মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের বাহাস বানচালে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

1761

২৫ মে বাহাসের সকল প্রস্তুতি আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুর দরবারের পক্ষ থেকে সুসম্পন্ন হয়েছে ।এখন শুধুই বাকি ২য় পক্ষ মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের সদিচ্ছা ও বাহাসে উপস্থিতি । বড়ই আফসোসের বিষয় ! কিয়াম বিরোধী ফরায়েজী গংরা ২৫ তারিখ বাহাস বানচালে শুরু থেকেই সীমাহীন মিথ্যাচার, চক্রান্ত করে আসছে । তবে তাদের চক্রান্ত এতটাই স্থূল যে, তা বিবেক সম্পন্ন মানুষের খালি চোখেই ধরা পরে । মিলাদ কিয়ামের পক্ষের আলেমদের বাহাসে অংশ গ্রহণের সদীচ্ছা ও পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার পরও তারা তাদের কিছু আইডি ও অখ্যাত Online পত্রিকায় নিরন্তনভাবে আল্লামা আব্বাসী হুজুর ও তার দল বাহাসে বসতে চায়না এরকম অভিযোগ করে আসছে, যা নির্জলা মিথ্যাচার । দেশবাসী সোশাল মিডিয়াতে দেখে আসছে যে, শুরু থেকেই তারা বাহাসে বসতে অনাগ্রহী যার রেকর্ডকৃত বক্তব্য ও ভিডিও চিত্র আমরা সরাসরি উপস্থাপন করেছি । তা থেকে নতুন তথ্যসহ কিছু তথ্য আমরা তুলে ধরছি—

১.. ফরায়েজী গং ঘটাকরে দেশ ব্যাপী প্রচার করলো যে তারা আব্বাসী হুজুরের সাথে ২৫ তারিখ বাহাসে বসবে । কিন্তু বাহাস পূর্ব তৃতীয় প্রস্তুতি সভায় জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে খোদ ফরায়েজী আল্লামা আব্বাসী হুজুরের প্রতিনিধি প্রধান মুফতী মানজুর হোসাইনের কাছে প্রকাশ্যে কয়েকবার ক্ষমা চেয়ে বসে যে, আসলেই আমরা আব্বাসী হুজুরের সাথে কোন বাহাস চাই না বরং তার সাথে একান্ত বসতে চাই । আলোচনার মাধ্যমে পারস্পারিক দূরত্ব কমাতে চাই । এখন দেশবাসীর নিকট আমাদের প্রশ্ন; আপনারাই বলুন কারা বাহাসে বসতে চায় না ?? তাদের অনলাইন পত্রিকার ভাতেমারা সাংবাদিকরা আব্বাসী হুজুরের ক্ষেত্রে কেঁচো খুঁরতে সাপ খুজে পায় । অথচ নাকের ডকায় ঘোড়া ও গাধা দেখতে পায় না ??

২.. বাহাসে বসার অনুমতির জন্য উভয়পক্ষের প্রতিনিধি যখন ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁওতে যান তখন ফরায়েজী প্রতিনিধি আব্দুস সবুরের উপস্থিতিতেই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জানান যে, প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের পক্ষ থেকে বাহাসের অনুমিত জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে না দেওয়ার নির্দেশ করা হয়েছে । আপনারাই বলুন, বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের সাথে কাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ?? কাদের বন্ধুত্ব প্রগাঢ় ?? আব্বাসী হুজুরের ?? নাকি কিয়াম বিরোধী সনদের স্বীকৃতির মূলা যারা পেয়েছেন তাদের ?? যাদের সম্পর্ক তেতুল থেকে রসগোল্লায় পরিনত হয়েছে, আমরা মনে করি তারাই বাহাস বানচালে প্রশাসনকে রাজী করেছে ।।

৩.. কাপুরুষ, ভীতসন্ত্রস্ত ও পরাজিত শক্তিই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে । বিগত দিনেও মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের মিথ্যাচার আমরা জাতীর সামনে তুলে ধরেছি । কিন্তু তাদের সর্বোচ্চ মহল যদি মিথ্যার আশ্রয় নেয় তখন তো একথা দিবালোকের ন্যায় স্পস্ট হয়ে যায় যে, আসলেই তাদের বাহাসের কোন ইচ্ছাই নেই । তাদের কথিত শাইখুল ইসলাম মিজানুর রহমান সাঈদ শায়েখ যাকারিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে বললেন; তিনি বাহাসের কথা জানতেন না । তাকে না জানিয়েই স্টাম্পে তার নাম দেওয়া হয়েছে । অথচ আমরা তাদের আইডি থেকেই প্রচারিত ভিডিওতে দেখতে পেয়েছি তাদের পক্ষে প্রধান মুবাহিস হিসেবে রাজি করাতে হাটহাজারীর সাবেক শিক্ষক মাওলানা আজীজুল হকের বাড়ীতে তিনি উপস্থিত হয়ে দলীলে সাক্ষর নিয়েছে । তিনিই যদি বলেন বাহাসের চ্যালেঞ্জ তিনি দেননিও নেননিও তাহলে এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার ও বাহাসে না আসার বাহানা আর কি হতে পারে ?? মাওলানা মিজান বিদয়াতীদের মুখোশ খুলতে চান । প্রচলিত তাবলীগ ও কঠিন বিদয়াত চীল্লার পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী মিজান সাহেবদের দাঁত কতটি আর বিদয়াত কি পরিমাণ তা ইনশাআল্লাহ ২৫ তারিখ বাহাসেই দেখা যাবে ।।

