ভাজন দাবি করে নাসিক ও জেলা পরিষদ থেকে সুবিধা নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সুবিধাবাদী চক্রটি বিগত দিনে নানা বিতর্কীত কর্মকান্ড করে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। তারাই আবার ফুল দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজেদেও আনোয়ার হোসেন কিংবা আইভীর আস্থাভাজন বলে জাহির করছে। এছাড়া এদের কেউ কেউ পর্দার আড়ালে থেকে দুই জনপ্রতিনিধির স্বজনদের ঘারে বসে নানা ফন্দি আটছে। তবে এই চক্র থেকে মেয়র আইভী ও আনোয়ার হোসেনকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।