নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো

92

স্টাফ রিপোর্ট‍ারঃ হাঁটি হাঁটি পা পা করে আওয়ামী লীগ এখন নির্বাচনের দিকে হাটছে। দলীয় এমপি এবং নেতাদের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, দলীয় বিরোধ মিটানো ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে দৃশ্যমান করতে দলের হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের নিজস্ব গোয়েন্দা টিম। তারা দলীয় এমপি ও শীর্ষ নেতাদের জনপ্রিয়তা এবং জনগণের সাথে কেমন সম্পৃক্ততা রয়েছে তা নিয়ে কাজ করছে। দ্বাদশ নির্বাচনে দল কাকে মনোনিত করবেন আর কে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য তা নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ শুরু করে দিয়েছে। দলের তৃনমূল থেকে নানা তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে বলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে। নারায়ণগঞ্জ নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের হাই কান্ড। আগামী নির্বাচনে দল কাকে মনোনিত করবে এ নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে আগামীতে নারায়ণগঞ্জের পাঁটি আসনের জন্য প্রার্থী খুঁজতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির আগামীতে সবগুলো আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পৃথক ভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে পরোক্ষভাবে কাজ শুরু করেছে জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারনী ফোরাম। সব কিছু ঠিক থাকলে নারায়ণগঞ্জেও জাতীয় পার্টিসবগুলো আসনে প্রার্থী দিবে বলে জাতীয় পার্টিও নির্ভরযোগ্যি সূত্রে জানাগেছে। বসে নেই বিএনপিও। রাষ্ট্রপতির সাথে ইসি নিয়ে আলোচনার পর নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নারায়ণগঞ্জের নেতারাও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাগেছে। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছিল তা আর আগামীতে করতে চাচ্ছে না। ফলে বিএনপি নির্বাচনী নিয়ে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সূত্রমতে, দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শুধু আওয়ামী লীগেই প্রস্তুতি শুরু হয়নি। বিএনপি ও জাতীয় পার্টিও নির্বাচন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে এই প্রস্তুতি অনেকটা বেশী। আগামীতে দল কাকে মনোনিত করবে, কার জনপ্রিয়তা বেশী, নেতাদের জনপ্রিয়তা কেমন এসব নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে দলীয় বিরোধ মিটানো এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন করে ঢেলে সাজানোরও নিদের্শনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের তাদের প্রায় সবগুলো সাংগঠনিক জেলা কমিটিগঠনে সক্ষম হয়েছে। বাকীগুলোকে নতুন করে সাজাতে কাজ চলছে। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। যদিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের কোন নেতাকে স্থান দেয়া হয়নি। তবে নিারায়ণগঞ্জের নেতাদের কোন অংশ কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। আর এসব কারণে আগামী নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে তৎপর হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমান্ড। যে কোন সময় জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষাণা করা হবে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোতে নতুনদের হাতে নেতৃৃত্ব তুলে দেয়ারও তৎপরতা চলছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপিদের কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করছে আগামীতে দলীয় মনোনয়ন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীতার ক্ষেত্রে পরিবর্তনও আসতে পারে বলে জানাগেছে। অপরদিকে, বসে নেই জাতীয় পার্টি ও বিএনপি। জাতীয় পার্টি আগামীতে সবগুলো আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেও জাতীয় পার্টি একক প্রার্থী দিতে পারে বলে জানাগেছে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি পরোক্ষ ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের জন্য। নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির যে সমস্ত নেতা নির্বাচন করতে আগ্রহী সেসব নেতারা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় লবিংও অব্যাহত রেখেছে কোন কোন নেতা। কমিটি গঠন এবং কমিটিতে স্থান পেতে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে।