সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগরবাসী ডাকাত পান্নার অত্যাচারে অতিষ্ঠ

220

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস রোডে কাঁচা বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক ডজন মামলার আসামী ডাকাত সালাউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে। এতে করে বেপরোয়া এই চাঁদাবাজের কর্মকান্ডের কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মানছেনা এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ প্রশাসনকেও। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া ডাকাত পান্নার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেছে। জানাগেছে, সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকার তিতাস রোডে কাঁচাবাজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা আদায় করে আসছে সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না। কাঁচাবাজারের ময়লা পানি ও আর্বজনার কারনে নবনির্মিত এই পাকা রোডটি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ঢালাই নস্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরকারী এই পাকা রোডে প্রায় ১ শত দোকান বসিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ করে চাঁদা আদায় করছে ডাকাত পান্না। এই ব্যাপারে কেউ বাঁধা প্রদান করলেই তার উপর চলে ডাকাত পান্না বাহিনীর নির্যাতন। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও এই চাঁদাবাজের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে হয়েছে দু-গ্রুপের প্রায় ১০ জন। এই ঘটনায় এনায়েতনগর তিতাস রোড এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশ রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট উঠিয়ে দেয়। কিন্তু পুনরায় এই পাকা রোডে অবৈধ দোকানপাট বসাবার জন্য পাঁয়তারা করছে ডাকাত পান্না। এই ঘটনায় ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমির মোল্লা বলেন, আমি সালাউদ্দিন পান্নাকে মেইন রোডে অবৈধ দোকানপাট বসানোর জন্য নিষেধ করার পরও তা কর্নপাত করেনি পান্না। তাই পুলিশ প্রশাসন এই রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এদিকে এলাকাবাসী জানায়,বহু অপকর্মের হোতা সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পান্নার ছত্রছায়ায় এলাকায় চলছে চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। তার কাজে কেউ বাঁধা হলেই তার কোন রক্ষা নেই। ডাকাত পান্না একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। তার কর্মকান্ডের কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ডাকাত পান্না। এই চাঁদাবাজ ডাকাতকে গেপ্তার করা হলে এলাকায় শান্তি বিরাজ করবে বলে মনে করে এলাকার সচেতন মহল।