ইমাম হুসাইন (রা) একমাত্র খেলাফত প্রতিষ্ঠা জন্য শহীদ হয়েছিলেন-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

129

আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফের মাসিক যিকির মাহফিলে দরবার শরীফের সালেক, ভক্ত, মুরিদদের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনায় আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরিফের বর্তমান গদ্দিনাশীন পীর,আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর বলেন- মুহাররম মাস চলছে এ মাসটি আসলে ইমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হওয়া ইমাম হুসাইন (রা) এবং তাঁর সঙ্গীদের প্রতি অগাধ ভক্তি শ্রদ্ধার মাধ্যমে তাদেরকে স্বরণ করা হয়ে থাকে। অপর পক্ষে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ এবং তার সৈন্যদের প্রতি ধিক্কার এবং লানত। আমাদের অনেকেরই সঠিক কারবালার ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ, আবার অনেকে সঠিক ইতিহাস জানা না থাকায় অন্ধকারে তীর মেরে থাকেন।কুফাবাসী ইমাম হুসাইন (রা) এর নিকট ১৫০ টির অধিক চিঠি প্রেরণ করে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের রাজনন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অসহায়দেকে অত্যাচারের কথা বলা হয়।আর কারণের তিনি কারবালার প্রান্তরে গিয়েছিলেন খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর সেখানে পৌঁছে ইয়াজিদের দলের প্রধান সেনাপতি দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।বার বার ইয়াজিদের রাজতন্ত্রের প্রতি বাইয়াত আনয়ণ করার জন্য ইমাম হুসাইন (রা) কে জোর তাগিদ করা হয়। তখন ইমাম হুসাইন (রা) হুংকার দিয়ে বলেছিলেন জীবন চলে গেলেও আমার নানার আদর্শ থেকে আমাকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি ঘঠাতে পারবেনা। আর এই কারণের তাঁকে শহীদ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের নিকট যখন ইমাম হুসাইন(রা) এর মাথা মোবারক নেওয়া হয়েছিল তখন ইয়াজিদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সে ইমাম হুসাইন(রা) খন্ডিত মাথায় খোঁচা দিয়ে বলেছিল বদরে মুহাম্মাদ (সা) আমার পুর্ব পুরুষদের হত্যা করেছিল আজ আমি তাঁর নাতি ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে তার প্রতিশোধ নিলাম। এছাড়াও সে অসংখ্য আহলে বায়াতকে হত্যা করেছিল। এবং ইসলামী খেলাফত ধ্বংস করে রাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে। পৃথিবীর বড় বড় মুফাসসির,মুহাদ্দেস,ফকিহগণের ইয়াজিদ সম্পর্কে ধারণা হল তাকে মুমিন, মুসলমান বলার কোন সুযোগ নেই। অনেকে বলেছেন ইয়াজিদ মদকে হালাল বলতো আর বিশেষ করে সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতকেই বিশ্বাস করতো না। কুরআন,হাদীস অনুযায়ী সুস্পষ্ট ফতোয়া যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতকে বিশ্বাস করেনা তারা কুখ্যাত কাফের। পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর আরো বলেন-মুহাররম মাস আসলেই কিছু টেলি মৌলভী এবং ইয়াজিদ প্রেমীকদের দেখা মিলে। যাদের একটাই কাজ শুধু ইয়াজিদকে শ্রেষ্ঠ মুমিন বলা আর ইমাম হুসাইন (রা)দোষারুপ করা। এমনকি ঐ ভন্ডরা ইয়াজিদকে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে থাকে(নাউযুবিল্লাহ)। লেবাননে ইয়াজিদের নামে মাদ্রাসা তৈরী করেছে সুতরাং আমাদেরকে এই ইয়াজিদের দালালদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, কারণ আহলে বায়াতদেরকে যারা গালাগালি করে তারা অবৈধ সন্তান ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। পরিশেষে মিলাদ কিয়াম এবং মোনাজাতের মাধ্যমে মাসিক যিকির মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।