আলীরটেক এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে জিন্মি

80

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন ১৮ জন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হলেও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নীরব ভুমিকার কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে পুরো আলীরটেক মাদক নিয়ন্ত্রন করছে ১৮ জন মাদক সম্রাটসহ প্রায় ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী।

১৮ জন মাদক সম্রাটরা হচ্ছেন কুড়ের পাড় গ্রামের নুর হোসেন গেদা, একই এলাকার বড় মোকতার, মোঃ আলীর পুত্র মেহেদী, আব্দুলের পুত্র মিজান, মরা মোকতার, করম আলীর পুত্র হোসেন ওরফে পেটফারা হোসেন ওরফে স্বর্নচোরা হোসেন, পুরান গোগনগর গ্রামের সামসুল পাঠান, গোপচর গ্রামের হাবিবুর, ক্রোকের চর গ্রামের জামাল ও সালাউদ্দিন, ডিক্রিরচর গ্রামের নোয়াব মেম্বারের পুত্র মাহাবুব, বাদশার পুত্র রুহুল আমিন, মুক্তারকান্দি গ্রামের আলামিনের ভাই তপন, একই গ্রামের জব্বর বেপারীর পুত্র বাবু, আলীরটেক গ্রামের মুন্না ওরফে কাইল্লা মুন্না, গোপচরের মোজাম্মেল ওরফে কাঠমোল্লা, মোঃ আলীর পুত্র মেহেদী ওরফে ডিলার মেহেদী প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে পুরো আলীরটেকের আনাচে কানাচে মাদক ব্যবসা ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল বিক্রি চলছে পুরো মহোৎসবে।

আলীরটেক, কুড়েরপাড়, গঞ্জকুমারিয়া, গোপচর, মুক্তারকান্দি, ক্রোকেরচর, ডিক্রিরচরসহ বিভিন্ন গ্রামে মাদক ব্যবসা চলছে।

চরাঞ্চল বলে খ্যাত হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সহজে আলীরটেক ইউনিয়নে না যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এলাকাবাসী জানায়, আলহাজ্ব জাকির হোসেন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আলীরটেক মৌলভী বাড়ি সংলগ্ন মাদক ব্যবসায়ী মুন্না আস্তানা গড়ে তুলেছিল। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে নিয়ে সেই আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছিল। মাদক ব্যবসায়ীকে তার মিলে চাকুরীর ব্যবস্থা করলেও মুন্না তা করেনি।

এলাকাবাসীরা জানান, বর্তমান কিছু মেম্বারের শেল্টারে মাদক ব্যবসা চলছে বলে তারা নীরব ভুমিকা পালন করায় মাদক বিক্রি চলছে দেদারছে। সহজে মাদক হাতে নাগালে পাওয়ায় স্কুল/ কলেজের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হওয়ায় অভিবাবক মহল চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাদের দাবী মাদক নির্মূল করা না হলে মাদকাসক্তদের কারনে পরিবারে অশান্তি নেমে আসবে।

এ ব্যাপারে আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতির ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,মাদক ব্যবসায়ীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেও কোন ছাড় নেই। আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় মাদক বিক্রেতাদেরকে চিরতরে উৎখাত করা হবে।

নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শাহীন শাহ পারভেজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানান, সেখানকার মাদক বিক্রেতাদের তালিকাটি আমার হাতে নেই। এর আগে আলীরটেকের এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করে সাজা দিয়েছি। আমি আলীরটেক ইউপিকে মাদকমুক্ত করতে ইতিপুর্বে স্থানীয় মেম্বারদেরও সহযোগিতা চেয়েছি কিন্তু তাদের মাধ্যমে মাদক বিক্রেতাদের কোন তথ্য পাইনি।(নিউজএটুজেড)