বক্তাবলীতে হত্যার আলামত নষ্ট করেছে ইট ভাটার মালিক

225
Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালনগর এলাকায় অবস্থিত আশিক ব্রিকফিল্ডে দেলোয়ার হত্যাকান্ডের আলামত ধ্বংস করে ফেলেছে মালিক পক্ষ। পুলিশের একটি টিম শনিবার বিকেলে সেখানে গিয়ে হত্যাকান্ডের কোন আলামত পায়নি। আত্মগোপনে থেকে ইট ভাটার মালিক অলিউল্লহ একদিনের মধ্যে হত্যাকান্ডের আলমত ধ্বংস করে ফেলেছেন। ভেঙ্গে ফেলেছেন ছাপরা ঘর যে ঘরে দেলোয়ারকে খুন করা হয়েছে। আর ওই ঘরের মাটি কেটে মুছে ফেলেছে রক্ত। কিন্তু সেখানে গিয়ে পাওয়া গেছে মাদক সেবনের প্রচুর সরঞ্জাম, জুয়া খেলার তাশ। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে সেখান থেকে ইট ভাটার ম্যানেজার নজরুল ইসলাম (৪০) ও ইট ভাটার পার্শ্ববর্তী চা দোকানদার সুমনকে (২৫) আটক করেছে। 
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালনগর এলাকার মৃত. আলম মিয়ার ছেলে ইট ভাটার ট্রলার চালক দেলোয়ার হোসেন একই ইউনিয়নের লক্ষীনগর গ্রামের অলিউল্লাহর মালিকানাধীন আশিক ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিক থাকার ছাপরা ঘরে শুক্রবার সকাল ৮টায় দুর্বৃত্তদের ছরিকাঘাতে খুন হয়। হত্যাকান্ডের পরপরই ইট ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। সেই হত্যাকান্ডের স্থানটি পুলিশ তদন্তের জন্য ব্যারিকেট দিয়ে আসে। শনিবার বিকেলে সেই স্থানে গিয়ে মাদক সেবন ও জুয়া খেলার তাশ ছাড়া কিছুই পায়নি। ছাপরা ঘরটি ভেঙ্গে ফেলেছে এবং ঘরের মাটিসহ কেটে আলমত ধ্বংস করে ফেলেছে ইট ভাটার মালিক অলিউল্লাহ। এখনো অলিউল্লাহ আত্মগোপনে রয়েছে। উল্টো পুলিশকে ফোন করে প্রভাবশালীদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে হুমকি দেয় অলিউল্লাহ। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী জানান, ডিবির সোর্স আলমগীর একাধীক ডাকাতি মামলার আসামী। তার সহযোগী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন থানায় একাধীক ডাকাতি মামলা। আলমগীর তার সহযোগীদের নিয়ে আশিক ব্রিক ফিল্ডেই আড্ডা দিত। এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী আরো জানান, এ হত্যাকান্ড থেকে মালিক পক্ষ পারপেয়ে গেলে অনেক অপরাধ ধামা চাপা পড়ে যাবে। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে দেলোয়ারের লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। আটক চা দোকানদার সুমন জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার সময় তার চায়ের দোকানে বসে আলমগীর ও দেলোয়ার চা পান করে আশিক ইট ভাটার দিকে চলে যায়। পরে দুপুরে সে জানতে পারে দেলোয়ার খুন হয়েছে। দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিল্পি বেগম হত্যাকারীদের বিচার দাবী করে বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে ডিবির সোর্স আলমগীর ও সফি তার স্বামীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
আত্মগোপনে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ইট ভাটার মালিক অলিউল্লাহ জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ মিথ্যা। আমি ভয়ে পুলিশের সামনে যায়নি আর আত্মগোপনেও নেই। হত্যাকান্ডের স্থান কারা ধ্বংস করেছে আমার জানা নেই। আমার ইট ভাটায় কারা আড্ডা দিতো আমার জানা নেই। তবে আমি কোন অপরাধীকে আশ্রয় পশ্রয় দেইনি।