হত্যাকান্ডের ৭ বছরেও বিচার পায়নি ফতুল্লার স্বেচ্ছা স্বেবকলীগ নেতা সোহেলের পরিবার

176

স্টাফ রিপোর্টার
সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার বাহিনীর হাতে ফতুল্লার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহেল নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ৭ বছরেও বিচার পায়নি নিহতের পরিবার। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী এখনো ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় নিহত সোহেলের স্বজন ও মামলার স্বাক্ষীদের নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৭ বছর পূর্তিতে নিহতের স্বজন ও শুভাকাক্ষিরা নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা ভোল পাল্টে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে। সম্প্রতি এসব সন্ত্রাসীরা জেলা ও ফতুল্লার একাধিক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতার সাথে নিজের ছবি দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন সাটিয়ে নিজ নিজ এলাকায় নতুন করে প্রভাব বিস্তার করে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এসব সন্ত্রাসীরা শুধু স্বেচ্ছা স্বেবকলীগ নেতা সোহেলকেই হত্যা করেনি, যুবলীগ কর্মী নাহিদকেও প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নতুন করে এসব সন্ত্রাসীরা তৎপর হওয়ায় ফতুল্লার ব্যাংক কলোনী, রেলষ্টেশন, পিলকুনী,তক্কার মাঠ এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ফতুল্লাবাসী।
নিহত সোহলের স্বজনদের অভিযোগ, সোহেলকে সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার কামরুল ইসলাম হিটলার,জনি, বাবু,মমিন,ডাকাত খেলাফত হোসেন রাজু, ডাকাত কবির হোসেন ফেলা, কাইল্যা রনি, কানা সুমন,আবুল, তেল চোর সেন্টু, ডাকাত আব্দুল, মির্জা পাবেল, মামুন চৌধুরীসহ প্রায় ১৫/২০ সন্ত্রাসী সোহেলকে প্রকাশ্যে হত্যা করে। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা জামিনে বেড়িয়ে এসে মামলা তুলে নিতে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে। হত্যাকান্ডের ঘটনার ৭ বছর পার হলেও সন্ত্রাসীদের হুমকী বন্ধ নেই। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী জনি ও হিটলার ভোলপাল্টে নতুন করে প্রকাশ্যে নানা ধরনের অপ-তৎপরতা শুরু করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকায় নিরিহ মানুষকে নানা ভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়া, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী অব্যাহত রেখেছে। হিটলারের ভাই জনি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার-ফেষ্টুন সাটিয়ে এই দুই নেতাকে বিতর্কীত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া এসব ব্যানার-ফেষ্টুন বিভিন্ন এলাকা সাটিয়ে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে, সোহেল হত্যাকান্ডের ৭ বছর পূর্তিতে নিহতদের স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা ফতুল্লার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী,জসিম,বাহাউদ্দিন ও সোহেলের ছোট ভাই জুয়েল।