এ.আর. কুতুবে আলমঃ গত দুইদিনের মুষল ধারায় বৃষ্টিতে পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অতিবৃষ্টির ফলে নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে । বৃষ্টির পানির চাপে বড়বড় বেড়ীবাঁধ টপকিয়ে সমভ‚মিতে পানি প্রবেশ করছে বলে এলকা সূত্রে জানাযায়।
এলাকাবাসী জানান, কলাপাড়ার আন্ধার মানিক নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে পানি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে কালবাটসহ জোয়ারের ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।তার মধ্রে দৌলতপর,তাহেরপুর, মোহনপুর, লস্করপুর,এবং আমিরাবাদ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে ।কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বঙ্গোব সাগরের পানিও উত্তাল রয়েছে ।
সাথনিীয় সূত্রে জানাযায়, দুই বছর আগে দৌলতপুর গ্রামের ¯সুইসটিসহ বাঁধ নিন্মে দেবে গেছে। তখন তারা নিজেদের উদ্যোগে মাটিভরাট করা হয়েছিলো। জোয়ারের প্রবলচাপে ¯সুইস বাঁধসহ বিধ্বস্ত হয়।
আরো জানাযায়, রোববার (২৩জুলাই) দুপুরে সাগর হতে মেহনসায় ঢুকার সময় ¯স্রোত ও ঢেউয়ের চাপে একটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। এই ট্রলরে ১৮জন জেলে ছিলে বলে মহিপুরের মালিক সমিতির নেতারা জানান। এর মধ্যে ১৭জন সাঁতরিয়ে কিনারে আসতে পারলেও ভুট্রো নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. নাসির মাহমুদ জানান, সোমবার(২৪জুলাই) স্বাভাবিক জোয়ারের প্রবল চাপে ¯øুইসটি বাঁধসহ ভেঙ্গে যায়। গৈয়াতলা, নিজকাটা গ্রামেও পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া টিয়াখালী, ধানখালী, চম্পাপুর, ত্যাগাছিয়া, বালিয়াতলী ,লালুয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। আবার অনেক জায়গায় স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানাযায়। কলাপাড়ার উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল খায়ের ৪৬ পোল্টারের ¯সুইসটি মেরামত করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানান,সোমবার সকাল থেকে ৩টা পর্যন্ত ২৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।