৪.. Our Islam পত্রিকায় তারা আরো একটি জঘন্য মিথ্যাচার করেছে যে, ২৫ তারিখের জন্যই আব্বাসী মঞ্জিলের পক্ষ থেকে আরেকটি দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে বাইতুল মুকাররমে । আর সে কারণেই ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি । মূলত মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা বাকা পথে চলতে চলতে সহজসরল ও স্পট বিষয়ও অনেক সময় বুঝতে ব্যার্থ হয় । বাহাসের অনুমতির জন্যে আগারগাঁও যাওয়ার আগেই কওমী ঘরানার বিশিষ্ট আলেম, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিদ এবং আল্লামা শফী সাহেবের স্নেহধন্য ছাত্র মাওলানা মাসুদুর রহমান বিক্রমপুরীর নেতৃত্ত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফাউন্ডেশনের ডি.জির সাথে ফোনে কথা বলেন ও পরবর্তিতে সাক্ষাৎ করেন । তাতে ডি.জি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে অত্যন্ত ক্ষিপ্রভাবে বলেন, বাইতুল মুকাররমের কোথাও কোন বাহাস হতে দেওয়া তো হবেই না বরং বাহাসে কেউ আসলে তাকে পিটিয়ে বের করে দেওয়া হবে । তা শুনেই ২৫ তারিখ বাইতুল মুকাররমে যে কোন প্রকারেই হোক যেন উপস্থিত হওয়া যায়, সেজন্যে বাহাসের অনুমতির দরখাস্তের পাশাপাশি সংগঠনের প্যাডেও ভিন্ন ব্যাপারে বাইতুল মুকাররমে অনুমিত চাওয়া হয়েছে । বাহাসে বসার জন্যে আসলেই যে আব্বাসী হুজুর ও তার লোকজনের সদিচ্ছা ও প্রস্তুতি আকাশচুম্বী । এ ঘটনা থেকে তো তাই অনুমিত হয় ।

মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের আপডেট মিথ্যাচার—
আব্বাসী হুজুর বলেছিলেন বাইতুল মুকাররমে বাহাস হতে না দিলে বিরোধী পক্ষের মুরুব্বী আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেবের মাদ্রাসায় আমরা বাহাসে বসবো । এরকম উদারমন ও উদাত্ত আহবান যা আল্লামা আব্বাসী হুজুরের পক্ষ থেকে হয়েছে তার একটি নজীর মনে হয় দুর্বিন দিয়ে খুজেও বিরোধী পক্ষ তাদের মধ্যে দেখাতে পারবে না । কথা ছিল উভয়পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় যাবে কিন্তু মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ এককভাবে যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার শায়েখকে রাজী করার দায়িত্ব নেন এবং কয়েকদিন পরই তারা ঘোষণা দেয় যাত্রাবাড়ীর শায়েখ রাজি হয়েছেন । ২৫ তারিখ বাহাস যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসাতেই হবে । আমাদের পক্ষ থেকে বাহাসের আগে মাহমুদুল হাসানের কাছে কাউকে যেতে হবে না । শাইখুল হাদীস আল্লামা আব্বাসী হুজুর এই কথা স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করেন এবং ২৫ তারিখ মাহমুদুল হাসান সাহেবের মাদ্রাসাতেই বাহাসে যাবেন । তা, লুৎফর ও তার প্রতিনিধিকে জানানো হয় । কিন্তু আফসোস সহস্র আফসোস !! (আবুল কাযীবাত) ابو الكذبات চরম মিথ্যাবাদী কিয়াম বিরোধীরা রাতারাতি সুর বদলিয়ে এখন তারা আবার অনুমতির জন্যে উভয় পক্ষ থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবের কাছে যাওয়ার প্রস্তাব করেছে । এখন প্রশ্ন হল; তাহলে মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ যাত্রাবাড়ী শায়েখের কাছ থেকে কি অনুমিত না নিয়েই প্রচার করেছিলেন যে, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় ২৫ তারিখ বাহাস হবে ?? তাদের কোন কথাটিকে আমরা মিথ্যা বলবো ?? প্রথমটি নাকি দ্বিতীয়টি !!!

মুফতী মাঞ্জুর হোসাইন ও আব্দুস সবুর এর কথোপকথন এর ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…
ডি.জির সাহেবের সাথে কথোপকথন এর ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…