আমতলীর খুরিয়া খেয়াঘাট-ধানখালীর নমোরহাট সড়কের বেহাল অবস্থা

74

এ.আর.কুতুবে আলম : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট হতে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী নমোরহাট পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা । দেখার কেউ নেই। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিদের নানাভাবে বিভিন্ন ভঙ্গিতে সস্তা প্রতিশ্রæতি দিয়ে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হলেও ,জনগনের সমস্যা সমাধানে প্রতিনিধিরা নেই এমনটাই বলছেন স্থানীয় ভুক্তভোগিরা ।

প্রত্যক্ষদর্শীওএলাকাবাসী জানান,গত দুই দিনের মুষলধারায় বৃষ্টিতে আমতলী উপজেলার খুরিয়া খেয়াঘাট হতে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী নমোরহাট পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে নালা খন্দল সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ কলাপাড়া ও আমতলী পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে চলাচল করে আসছে। আর এই রাস্তা ভেঙ্গে রাস্তার মাঝখানে ডোবায় পরিনত হয়েছে। এই সড়কে চলাভাঙ্গা তালুকদার বাড়ী হতে মরিচবুনিয়া বাজার পর্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। এই সড়কে মটরসাইকেল ও টমটম ও অটো রিক্সাসহ যানবাহনে চলাচল করতে হলে বুকের পাটা পিঠে নিয়ে চলতে হয়। চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ,পশ্চিম চিলা মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের চলা চলে ভীষন ভাবে সমস্যা হচ্ছে। স্কুল মাদ্রাসায় যাওয়ার রাস্তাটির বেহাল অবস্থায় থাকায় বৃষ্টির দিনে এমনকি খড়ার দিনেও উপস্থিতি অনেক কম বলে জানান, ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। ঢাকা হতে আমতলীর লঞ্চের যাত্রী ধানখালীগামী যারা,এরা রাস্তা ভাঙ্গা ও নালা খন্দল হওয়ায় বেশি ভাড়াগুনে ধানখালীর ৯টি ওয়ার্ডের যাত্রীদের যেতে হয়।

এই রাস্তা হামজাসহ বড় যান চলাচলের কারনে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে নালা খন্দল সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান যাত্রীরা। এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা কাঠের চশমা পড়ে চলা ফেরা করেন এমনটাই বলছেন সাধারন জনগণ ও যাত্রী সাধারন। তা না হলে রাস্তাটি রাস্তা এমন বেহাল অবস্থা থাকবে কেন? এমন প্রশ্ন এখন সবার।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট উন্নয়নের মডেল রোল সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমতলী ও কলাপাড়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা নিজের এলাকার সমস্যা তাদের চোখেই দেখেন না এমন মন্তব্য পথচারীদের। তারা তাদের নিজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করেছে এমনটাই বলছেন সাধারন জনগন।
এব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ধানখালী, চিলা ,চলাভাঙ্গা ,খুরিয়া খেয়াঘাট ও টেপুরা বাসী।