আলোচনা আড়াইহাজার বিএনপির চার নেতা

61

আড়াইহাজার প্রতিনিধি
মন জোগাতে তৃণমুল চষে বেড়াচ্ছেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির চার নেতা। এতে অবহেলিত নেতাকর্মীদের কদর কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে দাবী তৃণমুল নেতাদের। এই উপজেলায় দলটির একাধিক নেতৃত্বের দৌঁরাত্মের কারণে দীর্ষদিন ধরেই দ্বিবিদ্বিক হয়ে ছুঁটছেন সাধারণ কর্মীরা। এতে বিএনপির অবস্থান এখানে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করেন, এই মুহুর্তে সৎ, সাহসী ও কর্মী বান্ধব নেতাদের সম্মনয়ে কমিটির কোনো বিকল্প নেই। তবে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে অনেকে বলেছেন, দীর্ঘদিনের নিরবতা ভেঙে লাপাত্তা অনেক নেতাই পদ বাগাতে তৃণমুল নেতাদের নানা কায়দায় ম্যানেজে চেষ্টা করছেন। তবে গ্রহণ যোগ্য একটি কমিটি গঠনের জন্য নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ দ্ব›দ্ববিভক্তি ভুলে পরম্পরের মধ্যে সমঝোতারও চেষ্টা করছেন। অতীতের মতো আর ভুল করতে চান না তারা। মঙ্গলবার আড়াইহাজার পৌরসভায় বিএনপির নেতা অনু’র মালিকানাধীন আশিক সুপার মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ে এনিয়ে সিনিয়র নেতাদের অংশ গ্রহণে কয়েক দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এতে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু প্রæগ, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর গ্রæপ, সাবেক বিআরডি’র চেয়রাম্যান ও বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন (অনু) প্রæগ ও থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর গ্রæপসহ অনেকে আগামী কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য লবিং করছেন। জানা গেছে, নানা কারণে আনোয়ার হোসেন (অনু) আলোচনায় উঠে আসছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এইনেতাকে অনেকেই সরাসরি সমর্থন দিচ্ছেন। এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং করছেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী ইউছূফ আলী ভূঁইয়া, মনিরুজ্জামান খাঁন, আব্দুল জুয়েল ও এমএ মতিন ভূঁইয়া।

থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: শহীদ উল্যাহ বলেন, বিএনপিকে এই উপজেলায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে সাহসী নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। অতীতে ঢাকায় বসে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এতে দলের চরম ক্ষতি হয়েছে। অনেকে সরকারি দলের রোষানলে পড়েছেন। কিছু নেতা ছাড়া নির্যাতিত অনেক নেতার পাশেই আঙ্গুর ও খসরু ছিল না। ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে তারা সব সময় পকেট কমিটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, জিম্মি দশা থেকে দলের নেতৃত্বকে বের করে আনতে হবে। বিএনপির প্রবীন এইনেতার দাবী সাহসী ও কর্মী বাবন্ধব নেতা হিসাবে আনোয়ার হোসেন (অনু)’র বিকল্প নেই।

এদিকে, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছালাউদ্দিন মোল্লা বলেছেন, নেতৃত্ব নিয়ে আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাঁধাছোড়াছুড়ি চলছে। অতীতে ত্যাগীদের কেউ মূল্যায়ন করেনি। যুবদলের এইনেতা বলেন, এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুর্গ ভাংতে হলে শক্তিশালী ও গ্রহণ যোগ্য কমিটির কোনো বিকল্প নেই। তিনি জানান বিএনপির প্রবীন নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীরকে নিয়ে একটি রুপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এনিয়ে আনোয়ার হোসেন (অনু)সহ অন্যনেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতা আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি খুব শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে।

ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহ্সান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের জনপ্রিয়তা ঈশ্বানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকে নানা অপ্রচার চালিয়েছেন। আঙ্গুরকে দলের দায়িত্ব দেয়া হলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। তিনি দলীয় কর্মসূচি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পালন করেছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এই নেতার দাবী, আঙ্গুরের ডাকে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

এদিকে, আনোয়ার হোসেন (অনু) বলেন, গণন্ত্রাতিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলে; নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। সেই সাথে দলের চালিকা শক্তি তৃণমুলের নেতাকমীরাও মূল্যায়ন পাবেন। এরই মধ্যে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। বিএনপির ঘুরে দাঁড়াতে কর্মী বান্ধব ও শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করাই আমাদের মুল লক্ষ্য।